Friday, March 29

ঢাকায় রিকশা চালাচ্ছেন বিদেশি যুবক, কিন্তু কেন জানলে অবাক হবেন !!

রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে রিকশা চালালেন শ্বেতাঙ্গ এক বিদেশি যুবক। হাফপ্যান্ট পরা এই যুবককে রিকশার চালকের আসনে দেখে চক্ষু চরকগাছ হওয়ার দশা প্রত্যক্ষদর্শীদের।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাতটার দিকে সিটি কলেজের সামনে থেকে ওই যুবক রিকশা চালিয়ে ল্যাবএইড হাসপাতাল হয়ে কলাবাগ মাঠের পাশ দিয়ে গলিতে চলে যান। রাজধানীর বেশ কয়েকটি জায়গাতেই তাকে রিকশা চালাতে দেখা গেছে। তার কথা বলার ভাষায় মনে হয়েছে তিনি আমেরিকান। তবে নাম পরিচয় জানা যায়নি।

ওই যুবকের রিকশা চালানোর একটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে ওই যুবক হাফ প্যান্ট ও কালো রঙের গেঞ্জির সাথে জুতা পরে ল্যাবএইড পার হয়ে বেশ দ্রুত গতিতেই রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন। সাধারণ রিকশা চালকের মতোই তিনি বেল বাজিয়ে যানজট ঠেলে এগিয়ে যাচ্ছেন। আসনে বসেছিলেন এক যাত্রী।

ঘটনার সময় উপস্থিত ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটিতে কর্মরত একজন জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে বিদেশি যুবক রিকশা চালিয়ে সিটি কলেজের দিক থেকে আসতে দেখেন তিনি। পরে কলাবাগান মাঠের পাশের গলিতে চলে যায় রিকশাটি।

উপস্থিত অনেকে বলছিলেন, তিনি চালককে আসনে বসিয়ে শখের বসে নিজেই রিকশাটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন।

এই যুবকের আর একটি ছবিতে দেখা যায় রাজধানীর ফার্মগেটের আল-রাজী হাসপাতালের সামনে দিয়ে রিকশা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এসময়ও তার গায়ে একই পোশাক এবং যাত্রীর আসনে বসে আছেন রিকশাটির প্রকৃত চালক।

কিন্তু ফেসবুকে পাওয়া অপর আরেকটি ছবিতে পেস্ট রঙের টি শার্ট পরে রিকশা চালাতে দেখা যায় তাকে। জায়গাটি পুরান ঢাকার নয়াবাজার ফ্রেন্ঞ রোড ছিল বলে দেশি বাইকার গ্রুপে পোস্ট দিয়েছেন জাভেদ হোসেন নামে একজন। এ সময় যাত্রী আসনে যারা বসে ছিলেন তাদের প্রকৃত যাত্রীই মনে হয়েছে।

ফেসবুকে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কাউসার আহমেদ জনি লিখেছেন, ‘বাঙালির মতো ওরা ওতো ভাব দেখায় না, তারা একদম পিওর।’

ইমন সারমা লিখেছেন, ‘একবার হরতালের সময় রিকশাওয়ালা যাইতে রাজি না হওয়ায় আমরা কয়েকজন মিলে রিকশাওয়ালা রে সিটে বসিয়ে পালা করে রিকশা চালিয়ে গন্তব্যে গেছিলাম। আফসোস.. আমরা আমেরিকান না হওয়ায় আমাদের ছবি কেউ তুলে নাই।’

সুইটি বড়ুয়া ওনি লিখেছেন, ‘ব্যায়াম করছে। বিকজ ব্যায়াম করার মত জায়গা বা সুবিধা নাই, তাই রিকশা চালিয়ে ব্যায়ামের কাজ সেরে ফেলছে।’

Leave a Reply