বর্তমান এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে মোবাইল ফোন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সবথেকে এগিয়ে আছে। মোবাইল ছাড়া তো আমরা এক মুহূর্তও কল্পনাও করতে পারি না।
এই গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমটির ঠিক ভাবে যত্ন নিচ্ছিতো আমরা? আপনার পারসোনাল তথ্য হ্যাক হয়ে যাচ্ছেনা তো? আবার অনেকেই অনেক বছর ধরে ফোন ব্যবহার করেন ঠিকই কিন্তু দিন দিন ফোনটি স্লো ও ব্যাটারি থাকছে না-এর সঠিক সমাধান পাচ্ছেন না।
অন্নরা যা পড়ছেঃ জানেন কি থ্রিজিতে যা ছিল, ফোরজি ফোনে কি কি থাকবে
২১শে ফ্রেব্রুয়ারি থেকে আসছে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ফোরজি। ফোরজি আসাকে নিয়ে অনেক মতামত সৃষ্টি হয়েছে, কেউ বলছে ফোরজি আসলে ইন্টারনেট গতির সমস্যা থাকবে না। আবার কেউ বলছে থ্রিজিতেই দেশের মানুষকে ভালো সেবা দিতে পারে নাই। ফোরজি কি পারবে ভালো সেবা দিতে?
আমরা থ্রিজি ও ফোরজি নিয়ে অনেক কথা বলছি। কিন্ত অনেকেই জানেন না থ্রিজি থেকে ফোরজি আসলে মানুষ কি ধরনের উন্নত সেবা পাবে।
থ্রিজিতে এক জিবি ফাইল ডাউনলোড করতে লাগতো ২০ মিনিট সেখানে ফোরজিতে লাগবে মাত্র ৫ মিনিট। অনলাইনে থ্রিজির মাধ্যমে মুভি দেখলে বাফারিং হতো, এই সমস্যা এখন আর থাকবে না।
বিশ্বের অনেকে দেশেই ঘরে বসেই অনলাইন সরাসরি ক্লাস করা সম্ভব, আমাদের দেশেও এই সুবিধা আছে। তবে ঢাকার বাহিরে থেকে ইন্টারনেট গতি কম থাকাতে ক্লাস করা সম্ভব ছিল না। ফোরজির কল্যানে এখন এই সমস্যা দূর হবে।
বাংলাদেশে থ্রিজি প্রযুক্তির আরেকটি বড় বাধা- এখানে এই সেবা প্রযুক্তি স্পেকট্রামের যে ব্যান্ডে দেওয়া হয়েছে (২১০০ ব্যান্ড) তার বড় দুর্বলতা হলো এটি পাশাপাশি উঁচু ভবন থাকলে বেজ স্টেশন বা টাওয়ারের মাঝে এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়ে যায়। তাই নেটওয়ার্ক ভালো পাওয়া যায় না। ফলে শহরের বড় বড় ভবনের অলি-গলিতে নেটওয়ার্কও ভালো মেলে না।
ফোরজিতে এখানেই সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হবে। কারণ, অপারেটররা যে কোনো ব্যান্ডেই ফোরজি সেবা দিতে পারবেন। ফলে ভালো নেটওয়ার্কের বড় অগ্রগতি হবে এর মাধ্যমে। কথা বলা এবং ইন্টারনেট ব্যবহার– দুই ক্ষেত্রেই তা হবে।