Saturday, April 20

ব্রণের দাগ কালো দাগ দূর করুন খুব সহজেই…

প্রাকৃতিক মধু একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক। ব্রণের প্রকোপ কমাতে ও দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই। মুখ ভালো করে পরিষ্কার করে নিন খুব হাল্কা ফেসওয়াশ দিয়ে। ত্বকের জন্য রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করার চাইতে অনেক ভালো প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করা। আর ত্বকের কালচে দাগ দূর করতে মধু ব্যবহার করা যায়। প্রতিরাতে তুলার নরম বল নিমপাতা সেদ্ধ পানিতে ভিজিয়ে মুখে লাগাতে হবে। এতে ব্রণ, ক্ষত চিহ্ন, মুখের কালো দাগ দূর হবে।

গরম মশলার একটি উপাদান লবঙ্গ। এটি ব্রণ দূর করার পাশাপাশি দূর করে ব্রণের দাগও।ব্রণের উপর লবঙ্গ বাটা ২০ থেকে ২৫ মিনিট লাগিয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ব্রণের ক্ষত স্থানে দাগ হবে না। সপ্তাহে একবার লবঙ্গ বাটা ত্বকে লাগালে ত্বকে ব্রণ উঠবে না।এছাড়া, চন্দনের গুঁড়ার সঙ্গে লবঙ্গ বাটা লাগালে ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হয়।

প্রতিরাতে ভালো ভাবে মুখ ধূয়ে Betnovate – N ক্রিম একটু করে দাগের উপর লাগাবেনI কিছু  দিনের মাঝে দাগ হালকা হয়ে চলে যাবেI  মনে রাখতে হবে শুধু রাতে ব্যবহার করবেন… সূর্যের আলোতে দিলে সমস্যা হবে I

এছাড়া আপনি এর যে কোনো একটি বা দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন…

ঘোল:-ঘোলের মধ্যে রয়েছে ল্যাকটিক এসিড যা বাদামি দাগ দূর করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে শরীরের বাদামি জায়গায় ঘোল মাখিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।

লেবুর রস:-এতে রয়েছে বিশেষ উপাদান। যা শরীরের গাঢ় দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থানে লেবুর রস দিয়ে কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও চাইলে গোটা লেবু মাঝ বরাবর কেটে আক্রান্ত স্থানে ঘষতে পারেন। গোসলের আগে এই অভ্যাস শরীরের দাগ দূর করতে সাহায্য করবে।

ডিমের কুসুম:-এটা হল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং উজ্জ্বলতাবর্ধক। এক্ষেত্রে আক্রান্তস্থানে ডিমের কুসুম ব্যবহার করে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।

চন্দন:-ত্বকের বলিরেখা দূর করতে চন্দনের জুড়ি নেই। চন্দনগুঁড়া, গ্লিসারিন, লেবুর রস এবং গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিতে পারেন। এই মিশ্রণ ত্বকে মেখে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তারপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলতে হবে।

ধন্যবাদ….

Leave a Reply