বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে ও মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিকো পেনা নিয়েতোর সঙ্গে শিগগিরই বৈঠক করবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার অধীনে ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন হবে তা নিয়ে দেশ দু’টি অনেকদিন ধরেই উদ্বিগ্ন। তার কিছুটা ইঙ্গিত পাওয়া যাবে ট্রাম্পের সঙ্গে ওই বৈঠকে। আগামী শুক্রবার তার সঙ্গে সাক্ষাত হবে তেরেসা মে’র। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র সিন স্পাইসার। এ জন্য তেরেসা মে কয়েকদিনের জন্য ওয়াশিংটনের উদ্দেশে উড়াল দেবেন। ট্রাম্পের সঙ্গে তার এ বৈঠক একটি সম্ভাবনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। কারণ, ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তার ট্রানজিশন টিমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে তেরেসা মে’কে একরকম সংগ্রাম করতে হয়েছে। অন্যদিকে তেরেসা মে’র সমালোচক বহুল আলোচিত সাবেক ইউকিপ নেতা নাইজেল ফারাজের সঙ্গে ট্রাম্পের গড়ে উঠেছে দহরম মহরম। ট্রাম্প ব্রেক্সিট ভোটে বৃটেনকে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে অনুমোদন দিয়েছিলেন। এক পর্যায়ে নাইজেল ফারাজেকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বৃটেনের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দেখতে চাওয়ার খায়েশ প্রকাশ করেন এবং একেবারে প্রকাশ্যেই তা করেন। এ নিয়ে তেরেসা মে সরকারের সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কে টান দেখা যায়। তবে এখন বৃটেনের সঙ্গে শক্তিশালী সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করবে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসন। এ জন্য তেরেসা মে তার মন্ত্রীপরিষদের কোনো সদস্যকে সঙ্গে না নিয়েই যুক্তরাষ্ট্র যাচ্ছেন। এ বিষয়ে তেরেসা মের অফিস কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয় নি। ওদিকে মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েতোর সঙ্গে ট্রাম্প কি বিষয়ে কথা বললেন তা অনেকটা আন্দাজ করেই নেয়া যায়। বিশেষ করে অভিবাসন ও নিরাপত্তা ইস্যু উঠে আসতে পারে তাদের বৈঠকে। ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে ও নির্বাচনের পরেও মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়টিই প্রাধান্য পেতে পারে। তাদের মধ্যকার বৈঠকের জন্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১শে জানুয়ারি। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছেন, তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করতে চান। এ জন্য ১৯৯৪ সালে কানাডা ও মেক্সিকের মধ্যে সম্পাদিত নর্থ আমেরিকান ফ্রি ট্রেড এগ্রিমেন্ট নিয়ে সমঝোতা চান। শনিবার তার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর। এ সময়ে তারা আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও আলোচনায় বসার কথা বলেছেন।