Sunday, April 21

বনার্ঢ্য আয়োজনে ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন সামিট অনুষ্ঠিত

গত ২৫ জানুয়ারী রাজধানী ঢাকার ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে উদ্যোক্তা, উদ্ভাবন, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বা পেশা নির্ধারন সহায়ক পরামর্শ, ও দিক নির্দেশনামূলক দিনব্যাপী এই সামিট অনুষ্ঠিত হয় ।
ভবিষ্যতের জন্য দক্ষতা- সামাজিক উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের জন্য জাতিসঙ্গের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে অংশীদারীত্ব”- প্রত্যয়ে “বাংলাদেশ ডিজিটাল সোসাল ইনোভেশন ফোরাম’ প্রথমবারের মতো আয়োজন করে ”বাংলাদেশ ডিজিটাল সোসাল ইনোভেশন সামিট-২০১৯”।
বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন সামিট ২০১৯, তরুণ ও বেকার তথ্য প্রযুক্তিতে সম্পৃক্ত করাসহ আইসিটি এবং ইনোভেশনকে কাজে লাগিয়ে দারিদ্রতা দূর করা ও সামাজিক বিপ্লব নিশ্চিত করা সহ সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ তৈরি করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
এছাড়া অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য তরুণ ও সামাজিক উদ্যোক্তাদের পুরস্কার প্রদানের মাধ্যমে সম্মানিত করা হয়। এই সামিটে আলোচক হিসাবে ছিলেন সোলায়মান সুখন, ইকবাল বাহার, কাজী হাসান রবিন, নাশিদ আলী , সোবহান চৌধুরী, প্রীতু রেজা, সহ দেশ সেরা বিভিন্ন আলোচক আলোচনা করেন।
সামিট এর আয়োজক হাইওয়ে আই টি এর সিইও আলী আকবর আশা বলেন – “সামাজিক উদ্ভাবন এবং ডিজিটাল দক্ষতা বিকাশের জন্য জাতিসঙ্গের টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এ আয়োজন ”
আয়োজক ও হাইওয়ে আই টির ভাইস প্রেসিডেন্টমোস্তফা কামাল সোহেল উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন- “প্রথমবারের আয়োজিত বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন সামিট সকলের মধ্যে এক সম্ভাবনার সুযোগ উন্মোচিত হবে,তারই ধারাবাহিকতায় সারা বাংলাদেশে বিভাগীয় পর্যায়ে ক্রমান্বয়ে সচেতনা জন্য বাংলাদেশে ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন ফোরাম এ আয়োজন করবে।”
আয়োজক ও হাইওয়ে আই টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাসুম খান জানান- “আমারা জাতিসংঘের টেকশই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের নিয়োজিত বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন ফোরাম, আমাদের পরবর্তী প্রোগ্রাম আগামী ১ মার্চ খুলনায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।ইনশাল্লাহ খুলনায় আরো বড় পরিসরে এ আয়োজন করা হবে”।

জাতিসংগের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার স্বেচ্ছাসেবক ও হাইওয়ে আই টির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম বলেন, আমাদের যুব সমাজ এখন অনেক সচেতন ও প্রযুক্তিগত কাজে অনেক বেশি উৎসাহী । পেশা নির্ধারন সহায়ক প্রযুক্তিগত দক্ষতা, পরামর্শ ও অনুপ্রেরণা পেলে, আমি বিশ্বাস করি দেশের যুব সমাজ খুব অল্প সময়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও সম্মৃদ্দির শীর্ষ স্থানে পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম’-এর আয়োজক বৃন্দ জানান, জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সামাজিক উদ্ভাবন ও ডিজিটাল দক্ষতা অর্জনে ভূমিকা রেখে চলেছে যে সকল ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠান সল্প সময়ে উদ্যোক্তা,সামাজিক উদ্বাবন,ব্যবসায়িক সফলতা দক্ষতা ও সাফ্যল রেখেছেন তাদেরকে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন সামিট ২০১৯ সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

============================
আরও পড়ুন
============================

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে নায়ক জায়েদ খানের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নায়ক জায়েদ খান ও ঢাকা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মনু ওরফে জায়েদ খানের বিরুদ্বে হিন্দু পরিবারের ক্লিনিকসহ বাড়ি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জায়েদ খানসহ তার ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল হক মিন্টু ও ওবায়দুল হক পিন্টুর বিরুদ্ধে লিখিতভাবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগি পরিবারটি।

একই সাথে স্বরাষ্টমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও আইজিপির বরাবর লিখিতভাবে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ করেছেন পিরোজপুর সরকারী সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যাক্ষ অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার।

অভিযোগে গীতা রানী মজুমদার বলেন, আমি অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়াদী কলেজের উপাধ্যাক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমার স্বামী ডা: বিজয় কৃষ্ণ হালদার পিরোজপুর জেলা সদরের মাছিমপুর বাইপাস সড়কে সার্জিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নিজের সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ও পরিশ্রম দ্বারা ৪০ শয্যা বিশিষ্টউক্ত স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছেন।

কিন্তু ভুমি সন্ত্রাসী ও নারী নির্যাতনকারী ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু , পিতা মো: আব্দুল হক, সাং মাছিমপুর, উপজেলা ও জেলা : পিরোজপুর যৌথ ব্যাবসায়ের ছদ্দবেশে উদ্দেশ্যমুলক ভাবে আমার স্বামী ডা. বিজয় কৃষ্ণ হালদারের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক জবর দখলের উদ্দেশ্যে তার সঙ্গে ষড়যন্ত্রমুলকভাবে বন্ধুত্ব স্থাপন করে। বিভিন্ন ঔষধ প্রয়োগ করে আমার স্বামীকে মাদকাসক্ত করে এক পর্যায়ে তার হাত পা ভেঙ্গে ঝিনাইদহ কালীগঞ্জ ইপজেলার রেল লাইনের পাশে ফেলে রাখে বিশ্বাসঘাতক ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু।

বিগত ইং ২১/০৩/১৬ তারিখ রাত আনুমানিক ২ টার সময় আমাদের বাসায় ক্লিনিকের কর্মচারী শাহচাদ কলিংবেল বাজায় এবং অন্তরজ্বালা সিনেমার শুটিং এর লোক এসেছে বলে দরজা খুলতে বলে।

আমি সরল বিশ্বাসে দরজা খুলে দেয়ামাত্র দরজার আড়ালে থাকা ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, টিপু,রেজাউল চুন্নু, অসীম শেখর মজুমদারসহ ৩০/৪০জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমাদের মারপিট শুরু করে।
আমাদের পরিবারের সকলকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেধে ফেলে ও মুখে টেপ দিয়া বাকরুদ্ধ করে ও বিভিন্ন কক্ষে আমাদের থাকা যাবতীয় অর্থ ও পরিসম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়।

আমাদেরকে পরে ক্লিনিকের এম্বুলেন্সে করে গুম করার উদ্দেশ্যে ঝাটকাঠী গ্রামের এক পুরানো দালানে আটক রাখে এবং আমাদের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার জবরদখল করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় জেলা প্রশাসন ,পুলিশ প্রশাসন, এবং মাননীয় সংসদসদস্যের হস্তক্ষেপে আমাদের হারানো ক্লিনিক ফেরত পাই ।

সূত্র: আজকের বাজার

============================
আরও পড়ুন
============================

নায়ক জায়েদ খানসহ ৩ ভাইয়ের বিরুদ্ধে ক্লিনিক দখলের অভিযোগ
ক্লিনিক দখলের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক মনু ওরফে জায়েদ খানসহ তার ভাই ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টুর বিরুদ্ধে। একইসঙ্গে তাদের আরেক ভাই পুলিশ কর্মকর্তা শহিদুল হক মিন্টুর বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ আনা হয়েছে।

পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার এই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, তথ্যমন্ত্রী ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন।

ওই চিঠিতে অধ্যাপক গীতা রানী বলেন- আমি অধ্যাপক গীতা রানী মজুমদার পিরোজপুর সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজের উপাধ্যক্ষ হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমার স্বামী ডা. বিজয় কৃষ্ণ হালদার সারা জীবনের উপার্জিত অর্থ ও পরিশ্রম দ্বারা পিরোজপুর জেলা সদরের মাছিমপুর বাইপাস সড়কে সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে ৪০ শয্যা বিশিষ্ট একটি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে তা পরিচালনা করছেন।

কিন্তু ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, পিতা মো. আব্দুল হক, সাং মাছিমপুর, উপজেলা ও জেলা পিরোজপুর যৌথ ব্যবসার ছদ্দবেশে সার্জিকেয়ার ক্লিনিক জবরদখলের উদ্দেশ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমার স্বামীর সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং বিভিন্ন ওষুধ প্রয়োগ করে তাকে হাত-পা ভেঙে দিয়ে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার রেললাইনের পাশে ফেলে রেখে ফিরে আসেন।

বিগত ২১/০৩/১৬ ইং তারিখ রাত আনুমানিক ২টায় আমাদের বাসায় ক্লিনিকের কর্মচারী শাহচাঁদ কলিংবেল বাজায় এবং অন্তর জ্বালা সিনেমার শুটিংয়ের জন্য লোক এসেছে বলে দরজা খুলতে বলে।

আমি সরল বিশ্বাসে দরজা খুলে দিলে ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, টিপু, রেজাউল চুন্নু, অসীম শেখর মজুমদারসহ ৩০/৪০ জন অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আমার গুরুতর অসুস্থ স্বামী, কলেজপড়ুয়া কন্যা, বৃদ্ধা অসুস্থ শাশুড়িসহ আমাদের মারধর শুরু করে এবং পরিবারের সবাইকে অস্ত্রের মুখে হাত-পা বেঁধে, মুখে স্কচটেপ দিয়ে বাকরুদ্ধ করে এবং বিভিন্ন কক্ষে যাবতীয় অর্থ-সম্পদ লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে ক্লিনিকের অ্যাম্বুলেন্সে তুলে গুম করার উদ্দেশ্যে ঝাটকাঠী গ্রামের একটি পুরনো দালানে আটকে রাখে এবং আমাদের সার্জিকেয়ার ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার জবরদখল করে।

পরে স্থানীয় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন এবং মাননীয় সংসদ সদস্যের হস্তক্ষেপে আমাদের হারানো ক্লিনিক ফেরত পাই।

বিগত ২৬/০৩/১৬ তারিখের ওই ঘটনায় পিরোজপুর সদর থানায় ২২/৭২ নং এজাহার করি। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে ঠিকাদার ওবায়দুল হক পিন্টু, তার ভাই পুলিশের ওসি শহিদুল হক মিন্টু এবং চলচ্চিত্র অভিনেতা জায়েদ খান প্রভাব বিস্তার করে মামলাটির চূড়ান্ত রিপোর্ট দেয়।

এরপর তাদের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ফৌজদারী ডিভিশন কেস (নং ১/১৭) দায়ের করি, যা বর্তমানে বিচারাধীন আছে।

এর পরিপ্রেক্ষিতে ওবায়দুল হক পিন্টু ও তার ভাইয়েরা ক্রোধান্বিত হয়ে আমাকে ও আমার কলেজপড়ুয়া কন্যাকে পিস্তল দেখিয়ে অহরহ ভারতে চলে যাবার হুমকি দিচ্ছে। না গেলে আমাদের খুন করা হবে বলে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমাদের পঞ্চম তলায় কোনো নিকটাত্মীয় স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবকে আসতে দেন না। এছাড়া আমাদের বিদ্যুৎ সংযোগ ও পানি সংযোগ লাইন কেটে দিয়ে অসহনীয় অমানবিক আচরণ করে আসছে।
এই চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে অধ্যাপক গীতা রানী পরিবর্তন ডটকমকে জানান, ‘তাদের অত্যাচারে আমরা অতিষ্ঠ। আমাদের চলতে ফিরতেও সমস্যা হচ্ছে। কোথাও কোনো ভরসা পাচ্ছি না। কোথাও বিচার না পেয়ে সরকারের বিভিন্ন মহলে লিখিত ‍অভিযোগ করেছি। দেখা যাক কী হয়। আমরা প্রতিনিয়ত তাদের নানান হুমকির মধ্যেই আছি এখনো।’

অভিযোগের প্রেক্ষিতে নায়ক জায়েদ খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি মেসেজের মাধ্যমে বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমি অবগত নই। তবে পুরোটাই একটা ফেইক। এ ধরনের কোনো ঘটনাই ঘটেনি। একটি মহল আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে।’

নায়ক জায়েদ খানের ভাই ওবায়দুল হক পিন্টুর মোবাইলে যোগাযোগ করলে মোবাইল নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র: পরিবর্তন ডট কম https://www.poriborton.com/prints/120476

Leave a Reply