Saturday, April 20

‘ভিভিড’ দেখে মুগ্ধ তিশা

অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে চলছে ‘সিডনি চলচ্চিত্র উৎসব ২০১৯’। এ বছর বিভিন্ন দেশে সেরা ২৫০টি চলচ্চিত্রের প্রদর্শনী হচ্ছে এই উৎসবে। এর মধ্যে দুই দিন প্রদর্শিত হলো বাংলাদেশের ছবি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘শনিবার বিকেল’। প্রদর্শনীতে আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও নুসরাত ইমরোজ তিশা দম্পতি। ‘শনিবার বিকেল’ ছবিতে তিশা অভিনয় করেছেন। সিডনিতে ছবিটির দুটি প্রদর্শনী ছিল দর্শকপূর্ণ। ছবিটি দেখে দর্শক প্রশংসা করেছে। প্রদর্শনী পর কথা হলো তিশার সঙ্গে।

প্রথম সিডনিতে এসেছেন। কেমন লাগছে?
একেক দেশে একেক রকমের কালচার, দেখার মতো নতুন সব জায়গা, কথা বলার জন্য বিভিন্ন রকমের মানুষ। সেদিক থেকে সিডনি খুব ভালো লেগেছে। ‘শনিবার বিকেল’ ছবির জন্য অভিনন্দন পেয়েছি, আর যে জায়গাগুলো দেখতে গিয়েছি, সেগুলো অসাধারণ। বেশি মজা পেয়েছি রাস্তাগুলোয়। শুনেছি, এসব রাস্তা নাকি পাহাড় কেটে বানানো হয়েছে। তবে সমান করা হয়নি, তাই অন্য রকম লেগেছে। সব সময় পাহাড়ি একটা ছন্দ মনের মধ্যে কাজ করেছে।

সিডনিকে যেভাবে জেনে এসেছেন, দেখার পর কোনো পার্থক্য মনে হলো?
তেমন কোনো পার্থক্য মনে হয়নি। তবে সৌভাগ্য বলব, সিডনির আলোক উৎসব ‘ভিভিড’ দেখতে পেয়েছি। আর রাত ১০টায় সিডনিতে সব বন্ধ হয়ে যায়, সেটা একদম আশা করিনি।

সিডনি সফরে এসে কী কী করলেন?
এমনিতেই জেট ল্যাগে অনেক সময় কেটে গেছে। এর বাইরে ‘শনিবার বিকেল’ ছবির প্রদর্শনী আর প্রবাসী বাংলাদেশিদের আমন্ত্রণে বিভিন্ন আয়োজনে যোগ দিয়েছি। এর বাইরে অপেরা হাউস আর সিডনির কিছু জায়গা ঘুরেছি। এখানে নাইট লাইফ নেই, তাই ওই সময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছি।

‘শনিবার বিকেল’ নিয়ে সিডনির দর্শকদের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল?
খুবই ভালো। বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিদেশি দর্শকেরাও খুবই প্রশংসা করেছেন। তাঁদের প্রতিক্রিয়া দেখে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ছে। আমরা বিশ্বাস করি, দেশে মুক্তি পেলে ছবিটি সবার গ্রহণযোগ্যতা পাবে।

ঈদের ‘লেডি কিলার’ নাটকটি প্রচারিত হলো। অন্য রকম গল্প। দর্শক আপনাকে একদম ভিন্ন চরিত্রে দেখেছে।
একেক সময় একেক রকম চরিত্রে অভিনয় করি। একই চরিত্র বারবার করলে তার সৌন্দর্য থাকে না। তাই একই চরিত্রে কম অভিনয় করি।

সিডনির পর কোথায় যাচ্ছেন?
সিডনি থেকে যাব লন্ডনে। আমার ভাইয়ের মেয়ে হয়েছে। ওরা লন্ডনে থাকে। তাকে দেখব। এ ছাড়া সেখানে ‘শনিবার বিকেল’ ছবির দুটি প্রদর্শনী হবে বাগরি ফাউন্ডেশনের লন্ডন ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে। একটি ২৫ জুন বার্বিকান আর্ট সেন্টারে আর পরেরটি ২৭ জুন জেনেসিস সিনেমা হলে। যেহেতু সামনে ঈদ, তাই দেশে ফিরে ব্যস্ত জীবন শুরু হয়ে যাবে। আর মোস্তফা সরয়ার ফারুকী যাবে মিউনিখ চলচ্চিত্র উৎসবে। সেখানেও ‘শনিবার বিকেল’ ছবির প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

সিডনির বাংলাদেশিদের উদ্দেশে কিছু বলুন।
দেশ ছেড়ে আসা প্রতি মানুষের জীবনই কষ্টের। তারপরও যখন দেখি, সিডনির প্রবাসী বাংলাদেশিরা সবকিছু মানিয়ে নিয়ে সবাইকে নিয়ে সুখে আছেন, তখন সেটা ভালো লাগে। সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন, এই কামনা করছি। আর আশা করছি, এ বছর শেষ দিকে আবার দেখা হবে। তখন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর নতুন ছবির একটা অংশের শুটিং হবে সিডনিতে।

<iframe width=”1195″ height=”672″ src=”https://www.youtube.com/embed/xJUhou3bT_Y” frameborder=”0″ allow=”accelerometer; autoplay; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture” allowfullscreen></iframe>

<iframe width=”1195″ height=”672″ src=”https://www.youtube.com/embed/qCf2gCve-7I” frameborder=”0″ allow=”accelerometer; autoplay; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture” allowfullscreen></iframe>

<iframe width=”1195″ height=”672″ src=”https://www.youtube.com/embed/OXqrP-43tuw” frameborder=”0″ allow=”accelerometer; autoplay; encrypted-media; gyroscope; picture-in-picture” allowfullscreen></iframe>

Leave a Reply