Sunday, April 21

চোটে পড়ে ক্যারিবীয় সফর শেষ শফিউলের

দুঃস্বপ্নের মতোই কাটছে টাইগারদের ক্যারিবীয় সফর। প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়ে ইনিংসের ব্যবধানে পরাজয়। দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে দাড়ানোর প্রত্যাশা নিয়ে মাঠে নামার আগেই আবার দুঃসংবাদ। গোড়ালির ইনজুরির কারণে খেলা হচ্ছে না পেসার শফিউল ইসলামের। প্রথম টেস্টে পরাজয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে স্কোয়াডে ঢুকার গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল তার। কিন্তু ইনজুরি সে স্বপ্ন ভেঙে দিল শফিউলের।
মঙ্গলবার প্র্যাকটিসের সময় গোড়ালির চোটে পড়েন এই পেসার। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড নিশ্চিত করেছে শফিউলের ছিটকে পড়া। ফিজিও জানিয়েছেন, তিন থেকে ছয় সপ্তাহ সময় লাগতে পারে এই পেসারের মাঠে ফিরতে।

অ্যান্টিগায় বাংলাদেশ দল ইনিংস ও ২১৯ রানে হার মানে। যে ম্যাচে খেলোনো হয়েছিল তিন পেসার। রুবেল হোসেনের সঙ্গে ছিলেন কামরুল ইসলাম রাব্বী ও অভিষিক্ত আবু জায়েদ রাহী। এ ম্যাচে রুবেল হোসেনের বদলে শফিউলের একাদশে ঢোকার জোর গুঞ্জন ছিল।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু জানান, ইনজুরিতে পড়ে শফিউলের আর দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হচ্ছে না। তার বদলে তাইজুল ইসলামের অন্তর্ভূক্তির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। নান্নু আরও জানান, প্রথম টেস্টের একাদশের সাথে তাইজুলকে ধরে ১২ জনের দল সাজানো হয়েছে। সেখান থেকেই ১১ জনকে বেছে নেয়া হবে।
শফিউলের চোটের ব্যাপারে বাংলাদেশ দলের ফিজিও থিহান চন্দ্রমোহন বলেছেন, সে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে পারছে না। তিন থেকে ছয় সপ্তাহ তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে। যা নির্ভর করছে পরবর্তী অবস্থার উপর। সে দলের সঙ্গে থাকবে এবং ম্যাচ শেষে দেশে ফিরবে। আমরা আশা করছি এই সময়ের মধ্যে তার গোড়লির ফোলা কমবে।
ফিজিও আরো জানিয়েছেন, শফিউলের গোড়ালির হাড়ে ভাঙন জাতীয় কিছু হয়নি। গ্রেড দুই লিগামেন্টের পাশে মচকে গেছে বলে জানিয়েছেন থিহান চন্দ্রমোহন।
সিরিজের প্রথম টেস্টে বোলাররা ততটা খারাপ করেননি। তবে যাচ্ছেতাই পারফরম্যান্স ছিল ব্যাটসম্যানদের। তামিম ইকবাল থেকে শুরু করে মুশফিকুর রহিম কিংবা সাকিব আল হাসান, কেউই নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। আজ থেকে শুরু টেস্টে তাই ব্যাটসম্যানদের দিকেই নজর থাকবে বেশি।
এদিকে আজ মাঠে নামলেই বাংলাদেশের হয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়বেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে এ রেকর্ডটি ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের দখলে। আশরাফুল ২০০১ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত ৬১টি টেস্ট ম্যাচ খেলেন।
আপরদিকে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মুশফিকের। ২০০৭ থেকে এখন পর্যন্ত মাত্র ১টি টেস্ট মিস করেছেন তিনি। বাকি সবগুলোতেই খেলেছেন। ৬১ টেস্টের ১১৪ ইনিংসে ব্যাট করে ৩ হাজার ৬৪৪ রান করেছেন উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস ২০০। ৫টি সেঞ্চুরির পাশাপাশি ১৯টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে টেস্টে তার। পাঁচটি সেঞ্চুরি তিনি করেছেন শ্রীলঙ্কা (২০০), নিউজিল্যান্ড (১৫৯) , ভারত (১২৭ ও ১০১) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের (১১৬) বিপক্ষে।
দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
তামিম ইকবাল, লিটন দাস, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, নুরুল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসাইন, আবু জায়েদ, কামরুল ইসলাম রাব্বি।

Leave a Reply