Friday, March 29

পুলিশের আইজির নির্দেশে চট্টগ্রামে অভিযানে নামছে এসবি,ডিবি

পুলিশের আইজির নির্দেশে চট্টগ্রামে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সাড়াসী অভিযানে নামছে পুলিশের বিভিন্ন সংস্থা।
সমাজে চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসীদের ধরতে পুলিশের এসবি,ডিবি ও থানা গুলো তৎপরতা চালাচ্ছে
দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ জালালাবাদ ক্লাব থেকে দৈনিক ৫,০০০ টাকা, শহিদুল ইসলাম সহিদ ওরফে মন্ডল ১,৫০০ টাকা, আমিনুল ইসলাম আমিন ১,৫০০ টাকা, মুজিবুর রহমান রাসেল আলি খাঁ  টেম্পু থেকে মাসিক আদায় করে ১০,০০০ টাকা, হাজী মহাম্মদ সেলিম রহমান আলি খাঁ মসজিদের পাশে পবর্তক মোড় পর্যন্ত যেগুলো চলে সেখান থেকে তার মাসিক চাঁদা বাবদ ১০,০০০ টাকা, একরাম হোসেন চকবাজার জালালাবাদ ক্লাব থেকে ৫০০ টাকা এবং কাপাসগোলা ডিস ব্যাবসা থেকে মাসিক তার কমিশন ৫,০০০ টাকা এবং চকবাজার লালচান্দ রোডে শেখ বহর পুকুরের সামনে মেথর পাট্টির সামনে যে ফুটপাত দোকান গুলো বসে সেখান থেকে  জনেক একরাম হোসেন ওয়ার্ড যুবলীগের সেক্রেটারি কাজল প্রিয় বড়ুয়াকে দিয়ে দোকান ভাড়া তোলে।

শুদ্ধি অভিযানের ভয়ে দেশ ত্যাগ ও গা ডাকা দিয়েছেন যুবলীগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারী চাঁদাবাজ মাদক ব্যবসায়ী জুয়াড়ি কিশোর গ্যাং লিডার, ১৬ নং চকবাজার ওয়ার্ড যুবলীগের নামধারী সভাপতি একরাম হোসেন ও তার ছোট ভাই দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ ।

দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ নামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামদারী এই কেডার ক্যাসিনো জুয়ার আসর মাদক ব্যাবসা ও চাদঁবাজি চালিয়ে রাতারাতি কালো টাকার মালিক হয়ে যান , সে যে ক্যাসিনো গুলো নিয়ন্ত্রণ করে সেখানে জুয়া এবং অর্থ লেনদেন ছাড়াও রমরমা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নামধারী এই কিশোর গ্যাং গডফাদার দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ,তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাদিক মামলা, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ সামাজিক ক্লাবের নাম দিয়ে যে ক্লাব গুলোতে অসামাজিক কার্যকলাপ চালায় এগুলোর মধ্যে জালাবাদ ক্লাব,সৈনিক ক্লাব,বাকলিয়া একাদশ ক্লাব

যেগুলো জনসাধারণের কাছে অতি পরিচিত, চকবাজারের জনসাধারণ ও সাধারণ ব্যবসায়ীদের কাছে জানতে চাইলে তারা নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক হয়ে বলেন দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দেখে আসছি কিন্তু কেউ তাদের ভয়ে

মুখ খোলার সাহস পায়নি যদি কেউ প্রতিবাদ করতে চায় তারা তাদের কিশোর গাং বাহিনী দিয়ে তাদের মারধর করে, আমরা দেখে আসছি দীর্ঘদিন ধরে দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ এসব ক্লাবগুলোতে জুয়ার আসর বসিয়ে রমরমা মাদক ব্যবসা অনৈতিক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন যা যুবসমাজকে অতি ভয়ঙ্কর করে তুলে। ফরহাদ হোসেন এসব অবৈধ কার্যকলাপ প্রকাশ্যে করে থাকেন আমরা শুনেছি তারা নাকি প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব অবৈধ কর্মকান্ড চালান তাই ভয়ে আমরা কেউ কখনো প্রতিবাদ করিনা। কিছুদিন আগেও শুনেছি এক ব্যবসায়ী ভদ্রলোক থেকে নাকি দশ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছে চাঁদা না দেওয়াতে তার অফিস নাকি বন্ধ করে দিয়েছে চাঁদাবাজ দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ, তাই আমরাও ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করি না, এ বিষয়ে খুরশেদ আলম নামের এক ব্যবসায়ী জানতে চাইলে তিনি বলেন তাদের কিশোর গ্যাং বাহিনী দিয়ে প্রতিনিয়ত ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করে যাচ্ছে তাদের নাম জানতে চাইলে ব্যবসায়ী খোরশেদ আলম বলেন কিছু ছেলেদের নাম জানি তবে সবাইকে চিনি না । যাদের নাম যানি তারা হল ফরমান জনি মীর হোসেন পাটোয়ারী অমি,কিরন,রাসেল, ও আর অনেকে। ব্যবসায়ীরা আরো বলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই যে তার এমন শুদ্ধি অভিযানে বন্দর

নগরীর চকবাজার এলাকায় স্থিতি শান্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, অভিযান শুরু হওয়ার সাথে সাথে দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ তার সকল জুয়ার আসর বন্ধ করে দিয়েছে কিন্তু বন্ধ করনি চাঁদাবাজি, প্রশাসনের ভয়ে দেশ ত্যাগ করলেও দেশের বাইরে থেকে সেল্টার দিচ্ছে তার কর্মী বাহিনীকে আমরা

কোন ভাবেই দমাতে পারছিনা তার কর্মি বাহিনীদের, এলাকাবাসী ও সাধারণ জনগণের বিশ্বাস শুদ্ধি অভিযানে এসব চাদাবাজ জুয়াড়ি মাদক ব্যবসায়ী কিশোর গ্যাং নির্মুল হবে।

তাদের বিরুদ্ধে যে মামলা গুলো হয়েছে তা হল চীফ মেট্রোপলিটন আদালত চট্টগ্রাম মামলা নং-সি,আর ৭১৫-২০১৯ পাচলাইশ মামলা দ্বারা ৩৩২-৩০৭-৩৮৯-৩৮৫-৫০৬ তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে,এর কিছু তথ্য দেয়া হলঃ বিস্ফোরণ মামলা সি এম পি এর চকবাজার এফ আই, ২০১৬ ভাড়া ১৪৮/১৮৯/৩২৩/৩২৪/৩০৭/৩২৭/৩৭৯/৩৮২/৩৮৫/৩৮-প্যানাল কোড ১৮৬০। পাচলাইশ থানা এফ আই নং ১৪ তারিখ-২৩ ফেব্রুয়ারী সময় দ্বারা ১৪৭/১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩৮৫/৩২৩/৩২৪/৩২৭/৩৮৯ প্যানাল কোড ১৮৫০ তথ্য সহ এই মামলার অর্ন্তভুক্ত করে।পার্শ্বোক্ত ব্যক্তি তার সহযোগী খুরশেদ আলম প্রকাশ ইয়াবা খুরশেদ (৪২) পিতাঃ মরহুম শামশুল আলম সে চকবাজারের চকসুপার মার্কেটের নিচ তলায় প্রকাশ্যে গাজা ও মাদক ব্যবসা করে থাকে।

তার বিরুদ্ধেও রয়েছে একাধিক মামলা রয়েছে নিম্নে কিছু তথ্য দেয়া হলঃ চট্টগ্রাম চকবাজার থানা মামলা নং- ১৫(৫)২০১৭ জি আর ৫৯/২০১৭ সাইবার ট্রাইবুনাল মামলা নং ৫৫৮/১৮,-মামলা নং-১০৬/২০১৭ ইং চট্টগ্রাম চকবাজার ধারা ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৮৯/৩৮৫/৫০৬/১০৯, সি আর মামলা নং-১০৬/২০১৭ ইং চট্টগ্রাম চকবাজার।ধারাঃ৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩০৭/৩৭৯/৩৮৫/৩০৬/১০৯।

তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে তারা মামলা সহ বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদর্শন করে এবং কিশোর গ্যাং দিয়া অত্যাচার করে আসছে।

Leave a Reply