Saturday, April 27

গুলিস্তানে নেয়ার পর গামছা কিনে চোখ বাঁধা হয় আমাদের

গামছা কিনে চোখ – কোটা ব্যবস্থা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী তিন শিক্ষার্থীকে চোখ বেঁধে ডিবি কার্যালয়ে তুলে নেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।

সোমবার ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে সংবাদ সম্মেলনে একথা জানান তারা।

ভিডিওটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন…

বিকাল ৪ টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে আসা পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, গুলিস্তানে নেয়ার পর গামছা কিনে চোখ বাঁধা হয়। মাথায় হেলমেট পড়ানো হয় আমাদের। এরপর ডিবি অফিসে নেয়া হয়।

নুরুল হক নুরের সঙ্গে ছাড়া পাওয়া অপর দুই নেতা হচ্ছেন সংগঠনটির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান ও ফারুক আহমদ। তারাও এসময় বক্তব্য রাখেন।

বিস্তারিত আসছে ……

অনেক জোর করার পরও তাকে এক টাকাও দিতে পারিনি

তাকে এক টাকাও – এস আই মো. আশরাফ আলী ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়তেন। কেউ চাইলেও তাকে ঘুষ দিতে পারতেন না। তার স্ত্রী একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করে। তিনি এসআই হয়েও পুলিশ মেসে থেকে সন্তানদের মানুষ করার চেষ্টায় ছিলেন। স্ত্রীর বেতন আর তার বেতন মিলিয়ে।

এতো ভালো একজন মানুষ এই বয়সে ষ্টোক করে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। ভালো মানুষ বেশিদিন বাঁচে না। তাঁকে পল্লবী থানা থেকে বদলি হওয়ার পর আর দেখিনাই। কোথায় বদলি হয়েছে তাও জানতাম না। আজ হঠাৎ একজনের ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে জানলাম তিনি আর নেই।

ভাসানটেক থানায় ডিউটিরত অবস্থায় সাত দিন আগে বুকে ব্যথা নিয়ে হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি হয়েছিলেন। আজ সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

তাঁর সাথে আমার পরিচয় হয়েছিল আমার মায়ের এটিএম কার্ড থেকে টাকা চুরি করার মামলা করতে গিয়ে। তিনি ছিলেন সেই মামলার আইও। এটিএম-এর ফুটেজ উদ্ধার এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তাঁর পকেট থেকে টাকা খরচ হয়েছিল সেই মামলা তদন্ত করতে গিয়ে। আমি অনেক চেষ্টা করেছিলাম, তার পকেট থেকে খরচ হওয়া সেই টাকাটা দিতে।

আমি জানতাম, তিনি ঘুষ নেন না। ফলে তার অর্থনৈতিক অবস্থাও ভাল না। কিন্তু, অনেক জোর করার পরও তাকে এক টাকাও দিতে পারিনি।

তিনি বলতেন, আল্লাহ যেন আমাকে পাপের টাকা থেকে হেফাজত রাখে। আল্লাহ যেন তাকে আখেরাতে পৃথিবীর এই ত্যাগের জন্য পুরস্কৃত করেন। আমিন।

(লেখকের ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

Leave a Reply