Tuesday, April 23

হ্যাকিংয়ের মাধ্যমেই বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় পুলিশের অপরাধ বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক প্রতিবেদন ফিলিপাইনের আদালতে জমা দেয়া হয়েছে। সিআইডি তাদের প্রতিবেদনে বলছে, হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভ চুরি হয়।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মোল্লা নজরুল ইসলাম আরটিভি অনলাইনকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ৫ জুলাই সিআইডির দুই কর্মকর্তা ফিলিপাইনের আদালতে প্রতিবেদনটি জমা দেন।
pran এরা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সিআইডির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফাহিম হোসেন।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কির ডলার চুরি হয়ে যায়। এ ঘটনার প্রায় দুই বছর পর তদন্ত শেষে অভ্যন্তরীণ ফরেনসিক প্রতিবেদন দিল সিআইডি।
নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে অনেক অগ্রগতি হয়েছে। আমরা বেশকিছু সুনির্দিষ্ট তথ্য ও প্রমাণ পেয়েছি যে- টাকাগুলো কাদের কাছে গেছে এবং সেগুলো কোথায় কোথায় আছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে সুইফট কোডের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের এই অর্থ চুরি করে নেয়া হয়। চুরি হওয়া এই অর্থের মধ্যে ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কা এবং বাকি ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনের জুয়ার আসরে।
দেশের অভ্যন্তরের কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থ পাচার করেছে বলে আগেই ধারণা করেছিলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
ফিলিপাইনে পাচার হওয়া অর্থের মধ্যে দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশে ফেরত এসেছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

Leave a Reply