Friday, March 29

কুলিয়ারচর ফরিদপুরে ভন্ড পীর ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে নানান অনিয়মের অভিযোগ

নিউজ ডেক্স।।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা ফরিদপুর ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দা তথাকথিত ভন্ডপীর ইব্রাহিম।
ফরিদপুর মাজারের পশ্চিম দিকে নিজস্ব বসতবাড়ীতে আস্তানা করে দীর্ঘ দিন যাবৎ সাধারণ মানুষের সাথে বিভিন্নভাবে প্রতারণা করে আসছে।

ভন্ডপীর ইব্রাহিম নিজেকে কখনো কখনো মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে প্রভাব দেখায়।
জানাগেছে, গত কিছু দিন পূর্বে শিবপুর থানার একজন মহিলার বাচ্চা হয় না বিধায় ভন্ডপীর ইব্রাহিমের নিকট গেলে তিনি ২০টাকার পায়েশ(ঔষধ মিক্স) খাওয়ান। তারপর তাকে নিয়ে যায় তার ব্যক্তিগত রুমে এবং বাচ্চা হবে এই মর্মে কুপ্রস্তাব দেয় পাশাপাশি নগদ পাঁচ হাজার টাকা এবং গরু,খাসি,স্বর্ণ-অলংকার দাবি করেন।

এতে মহিলা বিলকিস বেগম রাজি না হওয়ায় তার গলার ও হাতের স্বর্ণ অলংকার খুলে নিয়ে যায় এবং তাকে বস্ত্রহানি করার চেষ্টা করে।এতে মহিলা ইজ্জত বাঁচানোর জন্য চিৎকার করায় তার ব্যক্তিগত ব্যবহারকৃত লাঠি দ্বারা নির্মম অত্যাচার ও অকথ্য ভাষায় গালি-গালাজ করেন।

পরবর্তীতে বিলকিস বেগম কুলিয়ারচর থানায় অভিযোগ দেয় ও ভৈরব সার্কেল অফিসের মাধ্যমে টাকার বিনিময়ে সমাধান করেন। এতে সাংবাদিক মহল জানতে পেরে ঘটনার সত্যায়িত যাচাই করতে সরেজমিনে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুর ২ ঘটিকায়,কুলিয়ারচর ফরিদপুরে তথাকথিত ভন্ড পীর শত শত জনতার সম্মুখে নিজের শরীরের পুরো কাপড় খুলে বিবস্ত্র (উলঙ্গ) হয়ে অপ্রত্যাশীত যা দেখার নয় তা দেখিয়ে দিলেন।
এমন মর্মান্তিক ও দুঃখজনক ঘটনা প্রায়ই হয়ে থাকে বলে এলাকার মানুষের অভিযোগ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একব্যক্তি বলেন স্থানীয় লোকজন,প্রশাসন ও সাংবাদিকদের মেনেজ করেই এলাকায় এমন বর্বরতা করে যাচ্ছে ভন্ডপীর ইব্রাহিম। সে আসলেই পাগল নয়, কিন্তু সাধারণ মানুষদের বুঝানো হয় সে নাকি পাগল।তার আশেপাশে অনেক লোক আছে যারা কিনা তাকে এমন অপকর্মে সাহায্য সহযোগিতা করে আসছে।আপনারা যদি পারেন এমন একজন খারাপ মানুষের নিকট হতে সাধারণত মানুষদের রক্ষা করবেন। আল্লাহ তায়া’লা আপনাদের মঙ্গল করবেন।সে নিজেকে কখনো কখনো মুক্তিযোদ্ধা দাবী করে প্রভাব দেখায়

Leave a Reply