
শ্রীমঙ্গলে স্মার্টকাড বিতরণকালে স্থানীয় এক ইউপি সদস্যের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ কে অলক নামে এক ব্যক্তি শ্রীমঙ্গল উপজেলার কালাপুর ইউপির ৩নং ওয়ার্ড সদস্য মো. আওলাদ হোসেনের কাছে এই টাকা দাবির অভিযোগে তিনি ৮ মার্চ সন্ধ্যায় শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।
এতে বলা হয়, গত ৫ মার্চ উপজেলা নির্বাচন অফিসের উদ্যোগে কালাপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। এসময় হারানো কার্ড পূনরায় তৈরির জন্য সরকার নির্ধারিত ৩৪৫ টাকা করে ফি নেয়ার সময় এ কে অলক নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ‘আমাদের সময়’ ও ‘দৈনিক করতোয়া’ পত্রিকার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে কার্ড বিতরণকালে জনপ্রতিনিধি কেন কার্ড বিতরণে থাকবেন এ নিয়ে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।
তিনি কার্ড বিতরণকালে হারানো কার্ড নিতে টাকা নেয়ার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেন এগিয়ে এলে এ কে অলক তার কাছ থেকে ওই টাকার অংশ থেকে ২০ হাজার টাকা চাদাঁ দাবি করেন বলে অভিযোগ করা হয়।
ইউপি সদস্য আরও বলেন,অলক তাকে এই বলে হুমকি দেয় যে, ‘টাকা না দিলে এসব পত্রিকায় নিউজ ভাইরাল হলে তোমার মেম্বারি থাকবে না’। টাকা দিতে অস্বীকার করায় অলক এই টাকা নেয়া অবৈধ বলে প্রচার করে নির্বাচন কর্মকর্তাদের কোন প্রকার টাকা না দিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়ানো চেষ্টা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হলে স্থানীয় জনতা অলককে আটক করে মারধরের চেষ্টা করে। এ পরিস্থিতিতে ইউপি সদস্য আওলাদ হোসেন স্থানীয় মাদ্রাসার মাইকে জনগনকে শান্ত থাকার আহবান জানান। অবস্থা বেগতিক দেখে অলক সেখান থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেন বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঘটনার পর একটি দৈনিক ও কয়েকটি অখ্যাত অনলাইন পোর্টালে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে তার প্রতিবাদ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট পত্রিকা ও শ্রীমঙ্গল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে এ কে অলককে ইতিপূর্বে প্রতারণার অভিযোগে পুলিশের হাতে গ্রেফতারের তথ্য ও ছবি প্রমান হিসেবে সাংবাদিকদের কাছে প্রদর্শন করা হয়।
এ ব্যাপারে একে অলক জানান, চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা তপন জ্যোতি চৌধুরী জানান, নির্বাচন অফিসের লোকজন তো সবাইকে চিনে না, তাই ওই দিন কার্ড বিতরণকালে স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যসের সহযোগিতা নিয়ে আমরা কার্ড বিতরণ করেছি।
অলকের চাঁদা দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, ওই দিন আমি পিকনিকে ছিলাম, ঘটনাস্থলে ছিলাম না। যদি এমন ঘটনা হয় তাহলে অলকের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া উচিত বলে তিনি জানান।
