
আপনার হাতে কি ‘M’ চিহ্ন আছে- হাত দিয়ে যায় চেনা। মানে, আপনি মানুষটা কেমন, আপনার হাতই তা বলে দেয়। জ্যোতিষীরা আবার ভূত-ভবিষ্যত্ও গড়গড়িয়ে বলে যান হাতের রেখা দেখে।
হৃদয়রেখা, আয়ুরেখা, শীর্ষরেখা- তা অনেক রেখাই হাতে দেখেছেন বা রেখা নিয়ে শুনেছেন অনেক কথা। কিন্তু, কখনও দেখেছেন আপনার হাতে M আছে কি না? যদি থাকে, নিশ্চিত ভাবেই আপনি এক্সট্রাঅর্ডিনারি। হ্যাঁ, এমনটাই মনে করেন প্রখ্যাত জ্যোতিষীরা।
জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, কোনও পুরুষের হাতে M থাকলে, তিনি খুবই প্রতিশ্রুতিমান। অত্যন্ত অনুভূতিপ্রবণ। উদ্যোগপতি হিসেবে সাফল্য অবধারিত। ব্যবসার একজন অংশীদার হিসেবেও আপনি অসাধারণ।
কোনও মেয়ে যদি এমন পুরুষের প্রেমে পড়েন, সম্পর্কের ভবিষ্যত্ নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। কোনও ভাবেই প্রতারিত হবেন না। চোখ বন্ধ করে ভরসা করুন।
কারণ, এমন পুরুষ প্রণয়ীর কাছে মিথ্যে বলেন না। বা, অকারণে অজুহাত খোঁজেন না। আর মহিলাদের হাতে যদি M থাকে, তিনি পুরুষের তুলনায় আরও আরও ক্ষমতাশালী।
যদি প্রেমিক-প্রেমিকা দু’জনের হাতেই ভাগ্যক্রমে M থাকে, তা-ও মেয়েটির ক্ষমতাই বেশি হবে। হাতের তালুতে M থাকা ছেলে বা মেয়ে যে কেউ-ই যে কোনও পরিস্থিতিতে সহজেই খাপ খাইয়ে নিতে পারেন। সফল্যের জন্য নিজের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনও এঁরা করতে পারেন। অতএব, যদি হাতে M থাকে, নিশ্চিতে এগিয়ে যান।
নিজের ওপর আস্থা রাখুন। সাফল্য আপনার সঙ্গেই।
অন্যরা যা পড়ছেঃ
সালমান খান তার মা-বাবা ও ভাই কে হারালেন, সংবাদ মাধ্যমের সামনেই তিনি অকাতরে কেঁদে ফেললেন…
যে কারণে ফ্রি ভিসায় ভুলেও সৌদি আরব যাবেন না!বলিউড গত বছরে অনেক তার সেরা অভিনেতাদের হারিয়েছে। ২০১৭ সালে বলিউডে ভালো যায়নি । বছরের প্রথম মাসে থেকে হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি তার রত্নগুলোকে হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন হয়ে পরে ।
বলিউডে ২০১৭ সালমান খানের জন্য খুব খারাপ সময় ছিল । আমি জানি আপনি হয়তো ভাববেন আমি তার সবচেয়ে চর্চিত ফিল্ম Tubelight এর ব্যর্থতা সম্পর্কে কথা বলছি ।
না, আমরা এখানে টিউব্লাইটের ব্যর্থতার কথা বলতে আসেনি, বা কবির খান বাক্স অফিসে কি বোমা বিস্ফোরণ করেছে তারও নয় । বরং আমরা এখানে বড় দুঃখের কথা বলবো Tubelight এর ফ্লপের তুলনায় ।
শুধু তার পেশাদার ক্ষেত্রে নয়, সালমানের ব্যক্তিগত জীবনেও দুঃখ বহন করে এনেছে । সালমান তার কোমল হৃদয় ও যত্নশীল স্বভাবের জন্য পরিচিত । হিমেশ রেশমীয়া থেকে সুরাজ পঞ্চোলি পর্যন্ত, সালমান খান অনেককে বলিউডে জায়গা পেতে সাহায্য করেছেন। তিনি অনেকের কাছে একজন গডফাদার এবং বন্ধু ।
সালমান খানের বন্ধু ও প্রিয়জনদের একটি তালিকা বের করে আমরা এনেছি, যারা চিরবিদায় দিয়ে সালামনকে দুঃখের মুখে ফেলে চলে যায় ।
রিমা লাগু
১৮ ই মে ২০১৭ তারিখে কিংবদন্তি অভিনেত্রী এবং মঞ্চ শিল্পী রিমা লাগু হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। রিমা তার প্রথম বড় সুযোগ পেয়েছিল ‘মেয়েনে পেয়ার কিয়া’ সিনেমায় অভিনয় করে যেটা সালমানের প্রথম পদক্ষেপ ছিল বলিউডে।
এই সিনেমায় রিমা সালমানের মা এর ভূমিকায় অভিনয় করে যিনি সত্যিকারের জীবনেও সালমানের মায়ের মতন ছিলেন। তিনি কয়েকটি চলচ্চিত্রে তার মা হিসেবে কাজ করেন, যা তাদের সম্পর্কটিকে আরও শক্তিশালী করে ।
বিনোদ খান্না
অভিনেতা বিনোদ খান্না, যিনি গত বছরের ২৭ শে এপ্রিল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন, তিনি ব্যক্তিগত জীবনেও সালমানের সাথে ভালো সম্পর্কে ছিলেন । বলা হয় যে সালমান বিনোদ খান্নাকে তার ভাগ্যবান মাসকট বলেছিলেন।
সালমানের ‘দাবাং’ সিনেমার প্রতিটি ভাগেই বিনোদ খান্না বাবার ভুমিকায় কাজ করেছিলেন এবং তার Wanted সিনেমাতেও তিনি বাবা হয়েছিলেন, আর সালমান তাকে ব্যক্তিগত জীবনেও নিজের বাবার মতনই দেখতেন । তাই তার মৃত্যুর খবর সালমানকে মর্মাহত করেছিল ।
ইন্দ্র কুমার
ইন্দ্র কুমারের মৃত্যু মাত্র কয়েক মাস আগেই হয়েছে । কুমার সালমানের একজন ভালো বন্ধু ছিলেন এবং তার এক সহ-অভিনেতাও ছিলেন। শুধু স্ক্রিনে নয়, সালমান ও ইন্দ্র স্ক্রিনের বাইরেও একটি ভালো সম্পর্ক ভাগ করে নিতেন ।
সালমান সবসময় ইন্দ্রর ভাল ও খারাপ সময়ে ছিল। তিনি ইন্দ্রর হাতকে দৃঢ়ভাবে ধরে রেখেছিলেন যখন তিনি জীবনের কঠিন সময়ে মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। ৪৪ বছর বয়সী অভিনেতা সালমানের সঙ্গে অনেক সফল চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
ওম পুরি
ওম পুরির পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়াকে আবার পূরণ করা যাবে না। এই উজ্জ্বল অভিনেতা গত বছরের জানুয়ারিতে মারা যান। টিউব্লাইট তার শেষ ছবি, চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ হওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
মৃত্যুর আগে ওম পুরির শেষ শটের ছবি ।
তিনি সালমানের বেশ ঘনিষ্ঠ ছিলেন এবং তার সাথে ভাল সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন। টিউব্লাইটের ট্রেলার লঞ্চ চলাকালীন, সালমান দুঃখিত হয়ে পড়েছিলেন একটি দৃশ্যের মধ্যে ওম পুরিকে দেখে । তিনি স্বীকার করেন যে তিনি সর্বদা এই মহান অভিনেতাকে মিস করবেন, যিনি একজন মহান মানুষও ছিলেন।
আব্বাস রিজভি
আব্বাস রিজভী, বলিউডের একজন মহান প্রযোজক যিনি গত বছর মারা যান। সালমানকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলেন আব্বাস । ইস্তাম্বুলের সন্ত্রাসী হামলায় তিনি হঠাৎ মৃত্যুবরণ করেন, যা সালমানের হতবাক করে দেয় ।
রজত বারজাতিয়া
রাজশ্রী প্রোডাকসন্সের সাথে সালমানের বিশেষ সম্পর্কের ব্যপারে সবাই ভালভাবেই জানে । আমার সন্দেহ আছে যে রাজশ্রী এমন কোনও চলচ্চিত্র নেই, যেখানে সালমান অংশ নেন নি । রাজশ্রী প্রডাকসন্সের এমডি ও সিইও রজত বারজাতিয়া গত বছর মারা গেছেন।
রজত সুরজ বারজাতিয়ার কাকাতো ভাই ছিলেন
সুরজ বড়জাতিয়ার ভাই রজত সালমানের সাথে অনেক কাজ করেছিলেন । রজত এবং সালমানের বন্ধুত্ব ইন্ডাস্ট্রিতে সবাই জানতো । রজতের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া চলাকালে সালমান নিজের দুঃখ সামলাতে না পেরে মিডিয়ার সামনেই কেঁদে ফেলেন ।