Friday, April 19

হোয়াইট হাউজের রাশিয়া কানেকশনের তদন্ত দাবি রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের

রাশিয়ার সঙ্গে হোয়াইট হাউজের গোপন যোগাযোগের তদন্ত দাবি করেছেন রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট উভয় দলের কংগ্রেস সদস্যরা। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণা চলাকালে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু উচ্চ পদস্থ উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রাশিয়ার গোয়েন্দাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। এ সময়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে অবরোধের প্রসঙ্গও আলোচিত হয়। এ খবর ফাঁস হওয়ার পর সোমবার পদত্যাগ করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে ঝড় বইছে। এরই মধ্যে প্রকাশ পেয়েছে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কয়েকজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টার বিরুদ্ধেও একই রকম প্রমাণ পাওয়া গেছে। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদ ত্যাগ করা মাইকেল ফ্লিন, তৎকালীন নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়ক ম্যানেজার পল মানাফোর্ট, সাবেক পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কার্টার পেজ প্রমুখ। এর ফলে কংগ্রেসের রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেট দলের সদস্যরা হোয়াইট হাউজের অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের রাশিয়া কানেকশন নিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন সিনেট সিলেক্ট ইন্টেলিজেন্স কমিটির ভাইস চেয়ার সিনেটর মার্ক ওর্য়ানার (ডেমোক্রেট), প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য জন কোনিয়ারস (ডেমোক্রেট), এলিজাহ কামিংস (ডেমোক্রেট), রিপাবলিকান দলের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা সিনেটর জন করনিন (রিপাবলিকান), সিনেট ইন্টেলিজেন্স কমিটির সদস্য সিনেটর রয় ব্লান্ট (রিপাবলিকান), সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম (রিপাবলিকান) প্রমুখ। এর মধ্যে সিনেটর মার্ক ওয়ার্নার বলেছেন, হোয়াইট হাউজ ওই যোগাযোগের তথ্য জানতো এবং এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয় নি। এটা গভীর উদ্বেগের বিষয়। তিনি বলেন, ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়ার হস্তক্ষেপ নিয়ে মাইকেল ফ্লিনের বিষয়ে আরও তদন্ত করা উচিত। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের অন্য কোনো কর্মকর্তা যদি পদত্যাগ করেন তাহলেও রাশিয়া কানেকশনের তদন্ত বন্ধ করতে পারবে না। সিনেটর ওয়ার্নার তার ওয়েবসাইটে বলেছেন, সর্বশেষ এসব ঘটনায় অনেকগুলো প্রশ্ন সামনে চলে এসেছে। এ প্রশ্নগুলো নির্বাচনের তিন মাস পর মার্কিনিদের কাছে এসেছে এবং এর কোনো সদুত্তর এখনও দেয়া হয় নি। সে প্রশ্নের মধ্যে অন্যতম হলো কে কে ওই যোগাযোগের বিষয় জানতেন, কখন জানতে পেরেছিলেন, এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত। এ জন্য হাউজ ওভারসাইট, গভর্নমেন্ট রিফর্ম কমিটি, হাউজ জুডিশিয়ারি কমিটি এফবিআই এবং আইন মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে বৃহস্পতিবারের আগেই ব্রিফিং দাবি করেছে। সিনেটর জন কনিয়ার্স ও এলিজাহ কামিংস যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, আমরা কংগ্রেস সদস্য হিসেবে জানতে চাই কে এই একশনে অনুমোদন দিয়েছিল, কে তাদেরকে পারমিট করেছিল, কে মাইকেল ফ্লিনকে আমাদের সবচেয়ে স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য সুবিধা পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিল। আমাদেরকে জানতে হবে হোয়াইট হাউজের বর্তমান ও চলমান আর কোন কোন ব্যক্তি জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি। ডেমোক্রেট এসব সদস্যের সঙ্গে সুর মিলিয়েছেন রিপাবলিকানরাও। রিপাবলিকান সিনেটর রয় ব্লান্ট বলেছেন, সবাই জানতে চান তদন্ত হচ্ছে। মাঝে মাঝেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমালোচনা করেন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম। তিনি এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে একজন প্রার্থীও ছিলেন। তিনি বলেছেন, তদন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। আমি মনে করি অবরোধ প্রত্যাহার নিয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে প্রকৃতপক্ষে কি কথা বলেছিলেন মাইকেল ফ্লিন।

Leave a Reply