সার্চ কমিটিতে আসা সদস্যদের বিরুদ্ধে শাসক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এই প্রেক্ষাপটে নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের কোনো আশা দেখছে না তার দল। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে নবগঠিত জাতীয়তাবাদী যুবদলের পুস্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব এই সংশয় প্রকাশ করেন। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটি ‘দলীয় সংকীর্ণতা’র ঊর্ধ্বে উঠে কাজ করতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, গঠিত সার্চ কমিটির প্রায় সকল সদস্য আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কাজেই তাদের দ্বারা নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষ হবে সে সর্ম্পকে আমরা (বিএনপি) সন্দিহান।
মির্জা আলমগীর বলেন, যে সার্চ কমিটি গঠিত হয়েছে, তারা কি করবেন, এটা সম্পর্কে আমাদের ধারণা প্রায় স্পষ্ট। সেজন্যে আমরা পার্টি হিসেবে নতুন করে কোনো আশা দেখতে পারছি না। এখন জনগনের আশা-আকাংখার প্রতিফলন তারা যদি ঘটাতে পারেন, তাহলে আমরা মনে করব দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে তারা কাজ করবেন। জানি না, তারা পারবেন কিনা। আমরা খুব বেশি আশা করছি না। এই সার্চ কমিটি যে, একটি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেক্ষেত্রে আমাদের আশা নাই। এতে আমরা আহত হয়েছি, আমরা কিছুটা ক্ষুব্ধ। জাতিসংঘসহ ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের উদ্যোগ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব কলেন, সার্চ কমিটি গঠনের আগে হলেও হতো। এখন কতটুকু কার্যকর হবে, আগাম আমি কিছু বলতে পারি না। তবে এতটুকু বলতে পারি, অতীতে জাতিসংঘের উদ্যোগ সফল হয়নি। এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সমাজ কলাণ বিষয়ক সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন, সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম আলিম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিবর, সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করিম বাদরু, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, যুগ্ম সাধারণ সম্পদক নূরুল ইসলাম নয়ন, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, যুবদল ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি এসএম জাহাঙ্গির হোসেন প্রমুখ।