Tuesday, April 23

শেষ ইচ্ছা জানার পর ফাঁসি স্থগিত – জানুন কি ছিল তার শেষ ইচ্ছা…

শেষ ইচ্ছা জানার পর ফাঁসি- 

রাখে আল্লাহ, মারে কে? এ কথাটি ফের প্রমাণিত হল পাকিস্তানি এক কিশোরের জীবনে।হত্যাকাণ্ডের দায়ে শাফাকাতকে ফাঁসির আদেশ দেওয়া হয়।

ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত। সাদা ইউনিফরম পরানো অবস্থায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিও হাজির। শুধুমাত্র কার্যকরের অপেক্ষা। নিয়মানুযয়ী বলা হল শেষ ইচ্ছা।লিখতে নাটকীয়তা শুরু এইখানে।

গুল জামান বলেন, শাফকাতকে যখন ফাঁসির জন্য প্রস্তুত করা হয় তখন তিনি তার পাশেই ছিলেন। ফাঁসির জন্য তাকে সাদা ইউনিফরম পরানো হয়। তখন তাকে তার শেষ ইচ্ছা লিখতে বলা হয়। তিনি (শাফকাত) লিখেন: আমি নির্দোষ।

তারা যেজন্য আমাকে ফাঁসি দিতে চায় আমি সেই অপরাধ করিনি।

তারা অপরাধীদের বাঁচাতে চায় এবং ইতোমধ্যেই তাদের খালাস দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সী কারো মৃত্যুদণ্ড- হয় না এবং নির্যাতনের মাধ্যমে স্বীকারোক্তি আদায়ও গ্রহণযোগ্য নয়।

শাফকাত হোসেন নামের ওই যুবকের আইনজীবী জানান, ২০০৪ সালে যখন তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়ে তখন তার বয়স ছিল ১৪ বছর। পরিবারের অভিযোগ, হত্যার কথা স্বীকার না করায় তার উপর নির্মম নিপীড়ন চালানো হয়। তাকে সিগারেটের ছ্যাঁকা দেয়া হয়। তার নখ উপড়ে ফেলা হয়।

শাফকাতের ভাই গুল জামান জানান, তার ফাঁসি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। তার মা মাখনি বেগম বলেন, আমরা সারারাত জেগে আল্লাহর দরবারে প্রার্থনা করেছি।

তাকে যে আবার জীবিত দেখতে পাব সেই আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু আল্লাহর শোকরিয়া যে তিনি এই নির্মম শাস্তি থেকে আমার ছোট ছেলেকে রক্ষা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ

প্রবাসে গিয়েও শান্তিতে নেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী

শান্তিতে নেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী- এক সময়ের তুমুল জনপ্রিয় অভিনেত্রী ইপসিতা শবনম শ্রাবন্তী। অভিনয়কে বিদায় জানিয়েছেন আট বছর আগে। ২০১০ সালের ২৯ অক্টোবর বেসরকারি টিভি চ্যানেল এনটিভির অনুষ্ঠান বিভাগের কর্মকর্তা খোরশেদ আলমকে বিয়ে করেন তিনি।

বিয়ের পরই শোবিজের রঙিন দুনিয়া থেকে নিজেকে আড়াল করে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান নায়িকা। স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে বর্তমানে সেখানেই স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন।

কিন্তু স্বপ্নের দেশে থেকেও শান্তিতে নেই অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। দেশের জন্য তার মন সব সময়ই কাঁদে। প্রতিটি দিন অস্তিরতায় কাটছে তার। দেশের মাটিতে ফিরে আসতে চান তিনি।

না, এগুলো কোনো মনগড়া বানানো কথা নয়। সম্প্রতি নিজের ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন এক সময়ের সাড়া জাগানো এই নায়িকা।

স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, ‘হায় রে শখের আমেরিকা! শুধু বাচ্চাদের জন্য এখানে, কিন্তু মনটা বাংলাদেশে। বাচ্চাদের এখানে সুন্দর ভবিষ্যৎ, তবু নিজের দেশের শান্তি আলাদা। ওরা যেতে চায় না। বুঝিয়ে বললাম, তাও কাজে দিল বলে মনে হলো না।’

 

শ্রাবন্তী আরো লিখেছেন, ‘বাচ্চাদের কারণে এখনো এখানে আছি। তবে মনকে বোঝাতে না পারলে আমি পালাব। কথাগুলো শেয়ার করলাম, কারণ আমি শান্তি পাচ্ছি না। বাচ্চারা চায় আমেরিকা আর ওদের মা-বাবা চায় বাংলাদেশ। বড়ই কঠিন সিদ্ধান্ত।’

শ্রাবন্তীর ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল মডেল হিসেবে। সেখান থেকে ঢুকে পড়েন নাট্য জগতে। বহু প্যাকেজ ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।

তবে তাকে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি এনে দেয় প্রয়াত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ রচিত ও পরিচালিত ‘জোছনার ফুল’ নাটকটি। নাটকে তার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।

নাটকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও বেশ সাড়া ফেলেছিলেন অভিনেত্রী শ্রাবন্তী। যদিও চলচ্চিত্রে তার কাজ হাতেগোনা। ২০০৪ সালে কমেডি ঘরনার ‘রং নাম্বার’ ছবিতে তার অভিনয় ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছিল।

মতিন রহমান পরিচালিত সে ছবিতেও শ্রাবন্তীর নায়ক ছিলেন রিয়াজ। সুপারহিট সেই নায়িকাই সবকিছু ছেড়ে এখন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। চাচ্ছেন দেশে ফিরতে। ফিরবেন কি?

Leave a Reply