Thursday, April 18

থাইয়ের প্রচণ্ড ব্যথায় যা করণীয়

 

গ্রোইন পেইন বা অ্যাডাকটর পেইন এমন এক ধরনের ব্যথা যা, মূলত আমাদের গ্রোইন বা কুঁচকিতে হয়। এ ধরনের ব্যথা খুব ধীরে ধীরে তৈরি হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি হয়।

কারণ

আমাদের চলাফেরার মধ্যে যেকোনো সময় যদি কখনো অ্যাডাকটর পেশিতে টান লাগে তখন একটি প্রদাহজনিত সমস্যা তৈরি হয়। হঠাৎ বেশি ব্যথা থাকলেও পরবর্তী সময়ে কমে আসে; কিন্তু যেহেতু চলাফেরা বা অন্যান্য কাজে কোনো বিধি-নিষেধ থাকে না, তাই প্রদাহজনিত সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয়।

তখন এই ব্যথা মূলত প্রদাহজনিত না থেকে একটি ডিজেনারেশন পরিবর্তন হয় বা জটিল ব্যথায় রূপান্তরিত হয়।

 

লক্ষণ

ব্যথা সাধারণত থাইয়ের ভেতরের দিক থেকে হয় এবং থাইজুড়ে ব্যথা অনুভূত হয়।

চিকিৎসা

প্রাথমিক অবস্থায় ব্যথার চিকিৎসা সহজ থাকলেও ব্যথার ধরন যখন পরিবর্তিত হয়, তখন এর চিকিৎসাব্যবস্থাও পরিবর্তন হয়। আর চিকিৎসা পদ্ধতি মূলত নির্ভর করে সঠিক রোগ নির্ণয় বা ব্যথার কারণ নির্ণয়ের ওপর। এ ক্ষেত্রে রোগীরা সাধারণত একাধিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে যখন ব্যথার কোনো উন্নতি হয় না, তখন তাঁরা হতাশ হয়ে পড়েন। এ অবস্থায় তাঁকে সময় দিয়ে ব্যথার কারণ এবং এর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার বিষয় আগে আলোচনা করে চিকিৎসা পদ্ধতি নির্ধারণ করা হয়।

মূলত দুটি পদ্ধতিতে চিকিৎসা করা হয়। প্রথমত, ওষুধ এবং কিছু পরামর্শ মেনে চলার মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসায় উন্নতি লাভ করলে একই চিকিৎসা এক থেকে দেড় মাস অব্যাহত রাখতে বলেন ডাক্তাররা। কারণ দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা হঠাৎ চিকিৎসায় উন্নতি হলেও পরবর্তী সময়ে আবার আসতে পারে। এ জন্য দীর্ঘমেয়াদি ব্যথার জন্য দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যর্থ হলে ইন্টারভেনশন বা ইনজেকশন পদ্ধতির মাধ্যমে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ইনজেকশন মূলত অত্যাধুনিক আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের সাহায্যে প্রয়োগ করা হয়। এতে সুনির্দিষ্ট জায়গায় ওষুধ প্রয়োগ করার মাধ্যমে ব্যথা নিরাময়ের চেষ্টা করা হয়। কিছু মেডিসিন পরবর্তী সময়ে নিয়মিত চিকিৎসায় প্রদান করা হয়।

 

পরামর্শ দিয়েছেন

ডা. মো. আহাদ হোসেন

চিফ কনসালট্যান্ট ও ব্যথা বিশেষজ্ঞ

বাংলাদেশ সেন্টার ফর রিহ্যাবিলিটেশন, কাটাবন, ঢাকা।

 

সূত্রঃ কালের কন্ঠ

Leave a Reply