Friday, April 26

“নস্টালজিয়া”- সামস শাহজাহান

“নস্টালজিয়া”
সামস শাহজাহান (উৎসর্গ ঃকবি সাজ্জাদ সাঈফ)

যখন নিঃসঙ্গতা ভূতুড়ে রাতের মতো গিলে
খায় আমার সমস্ত সত্তা,অস্তিত্ব;
অন্ধকার ও একাকিত্বের শরীর বেয়ে স্মৃতির
কটিতটে জাগে বর্ণিল অতীত,রোমাঞ্চিত
রসাবেশিত প্রহর ফেরে,ফের পুনরাবৃত্ত মত্ত।
যাবতীয় ভোগ চাহিদা ভুলিয়ে কিছু মায়াবী
প্রহর মোহাচ্ছন্ন উঠে মেতে;
আর পরাক্রমী ফল্গুধারার মতো,বিবাগী
বাতাসের মতো;
প্রতাপে প্রবিষ্ট,প্রবাহিত হতে থাকে আমাতে;
অস্তিত্বের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ওঁৎ পেতে।
স্নিগ্ধ স্রোতস্বিনীর মতো,শীতল নির্ঝরের মতো
পলকে পুলকে দিয়ে যায় প্রশান্তির
বিস্ময়কর স্বাদ,অনুভূতি;
হারিয়ে যাই ঘোরলাগা সে অতীতে,মুগ্ধচোখে দেখি
কান্তিময় সেসব দিনের স্মৃতি দ্যুতি;
তার অসীম অপার উজ্জ্বল বিভু,বিভূতি।
স্মৃতির অবাধ্য বেনোজল অসংকোচ ভাসিয়ে
প্লাবিয়ে নেয়,স্মৃতিময় কান্তিময় সোনালী
অতীতের আলেখ্য পথে;
নিরন্তর ভেসে ডুবে চলি সেসব বর্ণিল দিনের নিরবিচ্ছিন্ন স্মৃতিতে স্রোতে;
ভেসে আসে যতো উড়নচণ্ডী,যতো রঙিন;
কোলাহল মুখর বোহেমিয়ান দিন।
অবসরে অবকাশে মেতে ওঠা কতো ঘনিষ্ঠ দিন;
সময়ের স্রোতধারায় উছল উল্লসিত বলগাহীন।
ভেসে আসে কতো স্মিতহাস্য দীপ্ত মুখ,অতীতের লাবণ্যময় স্মৃতি;
প্রচন্ড ব্যাক্তিত্বের খোলস ভেঙে হঠাৎ নাসরিনের
তুমুল রসিকতা মাতামাতি।
যেন মরা নদীতে অকস্মাৎ ভরা জোয়ার,হঠাৎ
তীব্র তুমুল পাড়ভাঙা স্রোতধারা;
তীব্র কোলাহল কলহাস্য কলরোলে আত্মহারা।
আসমান ছেড়ে নেমে আসে অশ্বিনী অরুন্ধতী
বিশাখা রেবতী ফল্গুনী স্বাতী।
জানিয়ে দ্বিধাহীন শর্তহীন সম্মতি;
অনর্গল গেয়ে যায় আমাদের হাসি উল্লাসের
নিটোল নিখাদ স্তুতি।
এ অপার আনন্দের হতো উছল সাথী;
সেসব স্মৃতিময় দিন আপন শক্তিতে উঠে উন্মথি;
সহস্র সহাস্য কলরবে যায় মাতি।
স্মৃতিরা ডাকিনীর মতো মায়াবী প্রহরে ফিরে ফিরে
আসে,ফিরে ফিরে তাকায়;
নিভৃতচারীর মতো সহসা ফেরে সংগোপনে
নিকোটিনের মতো আপন উপস্থিতি জানান দিয়ে শামিল হয় নিটোল নস্টালজিয়ায়।

Leave a Reply