Wednesday, April 24

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় পুলিশের সিভিলটিমের আটক বানিজ্য

অনলাইন ডেস্ক।।

কিশোরগঞ্জ ভৈরব উপজেলার শহরে এখন পুলিশের সিভিলটিমের আটক বাণিজ্যের কারনে শহরময় আতঙ্ক বিরাজ করছে।যদিও সিভিলটিম করা পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে কোন অনুমতি নেই, যাহা নিয়ম বহির্ভূত। এ সিভিল টিমের কাজ হলো যখন যাকে খুশি আটক করবে, আর অর্থ আদায় করবে। সিভিলটিমের চাহিদামত অর্থ না দিলে মাদক ব্যবসায়ী বানিয়ে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। পুলিশের এ সিভিল টিমের সদস্য রয়েছে ৬ জন। এদের টিম লিডার হলো এস.আই মতিউর রহমান। টিমের অন্য সদস্যরা হলো-এস.আই অভিজিৎ চৌধুরী, এস.আই মাজাহারুল ইসলাম, এস.আই আজিজুর রহমান, এসআই আনোয়ার হোসেন ও এস.আই ওসমান গনি।খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, ভৈরব শহরে অপরাধ বেড়ে যাওয়ায় অপরাধীদের ধরতে প্রথমে সাদা পোষাকে পুলিশ শহরে ডিউটি শুরু করে। ছিনতাইকারীদের হাতে পুলিশ সদস্য নিহতসহ বন্দুক যুদ্ধে ডাকাত মারা যায়। ফলে শহরে অপরাধ কমাতে পুলিশের এস.আই মতিউর ৬ সদস্যর সিভিল টিম ঘটন করে। তাদের চলাচলের জন্য মাসিক ৫০ হাজার টাকায় একটি মাইক্রোবাস ভাড়া নেন।প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত পযর্ন্ত সিভিল টিম শহর ও গ্রাম এলাকা থেকে বিভিন্ন চিহ্নিত মাদক বিক্রেতাসহ নিরাপরাধী লোক ধরে নিয়ে আসে। সকাল হওয়ার আগেই লক্ষ লক্ষ টাকা বানিজ্য করে অপরাধীদের ছেড়ে দেয়া হয়। যারা টাকা দিতে পারেন না তাদের মাদক ব্যবসায়ী বা চোর বানিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।রোববার দিবাগত রাতে ভৈরবের শ্রীনগর এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা মুছা মিয়া ও ছালাম মিয়াকে ৪ হাজার পিস ইয়াবাসহ এ সিভিল টিম আটক করে। থানায় আনার আগেই ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার বিনিময়ে মাদক বিক্রেতা ছালামকে ছেড়ে দেয়া হয়। তাদের সাথে টেকনাফ এলাকার এক মাদক বিক্রেতা ছিল। পরে মুছা,মিজান ও শুভ নামে ৩ মাদক বিক্রেতাকে ৭ শত পিস ইয়াবা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।এ ব্যাপারে সিভিলটিম প্রধান এস.আই মতিউর রহমান ছালামকে ছেড়ে দেয়ার কথা অস্বীকার করেন। সিভিল টিমের অপর সদস্য এস.আই ওসমান গনি বলেন, পুলিশের সিভিলটিম নিয়ে এলাকায় দূর্নাম হচ্ছে দেখে তিনি এ টিমে এখন কাজ করতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। রোববার দিবাগত রাতের অভিযানে তিনি ছিলেন না।এ ব্যাপারে থানার ওসি মোকলেসুর রহমানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি মাসিক মিটিংয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply