Friday, April 26

খাঁচায় পশু-পাখি পালন করার বিধান

 

খাবার পানির সঠিক ব্যবস্থা করে ও কোনো ধরনের কষ্ট না দেওয়ার শর্তে খাঁচায় বন্দি করে পাখি পোষা জায়েজ। (আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ৪/৪৫৪, ফাতাওয়ায়ে ফকীহুল মিল্লাত : ১১/১৭৩)

পশু-পাখি খাঁচায় বন্দি রেখে প্রতিপালন করা জায়েজ, যদি তাকে তাদের প্রয়োজনীয় খাদ্য-পানি দেওয়া হয় এবং যথাযথভাবে যত্ন নেওয়া হয়। হাদিসে এসেছে, কিছু সাহাবি খাঁচায় পাখি রেখে লালন-পালন করেছেন বলে। হিশাম ইবনে উরওয়া (রা.) বলেন, ‘আবদুল্লাহ ইবনে জুবায়ের (রা.) মক্কায় ছিলেন।

তখন সাহাবিরা খাঁচায় পাখি রাখতেন। ’ (আল-আদাবুল মুফরাদ, হাদিস : ৩৮৩)

 

আনাস (রা.) বলেন, ‘আমার এক ভাই ছিল; তাকে আবু উমায়ের বলে ডাকা হতো। সে তখন মায়ের দুধ খেত না। যখনই সে নবী (সা.)-এর কাছে আসত, তিনি বলতেন, হে আবু উমায়ের, কী করছে তোমার নুগায়ের? (একটি পাখির নাম। ) সে নুগায়ের নিয়ে খেলত। তিনি আমাদের ঘরে নামাজের জন্য দাঁড়াতেন এবং আমরাও তাঁর পেছনে দাঁড়াতাম। আর তিনি আমাদের নিয়ে নামাজ আদায় করতেন। ’ (বুখারি, হাদিস : ৬১২৯; মুসলিম, হাদিস : ২১৫০)

কিন্তু যদি তাকে খাদ্য-পানি থেকে বঞ্চিত করা হয় বা পর্যাপ্ত যত্ন না নেওয়া হয় তাহলে খাঁচায় বন্দি রেখে পশু-পাখি পালন করা হারাম। আবদুল্লাহ (সা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন এক নারীকে একটি বিড়ালের জন্য আজাব দেওয়া হয়েছে এ জন্য যে সে বিড়ালটিকে আটকে রাখায় সেটি মারা গিয়েছিল। ফলে সে জাহান্নামে গেছে। সে বিড়ালটিকে বেঁধে রেখেছিল কিন্তু নিজেও তাকে খাবার পানীয় দেয়নি আবার ছেড়েও দেয়নি যে সে জমিনের পোকামাকড় খেয়ে বাঁচতে পারে। (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৫৭৪৫)

 

সূত্রঃ কালের কন্ঠ

Leave a Reply