Thursday, March 28

খালেদার জিয়ার সাজা নিয়ে সেনা প্রধান মঈন ইউ আহমেদের বিস্ফোরক মন্তব্য!… পড়ুন

খালেদার জিয়ার সাজা নিয়ে-
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অন্যতম কুশিলব, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে বসবাসরত সাবেক সেনা প্রধান জেনারেল (অব.) মঈন ইউ আহমেদ বলেছেন, এই শাস্তি বেগম জিয়ার প্রাপ্য ছিল। শাস্তিটা বহু আগেই হওয়া উচিত ছিল। দেরিতে হলেও, তিনি বুঝতে পেরেছেন কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়।
জেনারেল মঈন বলেন, এটাই ছিল ওয়ান-ইলেভেনের স্বপ্ন। এই রায়ের মধ্যে দিয়ে ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন পূরণ হলো।
সম্প্রতি নিউইয়র্কে বাঙালি কমিউনিটির এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন বলে বিশেষ সুত্রে জানা গেছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবং একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নিউইয়র্কে বসবাসরত সাবেক সেনা কর্মকর্তারা ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। গত রোববার সন্ধ্যায় ব্রুকলিন থিয়েটার হলে এই অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন জেনারেল মঈন ইউ আহমেদ।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেছেন, এই মামলার রায়ের মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হলো যে, আমাদের মামলা করার সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল। আমরা তথ্য প্রমাণের ভিত্তিতেই মামলা করেছিলাম।
ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম এই কুশীলব বলেন, বেগম জিয়ার ধারণা ছিল, তিনি এবং তাঁর পরিবার আইন ও বিচারের উর্ধ্বে। কেউ তাঁকে এবং তাঁর পরিবারকে কিছু করতে পারবে না।
এই রায় সেই ধারণা পাল্টে দিয়েছে। এর ফলে, ভবিষ্যতে যেই অন্যায় করবে, যেই দুর্নীতি করবে, সেই আইনের আওতায় আসবে। দেরিতে হলেও আসবে।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ৫বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন নিম্ন আদালত।

এ মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১০ বছর কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে এ রায় ঘোষণা করেন মামলার বিচারক ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ মো. আখতারুজ্জামান।
মামলার অন্যান্য ৫ আসামীকেও ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সাজা প্রাপ্ত অন্য আসামীরা হলেন- সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান। মামলায় শুরু থেকে পলাতক আছেন তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান।
রায়ে সাজাপ্রপ্ত প্রত্যেকের ২কোটি ১০লক্ষ ৭১ হাজার টাকা সমপরিমান জরিমানাও ধার্য করা হয়েছে।
মঈন ইউ আহমেদ
এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। আপিল শুনানিতে খালেদার অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। পরবর্তীতে ২২ ফেব্রুয়ারি খালেদার জামিন আবেদন করা হলে ২৫ ফেব্রুয়ারি জামিন শুনানি শেষ করেন আদালত। তবে রায়ের নথি আসার পর জামিন আবেদনের আদেশ দেওয়া হবে বলে জানান আদালত।

Leave a Reply