Thursday, April 18

ট্রেনের টিকিটের লাইনে চেয়ার নিয়ে হাজির!

ঈদে বাড়ি যেতে স্টেশনে আসা টিকিটপ্রত্যাশীদের লাইন শুরু হয়েছে টিকিট ছাড়ারও ২২ ঘণ্টা আগে থেকে। সময় ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে লাইনও দীর্ঘ হচ্ছে, বাড়ছে ভোগান্তি। টিকিট নিতে এসে বিড়ম্বনায় পড়তে হবে এমন আশঙ্কায় বাড়ি থেকে চেয়ার নিয়ে এক টিকিটপ্রত্যাশী লাইনে হাজির হয়েছেন।

বাসা থেকে একটি প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে এসেছেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী সকাল রায়। অন্যরা লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন আর তিনি চেয়ারে বসে আছেন।

সকাল রায় গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল ইফতারের পরপরেই ষ্টেশনে চলে আসেন তিনি। নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের চারটি টিকিট পেয়েছেন তিনি। টিকিট পেয়ে খুব খুশি। তার বাসা পান্থপথে। প্রতিবছর তাকেই টিকিট করতে হয়। লাইনে অনেকক্ষণ বসে থাকা লাগবে জন্য এবার বাসা থেকেই চেয়ার নিয়ে এসেছেন তিনি। এই চেয়ার বাসে করে নিয়ে এসেছেন।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় যাওয়ার জন্য মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন সাহ্‌রি খেয়ে শনিবার ভোর চারটার কমলাপুর রেলস্টেশনে চলে আসেন। তিনি বলেন, প্রতিবার তিনিই টিকিট কাটেন। টিকিট কাটতে এমনি কোনো সমস্যা হয়নি। এবার টিকিট কাটতে এনআইডি কার্ড লেগেছে।

প্রথমে বলা হয়েছিল, এনআইডি যার যার টিকিট তারাই কিনতে পারবেন। কিন্তু এটাতেও সমস্যা আছে। পরিবারের সবার এনআইডি তো আর আনা নাও যেতে পারে। কিন্তু পরে বলা হলো, একজনের একটি এনআইডি দিয়ে সর্বোচ্চ চারজনের টিকিট কেনা যাবে। এভাবে বিভ্রান্তি তৈরি না করলেও হতো বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জসিম উদ্দিন আরও বলেন, সুন্দরবন এক্সপ্রেসের তিনটা টিকিট কাটলাম। এতক্ষণ পর টিকিট হাতে পেয়ে ভালো লাগছে। এমনিতে কোনো অসুবিধা হয়নি। কিন্তু অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। অনলাইনে অনেক দ্রুত টিকিট শেষ হয়ে যায়। এ জন্য স্টেশনে কাটতে এসেছেন বলেও জানান তিনি।

এরকম নানান অভিযোগ আর অপেক্ষার মধ্যে দিয়ে শনিবার সকাল ৮টা থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়। এবারে ঢাকার কমলাপুর স্টেশনসহ পাঁচটি স্থানে অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে।

এর মধ্যে সকাল সোয়া ৮টা থেকে কমলাপুর রেলস্টেশনে টিকিট বিক্রি শুরু হয়। তখন কাউন্টার খুলতেই অপেক্ষমাণ টিকিটপ্রত্যাশীরা উল্লাস করে ওঠেন। আজকে ২৭ এপ্রিল যাত্রার অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হয়। সকাল আটটায় শুরু হয়ে কাউন্টারে বিকেল চারটা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি চলবে।

Leave a Reply