Saturday, April 20

প্রতিদিন আমায় ৮ ১০ জনের সাথে বিছানায় শুতে হয়!!! এই পতিতার কথা শুনে আপনারও অনেক কষ্ট লাগবে।।

ভিডীওতি দেখতে হলে পোস্টের নিছে চলে যান

এই ভিডিওটি অনলাইন ইউটিউভ থেকে নেওয়া হয়েছে।
এই ভিডিও নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে এর দায়ভার ইউটিউব চ্যানেল নিবে।

বিশ্ব জুড়ে বিয়ের যতসব আজব নিয়মকানুন

বিয়ে মানেই নানা রকম আচার অনুষ্ঠান, রীতিনীতি আর মজা। পরিবার, বন্ধুবান্ধব আর আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে সারা জীবনে মনে রাখার মতো আনন্দের এক উপলক্ষ।

যেই দেশই হোক না কেন, যে কোনও গোষ্ঠী কিংবা ধর্ম, প্রত্যেকে সমাজেই বিয়ে নিয়ে আছে নানা রকম ভিন্ন ভিন্ন প্রথা। একজনের কাছে যা মনে হতে পারে আজব, অন্যের কাছে হয়তো সেটাই সবচেয়ে জরুরি। পৃথিবীর নানা দেশের তেমনই মজার কিছু বিয়ের আচার অনুষ্ঠানের কথা নিয়ে আজকের আয়োজন-

-ভিডিওটি পোস্টের নিচে দেয়া আছে। সরাসরি ভিডিওটি দেখতে স্ক্রল করে নিচে চলে যান।

চীন : চীনের তুইজা গোষ্ঠীর মেয়েরা বিয়ের ঠিক এক মাস আগে থেকে প্রতিদিন নিয়ম করে এক ঘণ্টা ধরে কাঁদে। বিয়ের যখন ২০ দিন বাকি তখন মা তার সঙ্গে এ প্রাকবিবাহ কান্নায় যোগ দেন। এরপর ২০ দিনের মাথায় এ আসরে যোগ দেন কন্যার নানি। শেষের দিনগুলোতে পরিবারের বাকি সব মেয়েও এতে যোগ দেয়। উদ্দেশ্য একটাই, বিয়ের আনন্দ প্রকাশ করা। আসলে তারা যা করেন তা হল নিচুস্বরে এক ধরনের গান, যা কান্নার মতোই শোনায়। এটাই তাদের ঐতিহ্য।

মঙ্গোলিয়া : চীনের মঙ্গোলিয়ান গোষ্ঠীর কারও বিয়ের তারিখ ঠিক করতে হলে হবু বর-বধূকে একটি ছুরি নিয়ে একসঙ্গে একটি মুরগির ছানা জবাই করতে হয়। তারপর দেখা হয় সেই মুরগি ছানাটির কলিজার রঙ কেমন। যদি তা টাটকা এবং শুদ্ধ মনে না হয়, তবে বিয়ে আর হবে না। অপেক্ষা করতে হবে এভাবে যতদিন না দুজনে মিলে জবাই করা একটি মুরগিছানার কলিজার রঙ টাটকা দেখতে পায়। তবেই নির্ধারিত হবে বিয়ের তারিখ আর তারপরই বিয়ে।

ভারত : ভারতে মাঙ্গলিক মনে করা হয় এমন সব মেয়েদের প্রথমে কোনো একটি গাছের সঙ্গে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের পর গাছটি কেটে ফেলা হয়। মনে করা হয়ে থাকে যেসব মেয়ে মাঙ্গলিক হয়, বিয়ের পর পরই তাদের স্বামীর মৃত্যু হয়। এ অভিশাপ থেকে বাঁচতে প্রথমে তাদের গাছের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে তা ধ্বংস করে ফেলা হয়। এর মানে হল তাদের উপর থাকা অভিশাপ কেটে গেল গাছের সঙ্গে প্রথম বিয়ের ফলে, এবং তার স্বামীও মারা গেছে। এবার তার দ্বিতীয়, মানে আসল বিয়েতে আর কোনো বাধাই থাকল না।

উত্তর বরনিও : উত্তর বরনিওর তাইডং উপজাতির রীতি অনুযায়ী বিয়ের পর নব দম্পতিকে তিন দিন এবং তিন রাত পর্যন্ত ঘরে আটকে রাখা হয়। এ তিনদিন এবং তিন রাত তাদের আটকে রাখা মানে কোথাও যেতে দেয়া হয় না। এমনকি প্রাকৃতিক কাজকর্মে সাড়া দেবারও কোনো সুযোগ দেয়া হয় না।

ফিজি : ফিজির বাসিন্দাদের বিয়ে একটু ঝামেলাপূর্ণ বৈকি। কেননা ফিজিতে শুধু ওই ব্যক্তিই কন্যার পিতাকে বিয়ের প্রস্তাব দিতে পারবে যার হাতে থাকবে তিমির একটি দাঁত। মানে এ দাঁতের জন্যে বরকে যেতে হবে ব্ল্যাক মার্কেটে, নতুবা সমুদ্রে। তিমির দাঁত সংগ্রহ করার কাজটা একটু জটিলই বটে।

দক্ষিণ সুদান : দক্ষিণ সুদানে নেওউর গোষ্ঠীর লোকেরা বিবাহিত দম্পতিদের কমপক্ষে দুইটি সন্তান না হলে বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে মনে করে না। দুইটি শিশু নিয়ে হাসিখুশি পরিবার মানে, এতদিনে সেই দম্পতির বিবাহ সম্পন্ন হল।

কেনিয়া : কেনিয়ার মাসাই উপজাতির বাবাকে যদি মেয়ের মুখে থুথু ছিটাতে দেখা যায়, তবে বুঝতে হবে এটাই তাদের মেয়ের বিয়ে দিয়ে শ্বশুরবাড়িতে বিদায় দেবার পুরানো রীতি। বিয়ে শেষে সাধারণত মেয়ের বাবা আশীর্বাদের জন্যে তার মুখে এবং বুকে থুথু ছিটিয়ে দেয়। পাছে কারো নজর না লাগে!

সুইডেন : সুইডেনে যখনই নববধূ বা বর বাথরুমে যাবার জন্যে তাদের টেবিল থেকে উঠে যায়, বসে থাকা তার সঙ্গীকে বিপরীত লিঙ্গের মেহমানরা এসে চুম্বন করার সুযোগ পায়। মানে নতুন বর যদি অন্যদের মাঝ থেকে উঠে বাথরুমে যায়, তবে তার নববধূকে অন্য লোকেরা এসে চুম্বন করে যাবে। আর নববধূ যদি তার বরকে রেখে যায়, তবে অন্য নারীরা এসে তাকে আদর করে রেখে যাবে। বোঝাই যাচ্ছে যে বর বাথরুমে যাবে, এমনটাই সবাই আশা করে।

স্পার্টা : প্রাচীন স্পার্টা নগরীতে হবু বউয়েরা মাথার চুল কামিয়ে ছেলেদের মতন পোশাকআশাক পরে তৈরি থাকত। এর পরের কাজটুকু ছিল মূলত হবু বরের অগ্নিপরীক্ষা। বিয়ের ইচ্ছে থাকলে সবার চক্ষু ফাঁকি দিয়ে এ ছেলে সেজে থাকা তার হবু স্ত্রীকে চুরি করে নিয়ে পালাতে হতো তাকে। তবেই কেবল সে নিজেকে বিয়ের উপযুক্ত বলে প্রমাণ করতে পারত।

আয়ারল্যান্ড : আয়ারল্যান্ডের নববধূ এবং বর যখন নাচবে তখন নববধূর খেয়াল রাখতে হয় যেন তার পা অবশ্যই মাটিতে থাকে। নইলে কিন্তু দুষ্ট পরীরা এসে ওকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। কেন এমন বিশ্বাস? কারণ পরীরা সুন্দর জিনিস ভালবাসে। আর নববধূ হল সবচেয়ে সুন্দর আর আকর্ষণীয়। কাজেই একবার যদি সুযোগ পায়, পরীরা কিন্তু ওকে নিয়ে যাবেই। তবে পা যদি মাটির স্পর্শে থাকে তাহলে আর দুষ্টগুলো ওকে নিতে পারবে না।

Leave a Reply