Sunday, April 21

চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে সাংবাদিকের সাথে খারাপ আচরনের অভিযোগ!

ক্লিনিক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মনু ওরফে জায়েদ খানসহ তার ভাই ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টুর বিরুদ্ধে। পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি চিঠি দিয়েছিলেন। তখন এই ঘটনা নিয়ে অনেক বির্তকিত হয়েছিলেন জায়েদ খান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিনেত্রীসহ একাধিক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। পূর্বে তার বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ ছিল। আজ এফডিসিতে শিল্পিী সমিতির সাধারন সম্পাদক জায়েদ আবারও এক সাংবাদিক এর সাথে খারাপ আচরন করেছেন। তাকে তিনি বলেন আপনাকে তো সব প্রোগ্রামে দেখা যায় দাওয়াত দিলেও যান দাওয়াত না দিলেও যান। আপনি আসলে কোন পত্রিকার সেটা আমি জানিনা এই কথা বলে তাকে বের হয়ে যেতে বলেন আর বলেন আমি এখন ব্যস্ত। তারপর অন্য এক জার্নালিস্টকে বলেন যে এই সাংবাদিক ভুয়া। কিন্তু এই সাংবাদিকই পরিমনীর সাথে তার অভিনীত ভালবাসা সীমাহীন ছবির সিনেমার প্রিমিয়ার শো ও প্রোমোশনে ছিলেন এছাড়াও তার অভিনীত অন্তর জ্বালা ছবির প্রেস কনফারেন্সে ছিলেন। এছাড়াও একাধিক অনুষ্ঠানে দেখেছেন তাহলে এই সাংবাদিক কি করে ভুয়া হয়? একজন সাংবাদিককে যদি ভুয়া বলেন একজন নায়ক এবং সেই সাংবাদিক পূর্বেও তার নিউজ কভার করেছেন তাহলে এই নায়ককে এখন কি করা উচিত? সে কি তাহলে নিজেকে অনেক বড় কিছু ভাবছেন? যিনি কিনা সাংবাদিকদেরও সম্মান তো দূরের কথা তাদেরকে ভুয়া বলেন?

============================
আরও পড়ুন
============================

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নায়ক জায়েদ খান ও ঢাকা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মনু ওরফে জায়েদ খানের বিরুদ্বে হিন্দু পরিবারের ক্লিনিকসহ বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জায়েদ খানসহ তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল হক মিন্টু ও ওবায়দুল হক পিন্টুর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।

একই সাথে স্বরাষ্টমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও আইজিপির বরাবর লিখিতভাবে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার।

অভিযোগে গীতা রানী মজুমদার বলেন, আমি অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়াদী কলেজের উপাধ্যাক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমার স্বামী ডা: বিজয় কৃষ্ণ হালদার পিরোজপুর জেলা সদরের মাছিমপুর বাইপাস সড়কে সার্জিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিজের সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ও পরিশ্রম দ্বারা ৪০ শয্যা বিশিষ্টউক্ত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছেন।

কিন্তু ভুমি সন্ত্রাসী ও নারী নির্যাতনকারী ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু , পিতা মো: আব্দুল হক, সাং মাছিমপুর, উপজেলা ও জেলা : পিরোজপুর যৌথ ব্যাবসায়ের ছদ্দবেশে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে আমার স্বামী ডা. বিজয় কৃষ্ণ হালদারের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক জবর দখলের উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগ করে আমার স্বামীকে মাদকাসক্ত করে এক পর্যায়ে তার হাত পা ভেঙ্গে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ ইপজেলার রেল লাইনের পাশে ফেলে রাখে বিশ্বাসঘাতক ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু।

বিগত ইং ২১/০৩/১৬ তারিখ রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমাদের বাসায় ক্লিনিকের কর্মচারী শাহচাদ কলিংবেল বাজায় এবং অন্তরজ্বালা সিনেমার শুটিং এর লোক এসেছে বলে দরজা খুলতে বলে।

আমি সরল বিশ্বাসে দরজা খুলে দেয়ামাত্র দরজার আড়ালে থাকা ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, টিপু,রেজাউল চুন্নু, অসীম শেখর মজুমদারসহ ৩০/৪০জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমাদের মারপিট শুরু করে।
আমাদের পরিবারের সকলকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেধে ফেলে ও মুখে টেপ দিয়া বাকরুদ্ধ করে ও বিভিন্ন কক্ষে আমাদের থাকা যাবতীয় অর্থ ও পরিসম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়।

আমাদেরকে পরে ক্লিনিকের এম্বুলেন্সে করে গুম করার উদ্দেশ্যে ঝাটকাঠী গ্রামের এক পুরানো দালানে আটক রাখে এবং আমাদের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার জবরদখল করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ,পুলিশ প্রশাসন, এবং মাননীয় সংসদসদস্যের হস্তক্ষেপে আমাদের হারানো ক্লিনিক ফেরত পাই ।

সূত্র: আজকের বাজার
http://www.ajkerbazzar.com/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A6%AE%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A7%80%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%B2%E0%A7%9F/55204

============================
আরও পড়ুন
============================

নায়ক জায়েদ খানসহ ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ক্লিনিক দখলের অভিযোগ
ক্লিনিক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মনু ওরফে জায়েদ খানসহ তার ভাই ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টুর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাদের আরেক ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল হক মিন্টুর বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আনা হয়েছে।

পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

ওই চিঠিতে অধ্যাপক গীতা রানী বলেন- আমি অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমার স্বামী ডা. বিজয় কৃষ্ণ হালদার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ও পরিশ্রম দ্বারা পিরোজপুর জেলা সদরের মাছিমপুর বাইপাস সড়কে সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে ৪০ শয্যা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছেন।

কিন্তু ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, পিতা মো. আব্দুল হক, সাং মাছিমপুর, উপজেলা ও জেলা পিরোজপুর যৌথ ব্যবসার ছদ্দবেশে সার্জিকেয়ার ক্লিনিক জবরদখলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার স্বামীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করে তাকে হাত-পা ভেঙে দিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে ফিরে আসেন।

বিগত ২১/০৩/১৬ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২টায় আমাদের বাসায় ক্লিনিকের কর্মচারী শাহচাঁদ কলিংবেল বাজায় এবং অন্তর জ্বালা সিনেমার শুটিংয়ের জন্য লোক এসেছে বলে দরজা খুলতে বলে।

আমি সরল বিশ্বাসে দরজা খুলে দিলে ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, টিপু, রেজাউল চুন্নু, অসীম শেখর মজুমদারসহ ৩০/৪০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার গুরুতর অসুস্থ স্বামী, কলেজপড়ুয়া কন্যা, বৃদ্ধা অসুস্থ শাশুড়িসহ আমাদের মারধর শুরু করে এবং পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে, মুখে স্কচটেপ দিয়ে বাকরুদ্ধ করে এবং বিভিন্ন কক্ষে যাবতীয় অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে গুম করার উদ্দেশ্যে ঝাটকাঠী গ্রামের একটি পুরনো দালানে আটকে রাখে এবং আমাদের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার জবরদখল করে।

পরে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে আমাদের হারানো ক্লিনিক ফেরত পাই।

বিগত ২৬/০৩/১৬ তারিখের ওই ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় ২২/৭২ নং এজাহার করি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, তার ভাই পুলিশের ওসি শহিদুল হক মিন্টু এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খান প্রভাব বিস্তার করে মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়।

এরপর তাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী ডিভিশন কেস (নং ১/১৭) দায়ের করি, যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল হক পিন্টু ও তার ভাইয়েরা ক্রোধান্বিত হয়ে আমাকে ও আমার কলেজপড়ুয়া কন্যাকে পিস্তল দেখিয়ে অহরহ ভারতে চলে যাবার হুমকি দিচ্ছে। না গেলে আমাদের খুন করা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের পঞ্চম তলায় কোনো নিকটাত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে আসতে দেন না। এছাড়া আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সংযোগ লাইন কেটে দিয়ে অসহনীয় অমানবিক আচরণ করে আসছে।
এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক গীতা রানী পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ‘তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমাদের চলতে ফিরতেও সমস্যা হচ্ছে। কোথাও কোনো ভরসা পাচ্ছি না। কোথাও বিচার না পেয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে লিখিত ‍অভিযোগ করেছি। দেখা যাক কী হয়। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের নানান হুমকির মধ্যেই আছি এখনো।’

অভিযোগের প্রেক্ষিতে নায়ক জায়েদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেসেজের মাধ্যমে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। তবে পুরোটাই একটা ফেইক। এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’

নায়ক জায়েদ খানের ভাই ওবায়দুল হক পিন্টুর মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র: পরিবর্তন ডট কম https://www.poriborton.com/prints/120476

Leave a Reply