Friday, March 29

ভারতকে লজ্জাজনক ভাবে হারিয়ে জয়ের পতাকা উড়াল শ্রীলংকা !

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় ক্রিকেট দলকে লজ্জাজনক ভাবে হারিয়ে জয়ের পতাকা উড়াল শ্রীলংকা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে আসার আগে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত ঘোষণা দিয়েছিল শিরোপা ধরে রাখতে চায় তারা। সেই সুযোগ এবং সম্ভাবনা এখনও আছে।

তবে দুর্বল দল নিয়ে খেলতে আসা শ্রীলঙ্কার কাছে এমন পরাজয় বরণ করতে হবে তা কী ভেবেছিল কেউ? টুর্নামেন্টে সবচেয়ে ব্যালেন্সড টিম নিয়ে এসেছে ভারত। প্রথম ম্যাচে তো পাকিস্তানকে স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে কোহলিরা।

আজ শ্রীলংকার বিপক্ষে আগে ব্যাট করে ৩২১ রান তুলেও ৭ উইকেটে পরাজিত হয়ে লজ্জায় ডুবে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পাশাপাশি চ্যাম্পিয়নস ট্রফির এবারের আসরে প্রথম জয়ের মুখ দেখল অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের দল। তরুণ, অনভিজ্ঞ দল নিয়ে শ্রীলঙ্কানদের এই লড়াই অনেকদিন মনে রাখবে ক্রিকেটবিশ্ব।

৩২২ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১১ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছিল লঙ্কানরা। ভুবনেশ্বর কুমারের বলে রবীন্দ্র জাদেজার তালুবন্দী হন নিরোশান ডিকাভিলা (৭)। পরের উইকেট তুলে নিতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়েছে কোহলিদের।

দ্বিতীয় উইকেটে ১৫৯ রানের দুর্দান্ত জুটি গড়ে ম্যাচের

নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নন দুই লঙ্কান গুনাথিলানকা এবং কুশল মেন্ডিস। গুনাথিলানকা ৭৬ রানে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হলে ভাঙে এই জুটি। এরপর ৮৯ রান করে কুশল মেন্ডিসও রানআউটের শিকার হন!

দলের হাল ধরে চতুর্থ উইকেটে অ্যাঞ্জেলো ম্যথুজের সঙ্গে ৭৫ রানের জুটি গড়েন কুশল পেরেরা। কিন্তু আবারও বিপদ! পেশিতে টান পড়ায় রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন কুশল পেরেরা। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ৪৪ বলে ৪৭ রান করেন। তবে অ্যাশলে গুনারত্নেকে সঙ্গী করে অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজের অবিচ্ছিন্ন ৫১ রানের জুটিতে ৮ বল হাতে রেখে সহজেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলকে যথারীতি দারুণ সূচনা এনে দেন ভারতের দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং রোহিত শর্মা। ওপেনিং জুটি হয়েছে ১৩৮ রানের। এরপর ছোট্ট একটি ধস। পরপর ফিরে যান রোহিত এবং শূন্য রানে অধিনায়ক কোহলি। এতে কিছু যায় আসেনি বিশ্বসেরা ব্যাটিং লাইনআপ সমৃদ্ধ দলটির। শিখর ধাওয়ানের সেঞ্চুরি আর সাবেক অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৬ উইকেটে ৩২১ রান সংগ্রহ করে ভারত।

অভিজ্ঞ পেসার লাসিথ মালিঙ্গাকে ইনিংসের প্রথম বলেই বাউন্ডারি হাঁকান রোহিত। লঙ্কানরা কোনোভাবেই এই জুটিকে ভাঙতে পারছিল না। শেষ পর্যন্ত সেই মালিঙ্গাই ভরসা হলো। লঙ্কান গতিদানবের বলে থিসারা পেরেরার তালুবন্দী হলেন রোহিত শর্মা। এর আগে ৭৯ বলে ৬ চার আর ৩ ছক্কায় করেছেন ৭৮ রান। ঠিক ৬ বল পরে নুয়ান প্রদীপের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন কোহলি। কোহলির সেদিনকার ধ্বংসযজ্ঞের সঙ্গী যুবরাজ সিংও ব্যর্থ হয়েছেন এদিন। মাত্র ৭ রান করে গুনারত্নের বলে বোল্ড হয়ে যান এই হার্ডহিটার।

এরপর মহন্দ্র সিং ধোনির সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ৮২ রানের জুটি গড়েন ধাওয়ান। ১১২ বলে ১৩ বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারে ১০ম সেঞ্চুরি হাঁকান ৭৮ ম্যাচ খেলা ধাওয়ান। মালিঙ্গার দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে তিনি ১২৫ রান করেন। এসময় একটি ছক্কাও হাঁকান তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া আজ ‘ম্যাজিক’ দেখাতে পারেননি।

লাকমলের বলে কুশল পেরেরার হাতে ক্যাচ দিয়েছেন মাত্র ৯ রানে। এই ৯ রানের মধ্যে ১টি আবার ছক্কা। কিন্তু ‘মি. কুল’ ধোনি আছেন না? চোখ ধাঁধানো সব শটে এদিন তুলে নিলেন ক্যারিয়ারের ৬২তম হাফ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৫২ বলে ৭ চার এবং ২ ছক্কায় ৬৩ রানের করে থিসারা পেরেরার বলে চান্ডিমালের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

Leave a Reply