Wednesday, April 24

আজ থেকে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট

অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট – দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে- সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের উপর হামলার ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে আন্দোলনকারীরা।

শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ বাধা দেওয়ায় প্রতিবাদে আজ সোমবার থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোয় অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।

তবে শাহবাগে পুলিশের অ্যাকশনে আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হলেও একই সময় দেশের অন্যান্য জেলায়ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করে চাকরিপ্রত্যাশী তরুণ আন্দোলনকারীরা। গভীর রাতে থকে জাহাঙ্গীরনগর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে শত শত শিক্ষার্থী আন্দোলন করেছে।

আজ সকাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে রেখেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রবিবার দুপুর আড়াইটা থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করার সময় আন্দোলনকারীদের পুলিশ সরে যেতে বললেও তারা অনড় থাকে।

জাতীয় সংসদের অধিবেশন থেকে এই আন্দোলনের দাবির ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত তারা অবরোধ চালিয়ে যাবে বলেও ঘোষণা দেয়। কিন্তু সন্ধ্যার পরই আন্দোলনকারীদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। রাত ৮টার দিকে পুলিশের ব্যাপক অ্যাকশনে ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় আন্দোলনকারীরা।

পুলিশের কাঁদানে গ্যাসের শেল, রাবার বুলেট ও লাঠিপেটায় আন্দোলনকারীদের পাশাপাশি কর্তব্যরত কয়েকজন সংবাদকর্মীও আহত হয়েছেন। এসময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অন্তত পাঁচজনকে আটক করেছে। তাদের থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

গতকাল রাতে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের উপর হঠাৎ নেমে আসে দুর্গতি ! বিস্তারিত পড়ুন…

সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতির সংস্কারের দাবিতে শাহবাগে অবস্থানরত আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রত্যাশীদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে পুলিশ।

রবিবার রাত ৮টার দিকে আন্দোলনকারীদের ওপর টিয়ারসেল নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

রবিবার বিকেল সোয়া ৩টা থেকে পাঁচ দফা দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ ব্যানারে শাহবাগ মোড়ে অবরোধ শুরু করেন তারা।

এ সময় তাদের মুখে স্লোগান ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘শেখ হাসিনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই,’ ‘আমাদের দাবি আমাদের দাবি, মানতে হবে মেনে নাও, ‘১০% এর বেশি কোটা নয়।’

পরে বিকালে আন্দোলনকারীদের সমন্বয়ক হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা চাই সংসদের অধিবেশনে সরকার বিষয়টি সমাধানের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস দেবে। নতুবা আমরা অবরোধ তুলবো না।’

আন্দোলনকারীদের ৫ দফা দাবির মধ্যে কোটার পরিমাণ ৫৬ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা, কোটার যোগ্য প্রার্থী না পেলে শূন্যপদে মেধায় নিয়োগ, বিশেষ নিয়োগ পরীক্ষা না নেওয়া, অভিন্ন বয়সসীমা, একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার না করা।

Leave a Reply