বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। আমরা তাদের আমাদের দলের অবস্থান জানিয়েছি।’
আজ বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘দেশের বর্তমান রাজনৈতিক অবস্থা, খালেদা জিয়ার রায়সহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেছে। আমরা তাদের আমাদের দলের অবস্থান জানিয়েছি।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল মাহবুবুর রহমান, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান, সাবেহ উদ্দিন, আবদুল কাইয়ুম, দলের ভাইস চেয়ারম্যান এনাম আহমেদ চৌধুরী, বিশেষ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রিপন।
ইইউ প্রতিনিধিদলের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সফররত দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জিন ল্যামবার্ট, জেমস নিকলসন রিচার্ড করবেট, ওয়াজিদ খান ও সাজ্জাদ করিম।এদিকে বুধবার দুপুরে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে অনশন কর্মসূচির মাধ্যমে শেষ হয় বিএনপির তিন দিনের কর্মসূচি। এরপর নতুন কর্মসূচি জোটগতভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট।
মির্জা ফখরুল জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির পরবর্তী কর্মসূচি জানানো হবে।
এর আগে আজ সন্ধ্যা ৬টা ৫০ মিনিটে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ইইউ প্রতিনিধিদল। এরপর ৬ টা ৫৬ মিনিটে বৈঠক শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা বৈঠক শেষে সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করেন ইইউ সদস্যরা।গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গুলশানে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিদেশি কূটনৈতিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা। সেখানেও দলীয় চেয়ারপারসনের সাজা ও সমসাময়িক রাজনৈতিক বিষয়ে তাঁদের অবহিত করা হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছর এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।