Saturday, April 20

বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজির সাথে বনেকের উপদেষ্টা মিয়াজী সেলিম আহমেদের সৌজন্য সাক্ষাৎ

অনলাইন ডেস্ক:


বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম বিপিএম (বার), পিপিএম । জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা হিসাবে তিনি বরিশালের মাদকের বিস্তার রোধ, সামাজিক স্থিতিশীলতা, জননিরাপত্তা, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। সাম্প্রতি দৈনিক আমাদের কণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক ও বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ (বনেক) এর উপদেষ্টা মিয়াজী সেলিম আহমেদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকারে উঠে আসে বরিশাল নিয়ে নানা স্বপ্নের কথা। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মাদকের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন, সেই কাজ বাস্তবায়ন করছে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশ। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একার পক্ষে মাদক সমস্যা সমাধান সম্ভব নয়। এই কাজে সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে । রেঞ্জ ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম মাদক রোধে প্রয়োজন সামাজিক সচেতনতা মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের আত্নসমর্পনে আমরা কাজ করছি । পুলিশ জনগণের বন্ধু । দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধ এমনকি স্বাধীন দেশেও বহু ক্ষেত্রে পুলিশের রয়েছে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা।

মুক্তিযুদ্ধের আদর্শে অনুপ্রানিত ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম পুলিশ বাহিনীতে দায়িত্ব-কর্তব্যপরায়ণ, নিষ্ঠাবান, সৎ, দক্ষ হিসাবে ইতিমধ্যে বরিশালে প্রশংসিত হয়েছে । ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম আরো বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু আমাদের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ, তা বাস্তবায়নের পথে’। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাদের উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন। সে স্বপ্ন তখনই সার্থক হবে, যখন দেশ মাদক ও সন্ত্রাস থেকে পরিত্রাণ পাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে বরিশাল রেঞ্জ পুলিশ মাদক ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে কাজ করছে। বরিশালে ১৪শ’ মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। বাকীরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চাইলে আমরা তাদের কাছেও যাব।’ কেউ যদি স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে চায় আমরা তাদের সে সুযোগ দিয়েছি এবং দেব। আত্মসমর্পণকারীদের কর্মসংস্থানের লক্ষে নৌকা , সেলাই মেশিনসহ বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে । আমরা বরিশালকে একটি নিরাপদ আবাসস্থল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই ।

জলদস্যু অধ্যুসিত মেহেন্দিগঞ্জ , ভোলারচরসহ বিভিন্ন এলাকায় ডিআইজি মো: শফিকুল ইসলাম নিজেই অভিযান পরিচালনা করেছেন । অভিযানকালে সন্ত্রাসীদের তিনি অন্ধকার পথ ছেড়ে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে আলোকিত জীবন-যাপনে ফিরে আসার জন্য আহবান জানিয়ে বলেন, আত্মসমর্পণ করলেন তারা ভবিষ্যতে যাতে সততার সাথে স্বাভাবিক জীবন-যাপন করতে পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা দেওয়া হবে।

Leave a Reply