Thursday, April 18

জবানবন্দিতে দীপা জানান কেন পরকীয়ায় জড়ান তিনি…পড়ুন আরও-

পরকীয়ার কারণ – পরকীয়া প্রেমে তছনছ হয়ে গেল দুটি সাজানো সংসার। অ্যাডভোকেট রথীশ চন্দ্র ভৌমিক ওরফে বাবু সোনা বর্তমানে রংপুরে একটি সুপরিচিত নাম। প্রগতিশীল রাজনীতি, ধর্মীয় সংগঠন, শিল্প-সাহিত্য-সংস্কৃতি সকল অঙ্গনে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে ছিলেন তিনি। নিরহঙ্কার, সহজ-সরল, সাদাসিধে জীবন যাপন আর অমায়িক আচরণ দিয়ে চারপাশের সকলের ভালবাসা অর্জন করেছিলেন রথীশ চন্দ্র।

হয়তো সামাজিক ও সাংগঠনিক কাজে বেশি জড়িয়ে পড়ার কারণে পরিবারের প্রতি মনোযোগ দিতে পারেননি তিনি। যার ফলে পরিবারের খুব কাছের মানুষগুলো কত দূরে সরে গেছে তা ভেবে দেখার সুযোগই পাননি। আর যখন মনোযোগ দিতে শুরু করলেন তখন জীবনটাই হারালেন। স্থানীয়দের অনেকেই এমনটাই মনে করছেন।

কিন্তু রথীশের স্ত্রী আসামি দীপা ভৌমিক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে দাবি করেছেন, ‘নিহত রথীশ চন্দ্র ভৌমিক একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে স্ত্রীকেও প্রায় সময় মারধর করতেন। আর নিজের এ কষ্টের কথা দীপা ভৌমিক বলতেন সহকর্মী কামরুল ইসলাম জাফরির কাছে। কথা বলতে বলতে তারা প্রেমাসক্ত হয়ে পড়েন। একপর্যায়ে স্বামীর পরকীয়ার প্রতিশোধ নিতেই পরকীয়ায় জড়িয়ে যান দীপা।’

শনিবার (৭ এপ্রিল) রংপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফা ইয়াসমিন মুক্তার আদালতে দেয়া ১২ পাতার জবানবন্দিতে পারিবারিক এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন দীপা।

তিনি বলেন, ‘একাধিক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় আসক্ত ছিল রথীশ। আমাকে অবজ্ঞা-অসম্মান করত। শুধু তাই নয়, আমার বিবাহিত জীবন ছিল অশান্তিতে ভরা। পরস্পরকে কেউ বিশ্বাস করতাম না। আমাকে অবিশ্বাস করায় আমিও স্বামীর প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে পারিনি। আমাকে প্রায় মারধর করা হতো।’

Leave a Reply