Saturday, April 20

আরও ভাল খেলার প্রত্যয় মৌসুমী-মারিয়াদের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ ধারাবাহিক নজরকাড়া সাফল্য পাওয়া বাংলাদেশের অনুর্ধ মহিলা দলের সামনে আরও চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে তাজিকিস্তানে এএফসি বাছাই ফুটবলে খেলতে যাবে বাংলার তরুণীরা। এটিসহ সামনের টুর্নামেন্টগুলোতে আরও ভাল করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

ওয়ালটনের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এমন প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী ও কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন। রবিবার বাফুফে ভবনে সংবর্ধনা দেয়া হয় ভুটানে সাফ অনুর্ধ-১৮ মহিলা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ দলকে। চ্যাম্পিয়ন দলের ২৩ সদস্যের প্রত্যেককে ওয়াটলটনের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে একটি করে রেফ্রিজারেটর। আর কোচিং স্টাফরা পেয়েছেন একটি করে মোবাইল ফোন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার এএফসি অনুর্ধ-১৬ বাছাই ফুটবলে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশের মেয়েদের গণভবনে সংবর্ধনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রতিটি ফুটবলারকে দেয়া হয় ১০ লাখ টাকা করে। জানা গেছে, সাফে চ্যাম্পিয়ন অনুর্ধ-১৮ দলকেও সংবর্ধনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।

সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে ও দক্ষিণ এশিয়ান ফুটবলের সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, পেশাদার লীগ কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম মুর্শেদী, বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৮ মহিলা দলের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী, কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। অনুষ্ঠানে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, প্রথমে আমি অনুর্ধ-১৮ দলকে অভিনন্দন জানাই অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ায়। মেয়েদের উদ্দেশে সালাউদ্দিন বলেন, তোমাদের খেলতে হবে জিততে হবে। তাহলে এভাবে তোমরা গিফট পেতেই থাকবে। মৌসুমী, মারিয়া, সানজিদাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমরা নিজেদের দেখে রেখ। আসল কাজটা তোমাদেরই করতে হবে। সাফ শেষ হয়ে গেছে। এটা নিয়ে আর ভাবার দরকার নেই। এখন ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে হবে। নিজেদের ফিটনেস ধরে রাখতে হবে। বাফুফে বস বলেন, এএফসির টুর্নামেন্ট অনেক কঠিন। তোমরা তাজিকিস্তানে যাবে। সেখানে ভাল করবে আশাকরি। মেয়েদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হলেও পুরুষ জাতীয় দল নিয়েও কথা বলেন সালাউদ্দিন। সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলে দলের পারফর্মেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ছেলেরা ভাল খেলেছে। শুধু গোলই পায়নি। পেশাদার লীগের চলমান দলবদল নিয়েও মন্তব্য করেন সালাউদ্দিন।

চারজান বিদেশী ফুটবলার কেন খেলানো হচ্ছে এই প্রশ্নের জবাবে বাফুফে সভাপতি বলেন, এটা নিয়ে অনেক চিৎকার, চেঁচামেচি হয়েছে। সবদিকই আমাদের দেখতে হয়। অনুষ্ঠানে অনুর্ধ-১৮ দলের অধিনায়ক মৌসুমী বলেন, সাফল্যের পর কিছু পেলে সবাই আরও অনুপ্রাণিত হয়। আমরাও অনুপ্রাণিত হয়েছি। আমরা কথা দিয়েছিলাম সাফে ভাল করব। সেটা করেছি। সামনে আরও খেলা আছে। সেগুলোতে ভাল করতে চাই। বাংলাদেশের মেয়েদের জ্বলজ্বলে সাফল্যের কারিগর কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন। তিনি বলেন, আমি খুশি এই সাফল্যে। তবে আত্মতুষ্টিতে ভোগার সুযোগ নেই। সামনে আরও চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে। সেখানে ভাল করতে হবে। দিনকয়েক আগে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা প্রসঙ্গে ছোটন বলেন, এতে করে সবাই আরও বেশি অনুপ্রাণিত হয়েছে। এটা সবার জন্য অনেক বড় পাওয়া। মেয়েরা খুব বেশি উৎসাহ পেয়েছে।

Leave a Reply