Friday, March 29

পরীক্ষার খাতায় প্রেম ভাঙার দুঃখের গল্প, তারপর যা ঘটল তা অকল্পনীয়!

এক ছাত্র পরীক্ষার খাতায় লিখেছে, তু শায়র হ্যায়, ম্যায় তেরি শায়রি। আর একজন, ও কখনও আমার কথা শুনে চলে না, ও শুধু নিজের কথায় চলে। তারপর ব্যাখ্যা, বান্ধবীর কোন কোন আচরণে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে সে।পশ্চিমবঙ্গের মালদার বালুরঘাট ল কলেজের ছাত্রছাত্রীরা যখন এ সব প্রেম ভেঙে যাওয়ার দুঃখের কথা পরীক্ষার উত্তরপত্রে লিখছিল, নিশ্চয় ভেবেছিল, পরীক্ষক তা দেখে আবেগ বুঝে নম্বরটা দিয়ে দেবেন।

হয়েছে ঠিক উল্টো। পরীক্ষার খাতায় ‘ননসেন্স’ লেখার দায়ে ১০ ছাত্রছাত্রীকে ২ বছরের জন্য বরখাস্ত করেছে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

খাতায় শুধু যে প্রেমের কথাই আছে তা নয়। যাদের জীবনে প্রেম নেই, তারা লিখেছে বাংলা, হিন্দি গানের কলি। আর যার

প্রেম বা গানে আগ্রহ নেই, সে খাতায় স্রেফ গালাগালি লিখে কাজ সেরেছে। সাসপেন্ড হওয়াদের মধ্যে ৩জন ছাত্রীও রয়েছে। সেটা ভাবাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়কে, কারণ মেয়েরা সাধারণত পরীক্ষার খাতায় এ ধরনের অ্যাডভেঞ্চারের পথ কাজ করে না।

চতুর্থ সেমেস্টারের এই পরীক্ষায় বসেছিল ৭২জন ছাত্রছাত্রী। ১৫ জানুয়ারি বের হয় ফল। দেখা যায়, পাশ করেছে মাত্র ১জন। বেশ কয়েকজন ছাত্রছাত্রী আবার এক্কেবারে শূন্য পেয়েছে।

পরীক্ষার ফলে আবার হৃদয় বিদীর্ণ ছাত্রছাত্রীরা ল কলেজ ভাঙচুর চালায়। ভাঙচুর চলে কার্যনির্বাহী অধ্যক্ষ দুর্জয়কুমার দেবের অফিসেও। তাদের দাবি, খাতা ঠিকমত দেখা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাধ্যক্ষ গোপাল চন্দ্র মিশ্র বলেছেন, পরীক্ষার ফলে পরিষ্কার, ছাত্রছাত্রীদের উত্তর সম্পর্কে দূরতম ধারণাও ছিল না। তাদের বোঝা উচিত, কোনটা আইনি আর কোনটা বে আইনি। কলেজ ভাঙচুর করাটা বে আইনি কাজের পর্যায়ে পড়ে।

পশ্চিমবঙ্গে গণ নকল আগে ঘটলেও এভাবে উত্তরের ধারে কাছে না ঘেঁষে পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্রে শুধু প্রেমের কথা বা গানের কলি লেখার নজির নেই।

এ কারণে ১০জনকে সাসপেন্ড করলেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর বাতিল করার পথে হাঁটছে না।

২ বছর পর এই কোর্সেই আবার অ্যাডমিশন নিতে পারে তারা। এই ২ বছর অন্য কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও রেগুলার কোর্সেই ভর্তি হতে পারবে না তারা। তবে দূরশিক্ষার কোর্স করতে পারবে। সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

Leave a Reply