Saturday, April 20

লাইভে এসে একি কান্ড করলো পূর্ণিমা সবাই দেখুন একবার!

ভিডিওটি দেখতে পোস্টের নিছে চলে যান

এই ভিডিওটি অনলাইন ইউটিউভ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই ভিডিও নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে এর দায়ভার ইউটিউব চ্যানেল নিবে।

ফার্স্ট লেডি’ শব্দটি বলতেই ভেসে উঠে যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসের অভ্যন্তরীণ দিক সামলানো এক মার্কিন নারীর প্রতিচ্ছবি।
যার চাকরির নির্দিষ্ট কোন সংজ্ঞা নেই, নেই বেতন কিংবা আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি, তবে স্বামীর দ্বারা প্রতারিত হওয়ার ঘটনার অভাব নেই।
সম্প্রতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে পর্ণস্টার স্টোমি ড্যানিয়েল ও প্লেবয়-প্লেমেট কারেন ম্যাকডোলের অবৈধ সম্পর্কের খবর চাউর হয়েছে। তাদের দাবি, মেলানিয়ার সঙ্গে বিয়ের পর অবাধে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে গিয়েছেন ট্রাম্প।
তবে প্রেসিডেন্টের এই ধরণের যৌন কেলেঙ্কারির কথা মার্কিন জনগণের গা সওয়া হয়ে গেছে। সেই সঙ্গে মেলানিয়া ও অন্য ফার্স্ট লেডিদেরও।
তবে সাম্প্রতিক অভিযোগকে কেন্দ্র করে ফ্লোরিডা সফরে ট্রাম্পের সঙ্গে একসঙ্গে হাঁটতে দেখা যায় নি মেলানিয়াকে। এছাড়াও কয়েকটি ইভেন্টে ট্রাম্পকে এড়িয়ে যেতে মেলানিয়ার শারীরিক ভাষা সবার নজর কেড়েছে। গনমাধ্যম জানায়, এটিকে ‘মি টু’ মুভমেন্টের একটি অংশ বলা যায়।
তবে এর আগে ট্রাম্পের মত ক্ষমতাশালী প্রেসিডেন্টদের অন্য নারীর প্রতি আসক্তি তাদের স্ত্রীরা অন্যদিকে তাকিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার ভান করেছিলেন। এই ক্ষমতাশালী ব্যক্তিদের স্ত্রী হয়ে তারা খ্যাতি ও সম্পদের বাহিরে আর কিছুই পাননি। এক্ষেত্রে অন্যতম উদাহরণ সাবেক ফার্স্ট লেডি জ্যাকি কেনেডি ও হিলারি ক্লিনটন।

বুদ্ধিমত্তা,পারদর্শিতা ও মেধার কারণে তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোন অবকাশ নেই।
বাদ যান না প্রেসিডেন্ট লিনডন জনসনও, কোন পার্টিতে তার সুন্দরী তরুণীদের বগলদাবা করে এক কোণে নিয়ে যাওয়াটা ছিল ওপেনসিক্রেট। দিনশেষে তার মুখে লেগে থাকত লিপস্টিকের ছোঁয়া, তার এহেন আচরণে তার স্ত্রী লেডি বার্ড অনেকসময় নিজেকে বিব্রত না করতে তার কাছে অনুরোধও করেছিলেন। একবারতো তিনি বলে বসেছিলেন, এমন কার্যকলাপের জন্য তোমার বন্ধুরাই তোমাকে অগ্রাহ্য করছে।
স্বামীর মৃত্যুর পর একাধিক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে এক সাংবাদিকের প্রশ্লের উত্তরে লেডি বার্ড অট্টহাসি দিয়ে বলেছিলেন, ‘ল্যানডন ছিল জনগণের প্রেমিক, তবে বিশ্বের অর্ধেকের মত নারী হয়তো এই সংখ্যার বাহিরে।’ লেডি বার্ডের উত্তরসূরী জ্যাকি কেনেডিও এই ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়ার অন্যতম উদাহরণ।
জ্যাকি একবার তার বন্ধু জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত আদলাই স্টেভেনসনকে বলেছিলেন, জ্যাক কত নারীর সঙ্গে ঘুমিয়েছেন তা নিয়ে আমার কোন মাথাব্যাথা নেই, যতদিন না আমি জানি যে, ‘সে নিজেই জানে সে ভুল করছে। আমি মনে করি এখনও সে তাই করছে।’ জ্যাক ও জ্যাকি দম্পতির ঘনিষ্ঠ বন্ধু স্যার অ্যালস্টার গ্র্যানভিলি ফোর্বস একবার বলেছিলেন, ‘জ্যাক সেই সব নারীর প্রতি অত্যন্ত আসক্ত, যে সব নারী তার প্রতি আসক্ত।’
তবে জ্যাকি চাইতেন কেনেডির এই সব কথা যেন মিডিয়ায় না আসে, তার মতই ছিলেন হিলারি ক্লিনটন। তনে মনিকা লিওনেস্কির ঘটনায় তাদের সম্পর্ক অনেক টানা-পোড়নের মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। ওই সময় বিল ক্লিনটনও হিলারিকে অনেক অপদস্থ করেছেন। কিন্ত দিনশেষে ক্লিনটনকে ছেড়ে যান নি হিলারি, উল্টো পত্রিকা পড়া বন্ধ করা সহ অন্যদের দোষারোপ করেছেন।
ক্লিনটনের এই স্বভাব ঢাকতে টেনে এনেছেন রাজনীতিকে, বলেছেন, রিপাবলিকানরা তার স্বামীর বিরুদ্ধে স্ক্যান্ডাল ছড়াচ্ছে। ক্লিনটন দম্পতির আইনজীবি ও বন্ধু সুশান থমাস বলেন, ‘বৈবাহিক সম্পর্ক টিকিয়ে রাখাটা হিলারির কাছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল।’ তাই মনিকার সঙ্গে হিলারির সম্পর্ক বিশ্বের মুখরোচক আলোচনায় পরিণত হওয়ার পরও হিলারি গ্রীষ্মকালিন ছুটিতে মেয়ে চেলসি ক্লিনটনকে নিয়ে দিব্যি বিলের হাত ধরে হেঁটেছিলেন।
তাই ট্রাম্পের কেলেঙ্কারির পর মেলানিয়া ও তার সম্পর্কে এখন কিছুটা চিড় ধরতে দেখা গেলেও হয়তো দিনশেষে তাদের একসঙ্গে হাঁটতেই দেখা যাবে। কারণ মেলানিয়া ভিন্ন কেউ নন, স্বামীর দ্বারা ঠকা ও নাকাল হওয়া ফার্স্ট লেডিদের মধ্যেই একজন।

Leave a Reply