Friday, April 19

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ভৈরব সার্কেলে লজিস্টিক সাপোর্টের অভাব ॥ তবু থেমে নেই কাজ!!

আশরাফুল আলম।। কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি।।

ভৈরবে অনেকেই জানত না এখানে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের সার্কেল অফিস রয়েছে। জানত না তাদের কাজ সম্পর্কে। মাঝ পথে ভৈরব সার্কেল অফিসটি বন্ধ হয়ে গেলেও ২০১৭ সালের ১২ মার্চ নতুন করে চালু হয় ভৈরব সার্কেল অফিসের কার্যক্রম। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ভৈরব সার্কেল অফিসে লোকবল কম ও লজিস্টিক কোনো সাপোর্ট নেই। তবু মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব, কুলিয়ারচর, বাজিতপুর, কটিয়াদি, নিকলী ও অষ্টগ্রাম মিলে ৬টি উপজেলায় কাজ করছেন ভৈরব সার্কেল। অন্যান্য অধিদপ্তরের মত চলমান তাদের কার্যক্রম। বর্তমানে ওই সার্কেল অফিসের মুল দায়িত্বে রয়েছেন একজন নিষ্ঠাবান ইন্সপেক্টর কামনাশীষ সরকার। যার আন্তরিক প্রচেষ্টায় ও কাজে মানুষ জানতে পেরেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের গুরুত্ব ও মর্মার্থ। তবে সরকার থেকে জনবল বৃদ্ধি সহ লজিস্টিক সাপোর্ট পেলে কাজের পরিধি অনেকটা বেড়ে যাবে বলে জানিয়েছেন ভৈরব সার্কেলের ইন্সপেক্টর কামনাশীষ সরকার। ওই সার্কেল অফিসে ইন্সপেক্টর পদসহ লোকবল মাত্র পাঁচজন। ট্রান্সপোর্ট বা অপারেশনের জন্য অতিব জরুরী গাড়ীর ব্যবস্থা নেই, আত্মরক্ষার জন্য নেই অস্ত্র, নেই পর্যাপ্ত লোকবল। ইন্সপেক্টর কামনাশীষ সরকার জানান, পুলিশ প্রশাসন আন্তরিক হলে এবং পুলিশ ফোর্স দিয়ে সহযোগিতা করলে আশানুরুপভাবে আরো বেশি কাজ করা যেত। তিনি আরো জানান, ভৈরবের কথিপয় স্বার্থন্বেসী মানুষ মাদক ব্যবসায়ীদের পক্ষে তদবিরে এসে ব্যর্থ হয়ে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে তাঁর অধিদপ্তরসহ তাকে হেয় করার চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। তবে লজিস্টিক সাপোর্ট ও লোকবল বৃদ্ধি করা হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের কাজের পরিধি অনেকাংশে বাড়বে। মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহতসহ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদকের সাথে কখনো আপষ করবেনা বলেও জানান তিনি। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ভৈরব সার্কেল অফিস সূত্রে জানাযায়, মাত্র ৭ মাসে লোকবল ও সম্পূর্ণ লজিস্টিক সাপোর্ট বিহীন জেলার ৬টি উপজেলায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রনের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। ২০১৭ সালের ১২ মার্চ থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নিয়মিত ৩০টি মামলা, ১২টি মোবাইল কোর্ট ও মালিকবিহীন ৮টি মামলা সহ সর্বমোট ৫০টি মামলা দায়ের করা হয় এবং ওই সকল মামলায় ৪৭জন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আলামত হিসেবে ১৬০৫ পিচ ইয়াবা, ১৫৬ বোতল ভারতীয় নিষিদ্ধ ফেন্সিডিল, ৩৯ কেজি গাঁজা ও ৩৮ লিটার চোলইমদ উদ্ধার করা হয়। এদিকে ভৈরবের স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলে জানাযায়, দীর্ঘদিন ধরে ভৈরব সার্কেল অফিস থাকলেও কেউ জানত না তাদের কাজ সম্পর্কে। গত ছয়মাস ধরে ওই অফিসের কার্যক্রম চোখে পড়ার মত হওয়ায় মানুষের মুখে মুখে এখন ভৈরব সার্কেলের নাম।

Leave a Reply