Tuesday, April 16

কক্সবাজার যাওয়ার আগে ভিডিওটি দেখুন ও সচেতন হোন…

ভিডিওটি দেখুন ও সচেতন হোন…
পরবর্তী আপডেট পেতে পেজে লাইক, কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমাদের সাথেই থাকবেন।
বি: দ্র : ই্উটিউব থেকে প্রকাশিত ভিডিওর দায় সম্পুর্ন ই্উটিউব চ্যানেল ওনাদের সেখানে এই সংবাদ কোণভাবে ভাবে সংশ্লিস্ট নয় এবং দায় নিবেনা । ভিডিওটির উপর কারও আপত্তি থাকলে তা অপসারন করা হবে। আমাদের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য শুধু সামাজিক সচেতনা।

ভিডিও দেখতে নিচে ক্লিক করুন

অন্যরা যা পড়ছেঃ

অভিনব উপায়ে ৫ বছরের সম্পর্ক ছিন্ন করলেন এক যুবতী।
রেডিও পোস্টে এই ঘটনার বিবরণও দিয়েছেন তিনি। এরপরই বিশ্বজুরে পোস্টটি ভাইরাল। কিন্তু কী এমন করলেন তিনি?

পোস্টটিতে যুবতী লিখেছেন, সম্প্রতি তিনি জানতে পেরেছেন পাচ বছরের সম্পর্কে তিনি প্রতারিত হয়েছেন প্রেমিকের দ্বারা। এও জানতে পেরেছেন, তাঁর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে ওই যুবক তাঁর প্রাক্তন প্রেমিকাকে নিয়ে আসেন। এমনকী তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও তৈরি হয়েছে নতুন করে। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন প্রেমিককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার।

দিন কয়েক আগে ওই যুবতী আগে থেকে না জানিয়েই প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন। নিশ্বঃব্দে বাড়িতে ঢুকে প্রেমিকের জন্য ব্রেকফাস্ট তৈরি করেন এবং কিচেনে তাঁর(প্রেমিকের) পছন্দের একটি ভিডিও গেমও রেখে আসেন। এরপরই ওই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি।

অপেক্ষা করতে থাকেন নিজের গাড়িতে। কার্যত সেখানে বসেই প্রেমিকের সঙ্গে সমস্ত রকম সম্পর্ক ছিন্ন করেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নিজেকে সরিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি ফোন ও অন্যান্য জায়গায় ওই যুবককে ব্লক করে দেন।

এমনকী নিজের আত্মীয়দেরকেও জানিয়ে দেন কোনও ভাবে যেন তাঁর প্রেমিকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা না হয়। সবশেষে ওই শহর ছেড়ে অন্যত্র চাকরি নিয়ে চলে যান তিনি। বদলে দেন নিজের নম্বরটিও।

গোটা ঘটনার কথা রেডিট পোস্টে জানান ওই যুবতী। তিনি লিখেছেন, ঝগড়া বা মারামারি করে সম্পর্ক ছিন্ন করতে চাইনি আমি। তাই ‘ঘোস্টিং’-এর পথই বেছে নিলাম(এই ধরনের কাজকে ইংরাজিতে ঘোস্টিং বলা হয়।)।

সঙ্গমের পরে রক্তপাত? সার্ভিক্যাল ক্যানসার নয়তো? সতর্ক থাকুন
সারা পৃথিবীতেই সার্ভিক্যাল ক্যানসারে আক্রান্ত মহিলাদের সংখ্যা প্রচুর। যোনি থেকে রক্তপাত বা অস্বাভাবিক ডিসচার্জ এই ক্যানসারের লক্ষণ। কীভাবে বুঝবেন আর কীসেই বা প্রতিকার হবে, জেনে নিন।

সার্ভিক্স হল ইউটেরাসের তলার অংশ যা যোনির সঙ্গে সংযুক্ত। এই অংশে ক্যানসারের কারণ হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস বা এইচপিভি। এই ভাইরাসটি যৌন সংসর্গ থেকেই ছড়ায়। বিভিন্ন ধরনের এইচপিভি ভাইরাস রয়েছে। এর মধ্যে বিশেষ ধরনের কিছু ভাইরাস থেকেই হয় সার্ভিক্যাল ক্যানসার।

অনেক সময় এইচপিভি সংক্রমণ আপনা থেকেই সেরে যায়। আবার অনেক সময়েই তা ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ভারতে গড়ে প্রতি বছর প্রায় ৭৪ হাজার মহিলা মারা যান এই ক্যানসারে।

কী দেখে বুঝবেন

প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়লে সহজেই সেরে যায় এই ক্যানসার কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেলে, যদি দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে ক্যানসার তবে তা মৃত্যু অবশ্যম্ভাবী হয়ে যায়। নীচের যে কোনও একটি লক্ষণ দেখলেই ‘প্যাপ‌্‌সমিয়ার’ পরীক্ষা করাবেন—

১) সঙ্গম করার পর বা দু’টি মেনস্ট্রুয়াল সাইকলের মধ্যবর্তী সময়ে বা মেনোপজ হয়ে যাওয়ার পরেও যদি যোনি থেকে রক্তপাত হয়

২) তলপেটে বা পেলভিসে যদি ধারাবাহিকভাবে যন্ত্রণা হতে থাকে

৩) সঙ্গম করার সময় যদি যন্ত্রণা হয়

৪) যোনি থেকে যদি এমন কিছু ডিসচার্জ হয় যা স্বাভাবিক নয়

প্যাপস্‌মিয়ার পরীক্ষাটি কোনও ভাল হসপিটাল থেকে করানোই ভাল কারণ এই পরীক্ষার জন্য যোনির ভিতরের, সার্ভিক্সের মুখ থেকে ‘ফ্লুইড’-এর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এই নমুনা পরীক্ষা করে ক্যানসারের লক্ষণ পেলে চিকিৎসকেরা আরও অন্যান্য পরীক্ষা করান বা বায়োপসি করতে বলেন। এই নমুনা সং‌গ্রহ করার প্রক্রিয়াটি কোনও গায়নোকলজিস্টের তত্ত্বাবধানেই করা উচিত।

এখনকার বহু বেসরকারি হসপিটালে শুধুমাত্র মহিলা চিকিৎসক এবং নার্সদের তত্ত্বাবধানেই প্যাপ্‌সমিয়ার পরীক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে। ৩০ বছরের বেশি বয়সী মহিলাদের সাধারণত বছরে দু’বার এই পরীক্ষা করা ভাল। নাহলে বছরে অন্তত একবার অবশ্যই এই পরীক্ষা করা উচিত, কোনও লক্ষণ থাকুক বা না থাকুক। এইচপিকভি ভাইরাস এমনই যে অনেক সময়ে কোনও লক্ষণই থাকে না অথচ শরীরে বাসা করে ফেলে সার্ভিক্যাল ক্যানসার।

কী করে সংক্রামিত হয় এইচপিভি

এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়ায় যৌন সংসর্গের ফলে। সচরাচর খুব অল্প বয়স থেকে নিয়মিত যৌনজীবন যাপন করলে বা বহুজনের সঙ্গে শারীরিক সংসর্গ করলে এই ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাছাড়া শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হলেও খুব দ্রুত বাসা বাঁধে এই ভাইরাস।

টিকাকরণ

সার্ভিক্যাল ক্যানসারে সংক্রামিতের সং‌খ্যা খুব বেশি হলেও এই রোগের প্রতিষেধক টিকাকরণ সম্ভব এখন ভারতে। ৯ থেকে ৪৫ বছর বয়সী মহিলারা নিতে পারেন এই টিকা। মোট ৩টি ডোজে এই টিকা দেওয়া হয়। এই বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব পরামর্শ করুন।

Leave a Reply