Monday, December 9

আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ ২৩ বছর পর খুলে দেয়া হলো ঐতিহাসিক সেই মসজিদ! শেয়ার করে দিন সবাই ।

আলহামদুলিল্লাহ, দীর্ঘ ২৩ বছর পর খুলে দেয়া হলো বসনিয়ার ঐতিহাসিক সেই মসজিদ। বসনিয়ার যুদ্ধে সার্বিয়া নাগরিকদের (সার্ব) গুঁড়িয়ে দেয়া ঐতিহাসিক ফারহাত পাশা মসজিদ পুনরায় খুলে দেয়া হয়েছে।

ঠিক ২৩ বছর আগে এদিনেই মসজিদটি ধ্বংস করা হয়েছিল। যুদ্ধে তখন আরো ৬১৪ টি মসজিদ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল বসনীয় সার্বরা।

বিভক্ত সম্প্রদায়গুলোর মধ্যে ধর্মীয় সহিঞ্চুতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই মসজিদটি পুনরায় খুলে দেয়া হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। মসজিদটি পুনরায় খুলে দেয়ার অনুষ্ঠানে তুরস্কের বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাগতুভলুও অংশগ্রহণ করেছিলেন।
মসজিদ পুনরায় খুলে দেয়ায় আনন্দ প্রকাশ করে স্থানীয় মুসলিম আজসা নেজিরুবিক বলেন, এতে আমি খুবই আনন্দিত। আমি জানি এমনটি আর কখনো ঘটবে না। আমার বিশ্বাস, শহরের অনেক নাগরিক এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাবে।

বসনিয়ার মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রধান ইফেন্দি হোসেন কাভাজবিক বলেন, এতে আমাদের মধ্যে ভালো কিছু বয়ে আনবে। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা বিষয়টিকে একচোখা দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। তারা কখনো কখনো বিষয়টির গুরুত্ব বুঝতে চান না। এ জন্য আমরা দুঃখিত-ব্যথিত।
প্রসঙ্গত, বসনিয়ায় ১৯৯২ সালের ৭ এপ্রিল বসনীয় ও সার্বদের মধ্যে জাতিগত দাঙ্গা শুরু হয়। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছরেরও বেশি সময় পর ১৯৯৫ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয় যুদ্ধ।

ষাট ও সত্তরের দশকে দেশটিতে স্বাধীনতার জন্য জাতীয়তাবাদী আন্দোলন শুরু করেছিল বসনিয়ার মুসলিমরা। তখন সার্ব ব্যতীত অন্য জাতির মানুষদের নির্বিচারে হত্যা করে সার্ব সেনারা।
২০১৩ সালের আদমশুমারির হিসাব অনুযায়ী, বসনিয়ার মোট জনগণের অর্ধেকই মুসলিম। এর আগে সমাজতান্ত্রিক যুগোশ্লাভিয়ার ছয়টি রাজ্যের একটি ছিল বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা। তখন ধর্মকে সেখানে নিরাৎসাহিত করা হতো এবং ধর্মানুসারীদের ওপর নির্যাতন চলতো।

নব্বইয়ের দশকে যুগোশ্লাভিয়ার ভাঙন এবং সমাজতন্ত্রের পতনের পর কোনো প্রকার ভয়ভীতি ছাড়াই আবার ধর্ম চর্চা করার সুযোগ পায় বসনিয়াবাসী।

Leave a Reply