Thursday, March 28

মাটির নিচে সন্ধান মিললো আরেক পৃথিবীর।যার মধ্যে রয়েছে আকাশ, খাল, বিল, পাহাড় ও ভিন্ন আবহাওয়া!

ভিডিওটি দেখতে পোস্টের নিছে চলে যান

এই ভিডিওটি অনলাইন ইউটিউভ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই ভিডিও নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে এর দায়ভার ইউটিউব চ্যানেল নিবে

পরীক্ষার্থীদের জন্যে অশনিসংকেত…
শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে চিন্তার বিষয়টি সম্ভবত পরীক্ষা। এ কারণে বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষার আগে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। সম্প্রতি ভারতের এক জরিপে বলা হয়, সেদেশের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী পরীক্ষা আগে ইনসমনিয়াতে আক্রান্ত হয়। কেবল পরীক্ষা এলেই নির্ঘুম রাত কাটে তাদের। এ অবস্থা কেবল ভারতের জন্যেই নয়, পৃথিবীজুড়ে সবখানেই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের একই দশা করে। এটা স্বাস্থ্যের জন্যে শঙ্কার বিষয়। তাই বিশেষজ্ঞদের মত হলো, পরীক্ষার আগে লেখাপড়ায় এতটা ঝাঁপিয়ে পড়া উচিত নয় যে নাওয়া-খাওয়া কিংবা ঘুম বিদায় নেয়।

আরো পড়ুন: ডাবল চিন থেকে মুক্তির উপায়

শিক্ষার্থীদের দেহ-মন-মস্তিষ্কের কাজ সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্যে রাতে অন্তত ৭ ঘণ্টার ঘুম দরকার। এমনিতেই প্রতিদিন ৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি। এমনিতেই আধুনিক প্রযুক্তির জীবন মানুষের ঘুম কেড়ে নিয়েছে। ক্লান্তিতেও ঘুম আসে না আর। এর মধ্যে পরীক্ষার টেনশন বাড়তি চাপ হয়ে দেখা দেয়। শিক্ষার্থীরা তো বটেই, এমনকি অভিভাবকরাও এই সময়টাতে বাচ্চাদের শুধু বইয়ের টেবিলে দেখতে চান। কেবল পরীক্ষার সময়টাতেই এমন হয়। অথচ অভিভাবকরা যদি সচেতনভাবে বাচ্চাদের সারাবছর নিয়মিত লেখাপড়ায় উদ্বুদ্ধ করেন, তবে এ অস্বাস্থ্যকর চাপ আসে না।

বিশেষ করে যে শিক্ষার্থীরা অন্যদের বেশি অন্তর্মুখী, সামাজিক ক্রিয়াকলাপ থেকে দূরে এবং কায়িক শ্রম নেই বললেই চলে, তাদের অবস্থা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে যায়। ঠিক যেমনটা হতে পারে আমাদের শিশুদের মাঝেও। চলছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এমনিতেই প্রশ্নফাঁসের প্রসঙ্গ নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিপর্যস্ত। তারওপর যারা এই সময় কেবল পরীক্ষার জন্যে অস্বাভাবিক জীবনযাপন করছেন, তারা পরীক্ষার মাঝেই বিষণ্নতায় আক্রান্ত হতে পারে। এতে পরীক্ষা আরো খারাপ হবে। দুর্ঘটনাও ঘটে যেতে পারে।

পরীক্ষা থাক বা নাই থাক, বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রত্যের শিক্ষার্থীকে প্রতিদিন ৩০ মিনিট শারীরিক শ্রম দিতে হবে। খেলাধুলা ও পারিবারিক কাজের জন্যে কিছু সময় রাখা উচিত। এই স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনে পরীক্ষার সময়ও তারা অস্থির হয়ে পড়বে না।

ভারতের ফোর্টিস হেলথকেয়ারের ডিপার্টমেন্ট অব মেন্টাল হেলথের পরিচালক ড. সমীর পারিখ বলেন, পরীক্ষার সময় আমরা সাধারণত কী দেখি? শিক্ষার্থীরা নিজেদের ওপর রীতিমতো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। তারা ঘরের বাইরে যান না। বাড়ির কারো সঙ্গে কথা বলার সময়ও যেন নেই তাদের। এই অবস্থায় কয়েক দিন কাটানোই দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে জন্যে হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। অথচ বেশি বেশি পড়লেও স্বাভাবিক কাজে ছন্দপতন না ঘটানো উচিত। নইলে হিতে বিপরীত হবে।

আরো পড়ুন: হলুদ খাবেন যেভাবে

এখানে পরীক্ষাকালীন কিছু অস্বাস্থ্যকর অভ্যাসের উদাহরণ তুলে ধরা হলো। এগুলো তাদের জন্যে নিঃসন্দেহে অশনিসংকেত-

৬৬ শতাংশ শিক্ষার্থী জানান যে তারা এত বেশি লেখাপড়া নিয়ে বসেন যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে থাকে।

৬৮ শতাংশ প্রতিদিন ১ ঘণ্টার বেশি বাড়ির বাইরে থাকেন না।

৭৩ শতাংশ পরিবারের সঙ্গে ১ ঘণ্টার কম সময় কাটান।

৩৪ শতাংশ দিনে ১-৩ ঘণ্টা ডিজিটাল দুনিয়ায় সময় দেন। আর ১১ শতাংশ ৫-৭ ঘণ্টা সময় ব্যয় করেন।

৫৩ শতাংশ ৫ ঘণ্টার মতো ঘুমান, ১৮ শতাংশ ২-৫ ঘণ্টা।

৯৪ শতাংশ পরীক্ষার সময় একটু জিরিয়ে নেওয়া বা বিরতি নেওয়ার সময়ই পান না।

৮৬ শতাংশ শারীরিক শ্রম প্রদানের পেছনে সময় পান না।

৮২ শতাংশ বন্ধু বা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সময় দিতে পারেন না।

৭৪ শতাংশ জানান, পরীক্ষার সময় অভিভাবকরা তাদের পড়ার জন্যে অস্থির করে তোলেন।

Leave a Reply