
প্রতিদিন হস্তমৈথুন করলে কি কি ক্ষতি হবে বা আদৌ কোন ক্ষতি হবে কিনা সেটা নির্ভর করে কিভাবে হস্তমৈথুন করা হচ্ছে তার উপর। হস্তমৈথুনের সময় (তাড়াতাড়ি) বীর্যপাতের জন্য যদি তাড়াহুড়ো করা হয় তবে শীঘ্রপতনের সমস্যা তৈরি হতে পারে। অত্যধিক ঘষার ফলে লিঙ্গমুন্ডের সংবেদনশীলতা কমে যেতে পারে যার ফলে যৌনসঙ্গমের সময় আনন্দ কম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। হস্তমৈথুন অভ্যাসে পরিণত হলে যৌনসঙ্গমে তৃপ্তি না হওয়ার সম্ভাবনাও সৃষ্টি হয়। এমন ঘটনা দেখা গেছে যেখানে হস্তমৈথুন করতে করতে এমন অবস্থা হয়েছিল যে কেবল হস্তমৈথুন করলেই অর্গ্যাজম হত। এছাড়াও কিছু কিছু ব্যক্তি হস্তমৈথুনের প্রতি আসক্ত হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে হস্তমৈথুনের ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত হতে পারে।
অনেকেই অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের ফলে শক্তি হ্রাস সহ নানাবিদ শারীরিক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলোঃ
১. শারীরিক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা।
২. যৌন ক্রিয়ার সাথে জড়িত স্নায়ুতন্ত্র দুর্বল হওয়া অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়া।
৩. শরীরের অন্যান্য অঙ্গ যেমন: হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারণ অতিরিক্ত হস্তমৈথুন।
৪. হস্তমৈথুনের ফলে অনেকেই কানে কম শুনতে পারেন এবং চোঁখে ঘোলা দেখতে পারেন।
তবে, যারা হস্তমৈথুনে অভ্যস্ত, তাদের পক্ষে হঠাৎ করে হস্তমৈথুন ত্যাগ করা সম্ভব নয়। তাই ধীরে ধীরে হস্তমৈথুন ত্যাগ করুন এবং অকাল বীর্যপাত রোধ করুন।
আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না।
অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত । স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না।
কিছু গবেষকদের দাবি সপ্তাহে ১ বার হস্তমৈথুন করলে কোনো ক্ষতি হয় না, উপকারীতা হয়। তবে হস্তমৈথুন না করলেও কোনো ক্ষতি নেই। ইসলাম ধর্মে হস্তমৈথুন কবিরা গুনা/পাপ তাই সর্বোদিক বিবেচনায় আমার দৃষ্টিকোণে হস্তমৈথুন না করাই শ্রেয়। হস্তমৈথুন পরিত্যাগ করা উচিৎ বলে মনে করি।