Tuesday, March 26

বয়স্ক ব্যক্তিকে কেনো বিয়ে করেছিলেন রানি?

রানী মুখোপধ্যায় ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী। বলিউডে কর্মজীবনের মাধ্যমে, তিনি ভারতের সবচেয়ে উচ্চ-স্তরের ব্যক্তিক্তে পরিণত হয়েছেন। তিনি সাতটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার সহ বিভিন্ন পুরস্কার লাভ করেছেন।

মুখার্জি-সম্রাট পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও, যেখানে তার বাবা এবং আত্মীয়রা ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পের সদস্য ছিলেন; সেখানে তিনি জীবিকা হিসেবে চলচ্চিত্রকে বেছে নেয়ার বিষয়ে উচ্চাভিলাষী ছিলেন না। যদিও, ছেলেবেলায়ই তিনি বাবার পরিচালিত বাংলা ভাষার চলচ্চিত্র বিয়ের ফুল (১৯৯৬) চলচ্চিত্রে সহ-চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে এবং পরবর্তীতে তার মায়ের সনির্বন্ধ অনুরোধে রাজা কি আয়েগি বারাত (১৯৯৭) সামাজিক নাট্য চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন।

এরপর নিয়মিত হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮) চলচ্চিত্রে শাহরুখ খানের বিপরীতে একটি সহযোগী চরিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তার কর্মজীবনের এই প্রাথমিক সাফল্যের পর, পরবর্তী তিন বছরের জন্য তার চলচ্চিত্র বক্স অফিসে দুর্বল অবস্থানে ছিল। যশ রাজ ফিল্মসের সাথিয়া (২০০২) নাট্য চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পর তার কর্মজীবনের সাফল্য আসে।

গণমাধ্যমকে ফাঁকি দিয়ে ইতালিতে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন রানি মুখার্জি। তার স্বামী যশরাজ প্রোডাকশনের প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। চার বছরের সংসার জীবনে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে তাদের। ২০১৪ সালের এপ্রিলে ক্যারিয়ারের জ্বলজ্বলে মুহূর্তে বিয়ে করে সংসারী হয়েছিলেন রানি। এতো নায়ক থাকা স্বত্বেও কেন একজন বয়স্ক ও ডিভোর্সি ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি, এই প্রশ্ন এখনো রয়ে গেছে ভক্তদের মনে।

রানি বিয়ে করার পর অনেকেই ভেবেছিলেন আর কখনো সিনেমায় অভিনয় করবেন না তিনি। কিন্তু বিয়ের বছরেই অর্থাৎ ২০১৪ সালে তার ‘মর্দানি’ সিনেমাটি মুক্তি পায়। এরপর চারবছরের দীর্ঘ বিরতি। এরমধ্যে জন্ম নেয় রানি ও আদিত্য কন্যা আদিরা। কন্যার দুই বছর পূর্ণ হওয়ার পর সম্প্রতি আবারও পর্দায় হাজির হন রানি তার ‘হিচকি’ নিয়ে। এই সিনেমারই সাফল্য যখন উদযাপিত হচ্ছে বক্স অফিসে, তখন এক সাক্ষাৎকারে আদিত্যকে বিয়ে করার কারণ জানালেন রানি।

কেন তিনি আদিত্য চোপড়ার প্রেমে পড়েছিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে রানি এক কথায় জবাব দেন, ‘শ্রদ্ধা’। এরপর তিনি বলেন, ‘এটি তখনকার ঘটনা যখন আমি বুঝতে পারি আমি অভিনয় করা কতোটা ভালোবাসি।

আমার মধ্যে অভিনয়টা প্রাকৃতিকভাবে আসে, তা আমি অনুভব করতে পারি। এরপর আমি প্রকৃত ভালোবাসার জন্য অপেক্ষা করতে থাকি, কারণ আমি ছিলাম অতি মাত্রায় রোমান্টিক মনের মেয়ে। আর এই কারণেই আমি একাধিক রোমান্টিক সিনেমায় অভিনয় করেছি।

এরপর যখন মনে হলো বিয়ে করাটাও জরুরি, তখন অনুভব করলাম এমন কাউকে বিয়ে করা উচিত যাকে আমি ভালোবাসি ও শ্রদ্ধা করি। যেহেতু অভিনয় আমার পেশা ছিল, তাই আমার আশেপাশে অনেকেই ছিলেন যাদেরকে আমি শ্রদ্ধা করতাম।

কিন্তু যাদেরকে ভালোবাসা যায়, তাদের প্রতি ততোটা শ্রদ্ধা আসে না। কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছিলেন আদিত্য চোপড়া। তাকে আমি প্রথম দিন থেকেই অসম্ভব শ্রদ্ধা করে এসেছি। তাকেই ভালোবেসে ফেলেছিলাম। আর এই কারণেই ক্যারিয়ারের শীর্ষে থাকা অবস্থায় তাকে বিয়ে করেছি।’

Leave a Reply