Saturday, April 20

জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিরুদ্ধে ইমার্জেন্সি রোগী নিয়ে গাফলতির অভিযোগ রোগীরর স্বজনদের

পূর্ণিমা হোসাইন
স্টাফ রিপোর্টার

জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইমার্জেন্সি রোগীর চিকিৎসা নিয়ে গাফলতি এবং নার্সদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন স্বজনরা।
কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর থানার ভাগলপুর এলাকার জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুক্রবার রাত ২ টায় প্রচুর গলা ব্যাথা নিয়ে এক রোগীকে হাসপাতালটির ইমার্জেন্সিতে নিয়ে যায় তার স্বজনরা ধারনা ছিল গলায় ধারাল কিছু আটকে আছে।
রোগীর বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানায় প্রচুর গলা ব্যাথায় মুখ দিয়ে রক্ত বের হলে ভৈরবের এক হাসপাতালের ডাক্তার বলেন তারাতারি ভাগলপুর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করতে।রোগীকে সাথে সাথে রাত ২ টায় মেডিকেলে নিলে ইমার্জেন্সির ডাক্তারা গাফলতি করতে থাকেন বলে জানান স্বজনরা।

রোগীর ভগ্নিপতি বলেন, আমাদের রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল আমরা ইমার্জেন্সির ডাক্তারদের চিকিৎসা শুরু করার কথা বললে ডাক্তাররা বলেন, বড় ডাক্তার ছাড়া এই রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব না। আমরা বড় ডাক্তারকে খবর দিয়ে আনিয়ে চিকিৎসা করার কথা বললে তারা উল্টে উত্তরে বলেন ”এত রাতে কোনো ডাক্তার ঘুম ভেঙ্গে চিকিৎসা করবে না ভর্তি হয়ে থাকেন সকালে এসে ডাক্তার দেখবেন” কিন্তু আমাদের রোগীর অবস্থা দেখে আমরা রোগীকে একটি ডিজিটাল এক্সরে করাই গলায় কি আটকে আছে জানার জন্য।এক্সরে করার পর অন্য আরেকজন ডাক্তারকে দেখালে জানতে পাড়ি রোগীর গলায় আালপিন আটকে আছে।এইটা জানার পর আমরা আবার ডাক্তারদের সাথে যোগাযাগ করলে তারা বলে রোগীকে ভর্তি করিয়ে রাখতে সকাল ৮ টায় অপারেশন হবে, আমরাও ভর্তি করালাম। তারপর সকাল সারে ৬ টায় রোগীকে নিয়ে যায় ‘পোষ্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে’ অপারেশনের আগে রোগীকে নাকি ঐ ওয়ার্ডে রাখা হয়। কিছুক্ষণ পর রোগীর শ্বাস কষ্ট শুরু হলে অক্সিজেন দেয়। ওই ওয়ার্ডে থাকা নার্স কটুক্তি করে বলে “সারা রাত সুস্থ থেকে সকাল সকাল অভিনয় করছে”। সকাল ৮ বাজল ৯ টা বাজল ১০ টা বাজল ১১ টার সময় ডাক্তার আসে।ডাক্তার এসে আরো এক ঘন্টা রোগীর পরীক্ষা নিরিক্ষা করে দুপুর ১২ টার সময় বলে তাদের পক্ষে সম্ভব না রোগীকে যত তারাতারি সম্ভব ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যেতে।
রোগীর মা বলেন, তারা এতটা সময় না রেখে রাতেই বলে দিলে আমরা ঢাকা নিয়ে যেতাম তাদের জন্য আমার মেয়েকে এতটা সময় কষ্ট করতে হল।

Leave a Reply