চতুর্থ দিনেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মোহালি টেস্ট জিতে নিলো স্বাগতিক ভারত। সিরিজের তৃতীয় টেস্টে ইংলিশদের ৮ উইকেটে হারিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল কোহলির দল।
তৃতীয় দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট কেরতে নমে ৪ উইকেটে ৭৮ রান তুলে দিন শেষ করেছিলো ইংল্যান্ড। ফলে ইনিংস হার এড়ানোর জন্য ৫৬ রান প্রয়োজন ছিলো তাদের। কিন্তু দিনের শুরুতে গ্যারেথ ব্যাটি ও জশ বাটলার ফিরে গেলে ৬ উইকেটে ১০৭ রানে পরিণত হয় ইংলিশরা। চিন্তায় পড়ে যায় সফরকারীরা। অবশ্য ইংল্যান্ডের সেই চিন্তা দূর করেন জো রুট।
৩৬ রান নিয়ে শুরু করে ভারতের বাঁ-হাতি স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার শিকার হবার আগে ৭৮ রানে থামেন রুট। এর আগে ব্যাটিকে শুন্য হাতে ফেরান জাদেজা। বাটলারকে ১৮ রানে থামান অফ-স্পিনার জয়ন্ত যাদব।
৩ উইকেটের বিনিময়ে ইনিংস হার এড়ানোর পর, ভারতের বিপক্ষে লড়াই করার পুঁজি দাড় করানোর সিদ্ধান্ত নেন হাসিব হামিদ। আঙ্গুলের ইনজুরির কারণে ওপেনার হিসেবে খেলতে না পারা হামিদ, ব্যাট হাতে নামেন আট নম্বরে। ক্রিজে গিয়েই ভারতীয় বোলারদের চিন্তায় ফেলে দেন তিনি।
সাবলীলভাবেই স্কোরবোর্ডে রান তুলছিলেন হামিদ। তাকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন ক্রিস ওকস। ফলে অষ্টম উইকেটে ৪৩ রান যোগ করেন তারা। এই জুটি ভেঙ্গে ইংল্যান্ডের অষ্টম উইকেট তুলে নেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সামি। ৩০ রানে থাকা ওকসকে শিকার করেন সামি। এক বল পর আদিল রশিদকেও নিজের শিকারে পরিণত করেন সামি। ১৯৫ রানে নবম উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এতে ২শ’র নীচে অলআউটের শংকায় পড়ে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটি হতে দেননি হামিদ।
শেষ ব্যাটসম্যান জেমস এন্ডারসনকে নিয়ে লড়াই করেছেন হামিদ। সেই সাথে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরিও তুলে নেন তিনি। কিন্তু ৯১ ওভারের দ্বিতীয় বলে দু’রান নিতে গিয়ে রান আউটের ফাঁদে পড়েন এন্ডারসন। ২৩৬ রানেই থেমে যায় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস। এতে অপরাজিত থেকেই থেমে যায় হামিদের নান্দনিক ইনিংসটি। ৬টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৫৬ বলে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন ১৯ বছর বয়সী হামিদ। এই ইনিংসে ৩ উইকেট নেন ভারতের অশ্বিন।
জয়ের জন্য ১০৩ রানের সহজ টার্গেটে খেলতে নেমে দলীয় ৭ রানেই ওপেনার মুরালি বিজয়কে হারায় ভারত। শুন্য হাতে ফিরেন তিনি। তবে দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছেড়েছেন আরেক ওপেনার ও উইকেটরক্ষক পার্থিব প্যাটেল। আট বছর পর টেস্ট খেলতে নেমে দ্বিতীয় ইনিংসে ৫৪ বলে ৬৭ রান করেন প্যাটেল। টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম হাফ-সেঞ্চুরি পাওয়া ইনিংসে ১১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। প্রথম ইনিংসে ৪২ রান করেছিলেন প্যাটেল।
প্যাটেলের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি গড়ে দলের জয়ে অবদান রাখেন চেতেশ্বর পূজারা। ২৫ রানে ফিরেন তিনি। আর ৬ রানে অপরাজিত থেকে প্যাটেলের সাথে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ম্যাচের সেরা হয়েছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।
মুম্বাইয়ে আগামী ৮ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে সিরিজে চতুর্থ টেস্ট।