Friday, April 26

কিশোরগঞ্জ ভৈরবে র‍্যাবের ভেজাল বিরোধী অভিযান

আশরাফুল আলম।।

কিশেরাগঞ্জের ভৈরবে র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের ভেজাল বিরোধী অভিযানে ১টি বেকারী কারখানা, ১টি সেমাই কারখানা ও ২টি চানাচুর কারখানাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৫লাখ ৭০ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা সহ ৪ হাজার ৭শ কেজি ভেজাল খাদ্য সামগ্রী ধ্বংস করা হয়।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে উক্ত ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু হয় এবং রাত ১০টা পর্যন্ত এ অভিযান পরিচালিত হয়।
এসময় ভৈরব পৌর এলাকার ভৈরব বাজারস্থ আল-আমিন সেমাই কারখানা, পঞ্চবটী নতুন রাস্তা এলাকার মুন্না ফুড প্রোডাক্সের মেসার্স বোম্বাই চানাচুর কারখানা, পঞ্চবটি বৌবাজার এলাকার ইয়াকুব এন্ড মাহবুব চানাচুর কারখানা ও ভৈরবপুরস্থ রহিম বেকারীতে র্যাবের ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনার সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিলরুবা আহমেদ ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) মো: জাকির হোসাইন। উক্ত অভিযানে র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর নাজমুল আরেফিন পরাগ, সহকারী পরিচালক এএসপি জুয়েল চাকমা সহ র্যাব সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক মেজর নাজমুল আরেফিন পরাগ জানান, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের বিভিন্ন ধারা লংঘন করায় উক্ত ভেজাল বিরোধী অভিযানে আল আমিন সেমাই কারখানা মালিককে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা, মুন্না ফুড প্রোডাক্সের প্রতিষ্ঠান মেসার্স বোম্বাই চানাচুর কারখানা মালিককে ২লাখ ৫০ হাজার টাকা, ইয়াকুব এন্ড মাহবুব চানাচুর কারখানা মালিককে ১ লাখ টাকা ও রহিম বেকারীকে ১লাখ টাকা নগদ জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। তিনি জানান, র্যাব সূচনালগ্ন থেকেই মানুষের কল্যাণে কাজ করে আসছে। র্যাব বাহিনীর প্রতি মানুষের শতভাগ আস্থা রয়েছে। সেই আস্থা অর্জনে বরাবরই এ বাহিনী প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে নিরলসভাবে মাদক ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ সহ সকল ভেজালের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। র্যাবের এ ভেজাল বিরোধী অভিযান অব্যহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এদিকে ভৈরবে অর্ধশত বেকারী ও চানাচুর কারখানা, সেমাই কারখানা, শতাধিক কয়েল কারখানা, করাত মিল, খাবার হোটেল, পলিথিন কারখানা সহ বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের বেশিরভাগই নিযমনীতির তোয়াক্কা না করে নোংরা পরিবেশে খাদ্য সামগ্রী উৎপাদন করছে। এদের মধ্যে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানেরই অনুমোদন নেই বলে জানা গেছে। লাইসেন্স ও পরিবেশ ছাড়পত্র বিহীন বিভিন্ন কারখানা ব্যাঙের ছাতার মত শহরের আনাছে কানাছে আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে। এতে করে এক দিকে যেমন ভেজাল পণ্য উৎপাদন করা সুযোগ পাচ্ছে, অপরদিকে পরিবেশ দূষণের মাধ্যমে জনজীবন হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এসকল প্রতিষ্ঠানে র্যাব সহ স্থানীয় প্রশাসন নিয়মিত অভিযান পরিচালনা অব্যহত রাখলে কিছুটা হলেও ভেজাল পণ্য উৎপাদন বন্ধ সহ পরিবেশ দুষণের হাত থেকে ভৈরববাসীর পরিত্রান মিলবে বলে স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন।

Leave a Reply