Tuesday, March 26

পানিবন্দি ১৫ হাজার মানুষ

নতুন করে সৃষ্ট লঘুচাপ আর জোয়ারের পানিতে পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন দ্বীপ ইউনিয়ন চরবোরহান প্লাবিত হয়ে প্রায় ৬ ফুট পানির নিচে তলিয়ে গেছে।

রোববার সকাল থেকে বৃষ্টি আর অস্বাভাবিক জোয়ারের কারণে ওই ইউনিয়নের সব প্রধান সড়ক ও বাজারগুলো প্লাবিত হয়েছে। এতে ওই ইউনিয়নসহ আরেকটি ইউনিয়নের কিছু অংশ এবং ছোট ছোট চর প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ।

ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। পানি ঢুকে পড়েছে বাড়িগুলোতে। বেড়িবাঁধ না থাকায় সহজেই জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত হয়। জোয়ারে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, নতুন করে সৃষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি আর জোয়ারের পানি ঢুকে পড়েছে উপজেলার দ্বীপ ইউনিয়ন চরবোরহানসহ দশমিনা সদর ইউনিয়নের চরহাদিসহ বেশ কয়েকটি চরে। এতে প্রধান সড়কগুলো ৫ থেকে ৬ ফুট পানির নিছে তলিয়ে যায়। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হয়। কর্মহীন মানুষ দিনভর ঘর থেকে বের হতে পারেনি। দুই-একটি এলাকায় দেখা দেয় খাদ্য সংকট।

কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় হাজার হাজার মানুষ এখন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অন্যদিকে বহু মাছের ঘের ও পুকুর চলিয়ে গেছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন মৎস্য চাষিরা।

দশমিনা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ লিটন বলেন, বৃষ্টি, লঘুচাপ আর জোয়ারের কারণে উপকূলের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষক ও মৎস্য চাষিসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। তিনি সরকারের কাছে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি সহায়তার দাবি জানান।

চরবোরহান ইউপি চেয়ারম্যান নজির সরদার বলেন, চরবোরহানের সব এলাকা তলিয়ে গেছে। মানুষের মাছের ঘের ও পুকুর তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন মানুষ। বেশি নিচু এলাকায় ৬ ফুট পর্যন্ত পানি উঠেছে।

দশমিনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল যুগান্তরকে বলেন, সম্পূর্ণ জেলার অবস্থা একই। এ বিষয়ে আমরা জরুরি সভা করব। যাচাই-বাছাই করে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন করা হবে।

Leave a Reply