Friday, December 20

সড়ক নয়, যেন মরণ ফাঁদ

বগুড়া-কাহালু গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকায় সড়কটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন শত শত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। মাঝে মাঝে গাড়ির চাকা দেবে বা উল্টে গিয়ে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ বলছে, সম্প্রতি ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হলেও বর্ষার পর কাজ শুরু হবে। ভুক্তভোগীরা সীমাহীন দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনা থেকে মুক্তি পেতে দ্রুত সংস্কার কাজ শুরু করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র জানায়, বগুড়া শহরের তিনমাথা এলাকা থেকে কাহালু উপজেলা সদরের চারমাথা হয়ে দরগাহাট পর্যন্ত মোট ১১ কিলোমিটার সড়ক। গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় কার্পেটিং উঠে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কের বেহাল দশার কারণে মাঝে মাঝে দুর্ঘটনা ঘটছে। খানাখন্দক ভরাটে মাঝে মাঝে ইট ব্যবহার করা হলেও তা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এ সড়কে চলাচলকারী ট্রাকচালক আমিনুর রহমান, সিএনজি অটোরিকশাচালক সিরাজুল ইসলাম, বগুড়া-কাহালু রুটের বাসচালক মন্তেজার রহমান মটু, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাচালক মঞ্জু ফকির, দরগাহাট এলাকার অটো ভ্যানচালক জানান, বর্তমানে সড়কটির অবস্থা এতই খারাপ যে তা ভাষায় প্রকাশ করা সম্ভব নয়। সুস্থ মানুষ চলাচল করলে সে অসুস্থ হয়ে পড়বে। রোগী বিশেষ করে অন্তঃসত্ত্বাদের অবস্থা কাহিল হয়ে যায়।

তারা আরও বলেন, অবিলম্বে সড়কের কার্পেটিং শুরু না করলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।

বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পর হলেও বগুড়া-কাহালু-দরগাহাট ১১ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিংয়ের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বিলম্বে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়ায় তারা এ বর্ষা মৌসুমে কাজ শুরু করতে পারছে না। তারা বর্ষার পরপরই কাজ শুরু করবেন।

বগুড়া সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুজ্জামান জানান, বগুড়া-কাহালু সড়ক সংস্কার কাজে ইতোমধ্যে ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বর্ষায় ভালো কাজ হবে না তাই অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

তিনি বলেন, বর্ষার শেষেই দ্রুত গতিতে সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

Leave a Reply