Monday, March 25

যে কারণে শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহ

শেষ ওভারে জিততে ভারতের দরকার ৬ রান। তিন পেসারের কারও ওভারই বাকি নেই। কী করবেন মাশরাফি? মাহমুদউল্লাহ, মিরাজ নাকি সৌম্যর হাতে বল তুলে দেবেন। শুরুতে সৌম্যকে ডাকলেও বিপিএলের অভিজ্ঞতার কারণে মাহমুদউল্লাহর ওপরই আস্থা রাখলেন অধিনায়ক।

শেষ ওভারে স্পিন আক্রমণ দেখে বিস্ময় ছড়ালেও অভিজ্ঞতাই মাহমুদউল্লাহকে এগিয়ে রেখেছে। বিপিএলে বেশ কয়েকটি ম্যাচ শেষ ওভারের বোলিংয়ে জিতিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সেই সুখস্মৃতিতেই তার ওপর আস্থা রাখেন মাশরাফি। ফাইনাল হারের পর শেষ ওভারে মাহমুদউল্লাহকে বোলিংয়ের আনার কারণ ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন, ‘আমিই বদল করেছি (বোলিং)। কারণ মাহমুদউল্লাহকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কতটা আত্মবিশ্বাসী আছে। সে বিপিএলে শেষ ওভার বল করে ম্যাচ জিতিয়েছে, এটাই আমার মাথায় কাজ করেছে। সৌম্যর পেস থেকে হয়তো সহজে রান হয়ে যেত। মাহমুদউল্লাহর বলে মারতে গিয়ে আউট হওয়ার একটা চান্স থাকতো। এই কারণেই মাহমুদউল্লাহকে এনেছি।’

মাঝে স্পিনারদের দিয়ে বল করিয়ে শেষে একজন পেসারকে দিয়ে বোলিং করানোর সুযোগ তো ছিল। কিন্তু সেটা হলো না কেন? মাশরাফির উত্তর, ‘স্পিনাররা যেভাবে বোলিং করেছে, তাতে করে প্রত্যেক ওভারে ৭, ৬, ৮ করে হচ্ছিল। অবশ্যই ভালো হতো রুবেল কিংবা মোস্তাফিজকে শেষ ওভারের জন্য রাখা গেলে। কিন্তু ওই পরিস্থিতি ছিল না। কারণ ৩০ বলে ২৫। এমনকি এক পর্যায়ে ১৭ বলে ১১ দরকার ছিল ওদের। এখান থেকে কিন্তু ওরাই (মোস্তাফিজ-রুবেল) টেনে শেষ ওভার পর্যন্ত নিয়ে এসেছে।’

গত মার্চে নিদাহাস ট্রফিতে শেষ বলে ভারতের বিপক্ষে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবারও শেষ বলেই হার মানতে হয়েছে। মাহমুদউল্লাহর শেষ বলটি উইকেটে থাকলে হয়তো সুপার ওভারে ম্যাচ যাওয়ার সুযোগ তৈরি হতো। কিন্তু শেষ বলটি ইয়র্কার মারতে গিয়ে বলের লাইন হয়ে যায় লেগ স্টাম্পে। আর তাতেই লেগ বাই হয়ে ম্যাচ জেতে ভারত।

শেষ ওভারের ব্যাখ্যা দিলেন মাশরাফি এভাবে, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল, মারতে গিয়ে যদি উইকেট পড়ে তাহলে সুযোগ থাকবে। বিশেষ করে কুলদীপ মারতে গিয়ে মিস হিট করে, কেদার যাদব যেহেতু ভালো ব্যাটসম্যান, ওর ক্যালকুলেশনও ভালো। পাঁচ নম্বর বলটা সাইড এজ না হয়ে যদি উইকেটে থাকতো, তাহলে অন্যরকম কিছু হতে পারতো। আসলে এসব সময়ে ভাগ্যের সহায়তা দরকার হয়। ফাইনালে সুপার ওভার ছিল। শেষ বলে ডট বা আউট হলেই হতো। রিয়াদ চেষ্টা করেছে, ইয়র্কারই করেছিল। প্যাডে লেগে ১ রান হয়ে গেছে। রিয়াদ দারুণ বল করেছে। ৬ বলই লেগেছে ওদের ৬ রান করতে।’

তামিম-সাকিবকে ছাড়াই এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। হারলেও শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছে। তাই দলকে নিয়ে গর্বিত বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘ছেলেরা যেভাবে খেলছে, গর্ব করাই যায়। তবে আমাদের অনেক কিছু শিখতে হবে। এই ধরনের টুর্নামেন্টে আমরা সংগ্রাম করি। আজ (শুক্রবার) এত ভালো শুরুর পর ৩০০ ছাড়িয়ে যাওয়ার কথা ছিল। সাকিব ও তামিমকে ছাড়া সবাই যেভাবে খেলেছে, সবাই বাহবা পেতেই পারে।’

Leave a Reply