Saturday, May 24

মহামারিতে লকডাউনের দিনগুলোতে নিজের বিশেষ যত্ন

প্রতিদিনের ধৌড়ঝাপে খাো-খাটনির পর মাত্র একটা দিন পাওয়া যায় ছুটি। কিন্তু মাত্র এক দিনের ছুটিতে নিজের পরিচর্যার সময় বের করে উঠতে পারেন না অনেকেই। অনেক সময়ই মনে হয়, যদি দুটো দিন বেশি বাড়িতে থাকা যেত!

বর্তমানে করোনা সংক্রমণের ভয়ে লকডাউনের মতো অবস্থা হয়ে যাওয়ায় বাড়তি কিছুদিন বাড়িতে থাকার সুযোগ পেলেন আপনি। যেহেতু বাড়ি থেকে বের হতে হয় না, তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোম থাকলেও দিনের শেষে বেশ খানিকটা সময় আপনার হাতে থেকে যাচ্ছে। এই সময়টাকেই কাজে লাগান! নিজের জন্য এই সময়টুকু খরচ করুন, দেখবেন ভিতর থেকে ঝলমলে হয়ে উঠতে পারবেন!
শুধু মুখ নয়, চাই সারা শরীরের যত্ন
মুখে মাঝেমধ্যেই স্ক্রাব লাগান। এবার যত্ন নিন সারা শরীরের। ব্রাউন সুগারের সঙ্গে জোজোবা অয়েল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে সারা শরীরের জন্য তৈরি করে নিন একটা এক্সক্লুসিভ বডি স্ক্রাব। গোসলের আগে সারা শরীরে ভালো করে ঘষে তুলে ফেলুন সব মৃত চামড়া। পায়ের বিশেষ যত্ন নেবেন।
বাবল বাথ
ভালোভাবে সারা শরীর স্ক্রাব করার পর গোসল করে নিন। হাতের কাছে রাখুন মিষ্টি গন্ধের বডিওয়াশ, খুব ভালো করে ফেনা করে গোসল করুন! পানির ধারার সঙ্গেই ধুয়ে যাবে যাবতীয় ক্লান্তি।
শিট মাস্কের জাদু
মুখে বাড়তি আর্দ্রতা চাইলে ভরসা রাখতে পারে
********ন শিট মাস্কে। মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ শুয়ে থাকুন, ব্যস! নিজের নরম ত্বক দেখে নিজেই চমকে যাবেন।
ম্যানিকিওরে সময় দিন
দৈনন্দিন কাজের চাপে হাত পায়ের দিকে বেশি নজর দেয়া হয় না! ফলে এই বাড়তি সময়টুকুতে নখের পরিচর্যা করতে পারেন। সুন্দর করে নখ ফাইল করুন, চটে যাওয়া নেল পলিশ তুলে নতুন পলিশ পরুন। মনটা ভালো হয়ে যাবে।
একটু বেশি ঘুমান
বাড়িতে থাকার এমন সুযোগ বারবার আসে না। অফিসের কাজ একটু দ্রুত গুটিয়ে দিতে পারলে দুপুরে ছোট্ট করে ঘুমিয়ে নিতে পারেন। সমস্ত ক্লান্তি উধাও হয়ে গিয়ে ঝলমলে হয়ে উঠতে পারবেন সহজেই। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

*************
আরো পড়ুন
************

গয়না থেকেও ছড়াতে পারে করোনাভাইরাস
চীনের উহান প্রদেশ থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের ভয়াল গ্রাসে রীতিমতো আতঙ্কিত পুরো বিশ্ব। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের জীবাণু লুকিয়ে থাকতে পারে আপনার গয়নাতেও!

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আংটি, ভেতরে জমে থাকা জীবাণু বের করা যায় না। কখনো কখনো সাবানও থেকে যায় আংটির ফাঁকে। খাওয়ার সময় যা পেটে চলে যেতে পারে। যা ডেকে আনতে পারে বড় ধরনের বিপদ। ফলে আপনার পছন্দের আংটিই হয়ে উঠতে পারে আপনার মৃত্যুর কারণ।
শুধু আংটি নয়, কানের দুল, গলার নেকলেস একইভাবে তাবিজ-কবজ থেকেও ছড়াতে পারে এই সংক্রমণ। এই তালিকায় রয়েছে আপনার প্রিয় হাতঘড়িটাও।
এ কারণে চিকিৎসকরা বলছেন, যখন পুরো বিশ্ব করোনায় আক্রান্ত, যেখান থেকে খুশি সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে গয়না-আংটি, হাতঘড়ি, তাবিজ-কবজ এগুলো না পরাই ভালো।
এদিকে, বিশেষজ্ঞদের দাবি, করোনা ভাইরাস বা কোভিড-১৯ আংটির বিভিন্ন ধাতু, রত্নে কতটা সময় পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে, সে ব্যাপারে সর্বজনগ্রাহ্য গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত সময় পাওয়া যায়নি। কিন্তু সাধারণ অভিজ্ঞতা থেকেই বলা যায়, ধাতব আংটি নেকলেসে যথেষ্ট পরিমাণে জমে থাকে ধুলো ও বিভিন্ন ধরনের জীবাণু।
যারা গ্লাভস পরে বাড়ির বাইরে বেরচ্ছেন না, তাদের হাতের আঙুলে থাকা আংটিতে এই পরিস্থিতিতে করোনার মতো জীবাণু ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট। তাই সেই আংটি পরা হাতে আমরা যদি খাই বা বাড়ির লোকজনকে খাবার পরিবেশন করি বা রান্নাবান্না করি, তাহলে জীবাণু সংক্রমণের আশঙ্কা আরও বেড়ে যায়।
করোনা মোকাবিলায় হাত ধোয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কিন্তু অনেক সময় ভালো করে হাত ধোয়ার পরও আঙুলের আংটি পরিষ্কার হয় না। তাতে জীবাণু জমে থাকতে পারে। তা থেকেই সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। একইরকম হয় ঘড়ির ক্ষেত্রেও। তাই এই সংকটপূর্ণ এই সময়ে এসব এড়িয়ে চলাই ভালো।

Leave a Reply