ফ্যাশন দুনিয়ায় প্রায় ১০ বছর ধরে কাজ করছেন ফ্যাশন মডেল কোয়েনা চৌধুরী অনন্যা। অনেক ফ্যাশন শো-সহ কাজ করেছেন বিজ্ঞাপনে। দেশ এবং দেশের বাইরে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছেন তিনি। ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’-এও ছিলেন। ক্যারিয়ারের নানা বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
বর্তমান কাজ সম্পর্কে বলুন?
বতর্মানে আমি ফ্যাশন শো এবং ফ্যাশন হাউসগুলোর ফটোশুট নিয়ে ব্যস্ত আছি। সম্প্রতি সৌরভ সোহাগের কোরিওগ্রাফিতে আরটিভির একটি লাইভ ফ্যাশন শোতেও অংশ নিয়েছি। কিছুদিন আগেও অংশ নিয়েছি চট্টগ্রামের ডিজাইনারসদের একটি ফ্যাশন শোতে।
১০ বছরে কাদের সঙ্গে কাজ করেছেন?
আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মডেল ও ফ্যাশন ডিজাইনার বিবি রাসেলের ছাত্রী আমি। তিনি ছাড়াও সানজিদা হক লুনা, সুমন আহমেদ মন, জিয়া দাদা, জন ভাইয়া, টুলনা আপুসহ আরো অনেক কোরিওগ্রাফারদের সাথে কাজ করেছি।
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
যতদিন কাজ করবো; সম্মান নিয়ে করে যেতে চাই। রাতারাতি তারকা বনে যাওয়ার ইচ্ছে আমার নাই এবং কোনোদিনই ছিল না। দেখে শুনে ভালো কাজ করে যেতে চাই।
র্যাম্পের বাইরের কাজগুলো সম্পর্কে বলুন?
প্রাণ কোম্পানিসহ আরো অনেকগুলো বিজ্ঞাপনে মডেল হয়েছি। উপস্থাপনা করেছি প্রাণ চানাচুর, সিনে মিউজিক ছাড়াও আরো কিছু জন প্রিয় অনুষ্ঠানে। ব্যান্ড তারকা আইয়ুব বাচ্চু স্যার, পলাশ, ডলী সায়ন্তনী, কুমার বিশ্ব জিৎ ,শহীদ ভাইয়াসহ বিভিন্ন শিল্পীর মিউজিক ভিডিওতেও কাজ করেছি। কাজ করেছি দেশের বাহিরের আন্তর্জাতিক মিডিয়া অঙ্গণেও। থিয়েটার করেছিলাম কিন্তু নাটকে তেমনভাবে কাজ করা হয়নি ইচ্ছাকৃত ভাবেই। তবে মনির হোসেন জীবনের পরিচালনা এবং একে আজাদ সানির রচনায় ‘দ্য রিপোর্টার’ নামের একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। গল্পের প্রতি ভালোলাগা থেকে। এতে আমার চরিত্র ছিল একজন সাংবাদিকের।
সাংবাদিক-অভিনেতা একে আজাদ সানির সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা কেমন?
মিডিয়াতে আমরা যখন কাজ করি পরিবারের মত হয়ে কাজ করি। তাই সানি ভালো বন্ধু তার সঙ্গে ও অনেক কাজ করছি। মিডিয়ার মানুষ ভালো সম্পর্কটাকেও অনেক সময় খারাপ চোখে দেখে। কিন্তু সেটা নিয়ে আমি ভাবিনা।