আজব বিশ্বের যতসব অবাক করার মতো ঘটনা, হ্যাঁ তবে রটনা মনে করবেন না কিন্তু এবারের ঘটনাটি একেবারে পাকা বিশুদ্ধ,অনেকে অনেক রকম প্রেমের খবর শুনেছেন, ধনীর দুলালীর সাথে গরীবের ছেলের প্রেম কিংবা গরীবের মেয়ের সাথে কোটিপতির ছেলের প্রেম, প্রেমের জন্য মানুষ কত কিছুই না করে তার অনেক নজির আছে পৃথিবীতেই,লাইলী -মজনু, শিরি -ফরাদের কথা না হয় বাদ দিলাম, এই যুগেরই অনেক লাইলী – মজনু আছে তার খবরাখবর কেও কি রাখেন।
হ্যাঁ এবারে যে ঘটনাটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবো সেটি একেবারেই ব্যতিক্রম,এটি কোন প্রেমের ঘটনা নয় তবে ঘটনাটি মিডিয়াজুড়ে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে. সম্প্রতি ভাগ্যবান এক ফকিরের সাথে এক কোটিপতির মেয়ের বিয়ে হয়েছে যেখানে আবার অতিথি হিসেবে এসেছিলেন কয়েক হাজারো ফকির। খবর- হিন্দি কেরালা নিউজের কেশ কিং কোম্পানির মালিক সুরেন্দ্রনাথ একরাতে স্বপ্ন দেখেন তার বিশাল সম্পত্তি ধংশ হয়ে যেতে পারে যেকোন সময়।
পরে চিন্তাগ্রস্ত হয়ে এক সন্ন্যাসীর কাছে যান,সন্ন্যাসী তাকে পরামর্শ দেন তার এই বিশাল সম্পত্তি রক্ষা করতে হলে তার একমাত্র মেয়েকে কোন ফকিরের সাথে বিয়ে দিতে হবে,এই কথা ভেবে সুরেন্দ্রনাথ কোন রকম বিচলিত হননি,তিনি হন্য হয়ে ফকির খুজতে থাকেন।
ব্যাপক খোঁজাখুঁজির পর তেগুভা অঞ্চলে এক যুবক ফকিরের সন্ধান পান। পরে ফকিরের সাথে বিয়ের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ফকির কোনরুপ ভনিতা ছাড়াই রাজি হয়ে যাই,যৌতুক হিসেবে দাবী করেন একটা টেলাগাড়ি কারণ মাটিতে বসে ভিক্ষা করতে তার আর ভালো লাগেনা,আর বিয়ের দিন সব ফকির তার সাথে বরযাত্রী যাবে সেই ব্যবস্থা যেন সুরেন্দ্রনাথ নিজেই করে দেন. আর সুরেন্দ্রনাথ এর প্রস্তাব ছিলো বিয়ের একমাস পার হলেই তার মেয়েকে তালাক দিতে হবে সুরেন্দ্রনাথ এবং গৌতম ফকির উভয়েই সব প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই,কিন্তু বিয়েতে বাধ সাধে তার মেয়ে সুস্মিতা,সর্বশেষ সব পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজি হয়ে যাই।
ব্যাপক ধুমধামের মাধ্যমে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে কিন্তু ফকির গৌতম এখন তার সুর পাল্টিয়েছে,সে তার বউ কে তালাক দিতে নারাজ অপরদিকে সুস্মিতা নিজেই গৌতমের আচরণে মুগ্ধ।
তাহলে এখন কি সুরেন্দ্রনাথ এর সব সম্পত্তির মালিক গৌতম হচ্ছেন,এই বিষয় নিয়ে কেরালায় চলছে ব্যাপক তোলপাড়. তেগুভা অঞ্চলের ফকিরদের প্রধান হারাধন জানিয়েছেন যে,সুরেন্দ্রনাথ কোনরূপ বাড়াবাড়ি করলে ফকিররা গৌতমকে নিয়ে আদালত পর্যন্ত যাবেন।