Wednesday, April 24

অসুস্থ মা’কে ছাদ থেকে ছুড়ে ফেলে দিল অধ্যাপক ছেলে! সিসিটিভি’র ভিডিওতে সব ফাসঁ।

নিজের মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল সে। পরে মায়ের মৃত্যু দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাতেও ছিল।  কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।  ভারতের রাজকোট পুলিশ শুক্রবার রাতে জানিয়েছে, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সন্দীপ নাথওয়ানি।  তার বয়স ৩৬। তিনি স্থানীয় একটি ফার্মেসি কলেজের শিক্ষক।

ঘটনা গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বরের।  সন্দীপের মা, ৬৪ বছর বয়সি জয়শ্রীবেন বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন।  তাঁর মৃত্যুর পরে নাথওয়ানি পরিবার দাবি করে, মাথার অসুখে ভুগছিলেন বৃদ্ধা।  ছাদে উঠে টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যান।  কিংবা আত্মহত্যাও করে থাকতে পারেন।

কিন্তু এক বেনামি চিঠিতে মোড় ঘুরে যায় তদন্তের।  চিঠিতে নাথওয়ানিদের বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার পরামর্শ ছিল।  এলাকার ডিসিপি করঞ্জরাজ বাঘেলা জানিয়েছেন, ‘দেখা যাচ্ছে, সন্দীপই ধরে ধরে মাকে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে।  কিন্তু নামল একা।  কিছু পরেই এক জন ছুটে এসে তাকে বৃদ্ধার পড়ে যাওয়ার খবর দেন।  সন্দীপ এমন ভান করছেন যেন কিছুই জানে না’

সূত্রঃ আনন্দবাজার।

মা পক্ষাঘাতগ্রস্ত। তাই অবসাদে ভুগছিলেন। শেষ পর্যন্ত ছাদে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন তিনি। ছেলে এমনই গল্প শুনিয়েছিল পুলিশকে। পুলিশ সেটা বিশ্বাসও করেছিল। শেষমেশ ধরা পড়ে গেল সব কিছু। মাতৃহত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হল ‘গুণধর’ কুপুত্র। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে নিজেই ছাদে নিয়ে গিয়ে মা’কে ছুড়ে ফেলে দিয়েছে। হিন্দু পুরাণে বর্ণিত পরশুরামের ঘটনা সকলেরই জানা। পিতা জমদগ্নির আদেশে মা রেণুকার শিরোচ্ছেদ করেছিলেন পুত্র পরশুরাম। কিন্তু সে ছিল গল্প। এ বার সত্যিই দেখা মিলল এমন এক সন্তানের, যার বিরুদ্ধে অভিযোগ ঠান্ডা মাথায় নিজের গর্ভবতী মা’কে খুন করার।

এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, গুজরাতের রাজকোট জেলার সন্দীপ নাথওয়ানির মা জয়শ্রী নাথওয়ানি গত বছরের সেপ্টেম্বরে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের ফলে হাসপাতালে ভর্তি হন। এর পরই তিনি পক্ষাঘাতগ্রস্ত হন। নিজের পায়ে দাঁড়ানোর ক্ষমতাও ছিল না তাঁর। কয়েকদিনে পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। একমাত্র সন্তান সন্দীপের উপরে পড়ে মা’কে দেখভালের দায়িত্ব। কয়েকদিনের মধ্যেই ক্লান্ত হয়ে পড়ে সন্দীপ। তার মাথায় খেলে যায় নৃশংস ভয়ঙ্কর এক আইডিয়া।
২৭ সেপ্টেম্বর মা’কে পাঁচতলার ছাদে নিয়ে গিয়ে ছুড়ে ফেলে দেয় সে। তৎক্ষণাৎ মৃত্যু হয় অসহায় বৃদ্ধার। স্বাভাবিক ভাবেই পুলিশ প্রাথমিক ভাবে ভাবতেও পারেনি সন্দীপ তার মা-কে হত্যা করেছে। গত ৩ মাস ধরেই পুলিশকে বোকা বানিয়েছে সন্দীপ। সে জানিয়েছিল, প্রতিদিন সূর্যপ্রণাম করতে ছাদে যান জয়শ্রী। তখনই অবসাদ থেকে আত্মহত্যা করেন তিনি।
আচমকাই পরিস্থিতি বদলে দেয় একটি ফোন। রহস্যময় সেই ফোনেই টনক নড়ে পুলিশের। ওই ফোনেই প্রথম জানানো হয়, সন্দীপ খুন করেছে তার মা’কে। এর পর পুলিশ খতিয়ে দেখে সিসিটিভি ফুটেজ। তখনই হাঁ হয়ে যায় তারা। সিসিটিভি ফুটেজে তারা দেখে সন্দীপ মা’কে কোলে করে ছাদে নিয়ে যাচ্ছে। জয়শ্রী যে একেবারেই হাঁটতে পারেন না, সেটা সেই প্রথম নজরে আসে পুলিশের। ওই বৃদ্ধার পক্ষে যে নিজে থেকে ছাদ থেকে লাফ দেওয়া অসম্ভব সেটা পরিষ্কার হয়ে যায় তখনই।

এর পরই গ্রেফতার করা সন্দীপকে। তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে।

নিজের মাকে ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছিল সে।  পরে মায়ের মৃত্যু দুর্ঘটনা বা আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টাতেও ছিল।  কিন্তু শেষ রক্ষা হল না।  ভারতের রাজকোট পুলিশ শুক্রবার রাতে জানিয়েছে, জেরার মুখে ভেঙে পড়ে নিজের মাকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর সন্দীপ নাথওয়ানি।  তার বয়স ৩৬। তিনি স্থানীয় একটি ফার্মেসি কলেজের শিক্ষক।

Leave a Reply