![](https://swadeshkantha.com/wp-content/uploads/2022/03/10-point-hariya-hotas-tamim.jpg)
কপালে হাত দিয়ে কিছুক্ষণ বসে থাকলেন বাঁ-হাতি পেসার শরীফুল ইসলাম। বসারই কথা। তার বলে তিনবার ‘জীবন’ পেয়েছেন আফগানিস্তানের জয়ের নায়ক রহমানউল্লাহ গুরবাজ। শরীফুল ভাবতেই পারেন কপালের দোষ। দুজনেরই বয়স ২০ বছর। লড়াইটাও জমেছিল বেশ।
কিন্তু শরীফুলের তৈরি করা সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর রহিমরা। উলটো ৬০, ৬১ এবং ৬৩ রানে ‘জীবন’ পাওয়া গুরবাজ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ১০৬ রান করে দলকে সিরিজে প্রথম জয় উপহার দিয়েছেন। দেশের মাটিতে আফগানিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ভীষণ হতাশ বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজেও প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর তৃতীয় ম্যাচে হেরে বসেন তামিমরা। এবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে একই একাদশ তিন ম্যাচে খেলিয়েও পুরো ৩০ পয়েন্ট ঝুলিতে ভরতে পারল না বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষে অধিনায়ক তামিম বলেন, ‘হারটা খুবই হতাশার। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে একই অবস্থানে থেকে শ্রীলংকার বিপক্ষে আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। এবারও তাই হলো।’ তিনি বলেন, ‘আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম।
কিন্তু মাঝে ছন্দ হারিয়ে ফেলি। লিটন ভুল সময়ে আউট হয়ে যায়। এই সিরিজে সব ম্যাচই খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল আমাদের জন্য। সম্ভাব্য সর্বোচ্চ পয়েন্ট যোগ করার সুযোগ ছিল। আমরা ১০০ রানের মধ্যে এক উইকেট হারিয়েছি, কিন্তু যখন উইকেট আরও ভালো হয়েছে তখন আমরা আউট হয়েছি।’
আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগে বাংলাদেশের এখনো নয়টি ম্যাচ বাকি। কিন্তু কন্ডিশন ও প্রতিপক্ষ বিবেচনা করলে কী হতে পারে তা আগে থেকে ভেবে রাখা কঠিন মনে করছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘সব পয়েন্ট নিয়েই সিরিজ শেষ করতে চেয়েছিলাম। পরে কী হবে তা আগে থেকেই বলা যাবে না। আমরা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তাদের মাঠে খেলব। আমাদের খেলতে হবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও। এছাড়া আয়ারল্যান্ডের মতো কঠিন কন্ডিশনে তাদের মোকাবিলা করতে হবে। সুযোগের সর্বোচ্চ ব্যবহার তাই জরুরি।’ ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা পাওয়ার লড়াইয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। তবু স্বস্তিতে নেই তামিম। তার লক্ষ্য ভিন্ন। অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা হয়তো আর দু-একটা ম্যাচ জিততে পারলে বিশ্বকাপে সরাসরি জায়গা করে নেব।
কিন্তু আমার লক্ষ্য এটা না। আমি শীর্ষ চারে থেকে শেষ করতে চাই। ৭-৮-এ থেকে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার মধ্যে কোনো পার্থক্য তৈরি করে না। শীর্ষ চারে থাকতে পারলেই সেটা ব্যবধান তৈরি করে।’
অনেকের ধারণা, টানা দুই ম্যাচ জেতার পর দলের মধ্যে স্বস্তি চলে এসেছিল। প্রতিটি সিরিজ শেষে প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির হিসাব চলে আসে। এই সিরিজ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার কাজ ছিল সবাইকে ঠিক রাখা, যেন তারা তাদের সেরাটা দিতে পারে। কারও দিকে আঙুল তুলতে চাই না। ভেবেছিলাম এই ম্যাচটা দাপটের সঙ্গে শেষ করতে পারব। কিন্তু নিজেদের পারফরম্যান্সে হতাশ।’ তিনি বলেন, ‘প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। রশিদ খুব ভালো বল করেছে।
প্রথম দুই ম্যাচেই ফিল্ডিং ভালো হয়েছিল। ক্যাচ মিস হতেই পারে। তবে যত কম হবে ততই আমাদের জন্য ভালো। একটা ক্যাচ মিসের জন্য একজন সেঞ্চুরি করে ফেলে। আমি নির্দিষ্ট কারও ওপর দোষ চাপাতে চাই না। আমি সব সময় বলি আমাদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে ফিল্ডিংয়ে ভালো কিছু করতে হলে।