Sunday, March 16

দোকান-শপিংমলে মাস্ক ছাড়া প্রবেশ নয়

আগামী ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে দোকান ও শপিংমল খুলে দেয়া হচ্ছে। তবে মুখে মাস্ক ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকান-শপিংমলে প্রবেশ করতে পারবেন না। বিক্রেতাদেরও মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে।

এ বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিজিবি মহাপরিচালক, কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক এবং আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৫ মে) মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এই চিঠি পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকার দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় অভ্যন্তরীণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, দোকানপাট, শপিংমল আগামী ১০ মে থেকে সীমিত আকারে চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে এতে বলা হয়েছে, হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমলগুলো সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে সীমিত রাখতে হবে। তবে ফুটপাতে বা প্রকাশ্য স্থানে হকার, ফেরিওয়ালা ও অস্থায়ী দোকানপাট বসতে দেয়া যাবে না।

প্রতিটি শপিংমলে প্রবেশের ক্ষেত্রে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারসহ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে। মাস্ক পরা ছাড়া কোনো ক্রেতা দোকানে প্রবেশ করতে পারবে না। সব দোকান কর্মচারীকে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস পরতে হবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এছাড়া প্রতিটি শপিংমল ও বিপণি-বিতানের সামনে সতর্কবাণী ‘স্বাস্থ্যবিধি না মানলে মৃত্যুঝুঁকি আছে’ সংবলিত ব্যানার টানাতে হবে।’

এছাড়া আন্তজেলা, আন্তউপজেলা যোগাযোগ বা জনগণের চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। অর্থাৎ এক উপজেলার লোক অন্য উপজেলায় এবং এক জেলার লোক অন্য জেলায় চলাচল করতে পারবে না।

সেই সঙ্গে রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত অতীব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনোভাবেই বাইরে বের হওয়া যাবে না। আগের মতো জরুরি পরিষেবা, কৃষিপণ্য, খাদ্যসামগ্রী, রফতানি সামগ্রী, ওষুধ ইত্যাদি পরিবহন কাজে সড়ক ও নৌপথে যানবাহন চলাচল অব্যাহত থাকবে।

চিঠিতে আরও বলা হয়, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সামাজিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকবে। আসন্ন ঈদের ছুটিতে সবাইকে নিজ নিজ এলাকা বা কর্মস্থলে থাকতে হবে এবং আন্তজেলা, উপজেলা ও বাড়িতে যাওয়া যাবে না।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক সদস্যকে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বিবেচনা করে সতর্কতার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। প্রতিটি মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা শহরে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা আলোচনা করে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রয়োজন অনুযায়ী জোন ভাগ করে দেবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

**********
আরও পড়ুন
**********

সম্পাদনায়-আরজে সাইমুর: নকশীকাঁথা ব্যান্ডের নতুন মিউজিক ভিডিও ‘চুরি বিদ্যা’ ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে। চোর ও চুরিবিদ্যা সংক্রান্ত কিছু প্রবাদ নিয়ে ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমীর লেখা ও সুরে গানটি ৪ মে, ২০২০ তারিখে প্রকাশ করেছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশন।
গানের অডিও সিডি প্রকাশিত হয় ২০১৬ সালে, লেজার ভিশন থেকে। ‘নকশীকাঁথার গান’ শিরোনামে অ্যালবামের এই গানটি সমসাময়িক সময়ের প্রতিনিধিত্বকারী অন্যতম গান বলে বিবেচনা করছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটি। গানটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে শুটিং করা হয়েছে।
নকশীকাঁথা ব্যান্ডের ভোকাল সাজেদ ফাতেমী বলেন, ‘গত চার বছর থেকে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত আমাদের ব্যান্ডের সব কনসার্টে চুরি বিদ্যা গানটি গেয়েছি। সব খানেই এই গানের প্রশংসা পেয়েছি। আর দেশের ঠিক এখনকার বাস্তবতায় গানটি অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক। তিনি বলেন, এই গান নকশীকাঁথার পরিচিতি বাড়িয়ে দিয়েছে। গানটি ত্রাণ চুরি রোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে ভুমিকা রাখতে পারে।
চুরি বিদ্যা গান সম্পর্কে সাজেদ ফাতেমী বলেন, একটা চোর একবার চুরি করে যখন স্বচ্ছন্দ্যে পালিয়ে যায়, তখন বুঝতে পারে তার জন্য বাকি পথ সহজ হয়ে গেল। ব্যাস, ছিঁচকে চোর থেকে ধীরে ধীরে সে বড় চোর হয়ে ওঠে। বাংলাদেশের সব পেশাতেই কম-বেশি চৌর্যবৃত্তি চলছে। এ দেশের অনেক জনপ্রতিনিধি চাল, ডাল, গম চুরিকে রীতিমতো শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন, যা নিয়ে প্রতিনিয়ত হাস্যকৌতুক করেন সাধারণ মানুষ। একে চুরি বিদ্যাও বলা হয়ে থাকে।

চুরি বিদ্যা গানের ইউটিউব লিঙ্ক – https://www.youtube.com/watch?v=gZR3UdVQNkk&fbclid=IwAR0gTG-DXSqhMRk3XT288jbsBZ7EfWtYnXvRUJEd19_XyWqsMxflnPi7gnE

Leave a Reply